গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি পোস্টে লেখেন, ‘সাংবাদিকরা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন। তাদের কাজকে সুরক্ষা দেয়ার পাশাপাশি স্বাগত জানানো উচিত, কোনোভাবেই হামলা বা সেন্সরের মাধ্যমে দমন করা চলবে না।’
বিএপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও লেখেন, ‘বাংলাদেশে সদ্যবিদায়ী স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় মদদে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ধারাবাহিকভাবে ক্ষুণ্ন করা হয়েছিল। সেই অন্ধকার সময়ে, সাহস ও অটল নিষ্ঠার মাধ্যমে বহু বাংলাদেশি সাংবাদিক রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি, ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যর্থতার চিত্র উন্মোচন করেন।’
তিনি লেখেন, ‘মূলধারার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, দেশ-বিদেশে সর্বত্র সাংবাদিকরা সত্য অনুসন্ধানে অবিচল ছিলেন। তারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্নে অবিচল ছিলেন এবং মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকার রক্ষায় অবদান রাখেন।’
তারেক রহমান লেখেন, ‘বিএনপি এমন এক নতুন ধারার সাংবাদিকতা থেকে অনুপ্রেরণা নেয়, যেখানে সর্বোচ্চ নৈতিকতা ও পেশাদারত্ব বজায় থাকে। আমরা এমন সাহসী ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতাকে সম্মান করি, যা আমাদের দলের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে নাও মিলতে পারে। আমাদের বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ধারণ করে। নিরপেক্ষ ও সৎ সাংবাদিকতা রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে জনস্বার্থে কাজ করে।’
তিনি পোস্টের ইতি টানেন এভাবে, শক্তিশালী ও টেকসই গণতন্ত্র গঠনের জন্য সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও সততা রক্ষা করা অত্যাবশ্যক। আসুন, রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার সরকার সংবাদমাধ্যমসহ সব নাগরিকের জন্য মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করবে।’
উল্লেখ্য, পোস্টে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত দলের সবশেষ জাতীয় কাউন্সিলের আদলে অঙ্কিত একটি কমিক চিত্র সংযুক্ত করেন তিনি। চিত্রটি তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ক্যারিকেচার। দলের সেই কাউন্সিলে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব থেকে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত হন তারেক রহমান।