যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ড্রাগ নিয়ে তার সাথে বিতর্কে নামার অভিযোগ করেছেন।
মি. ট্রাম্প বলেছেন, শেষবারের টেলিভিশন বিতর্কের আগে মিসেস ক্লিনটন কোনো না কোনো ধরনের ড্রাগ নিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, এ কারণে বিতর্কের শুরুর দিকে হিলারি ক্লিনটন বেশ চাঙা ছিলেন। কিন্তু শেষের দিকে এতোই দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন যে তিনি তার গাড়ি পর্যন্তও পৌঁছুতে পারছিলেন না।
মি. ট্রাম্প তাদের মধ্যে চূড়ান্ত টিভি বিতর্কের আগে ড্রাগ টেস্টের প্রস্তাব দিয়েছেন।
আগামী বুধবার এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
“আমাদের ড্রাগ টেস্ট হওয়া উচিত,” বলেন মি. ট্রাম্প। তবে তিনি তার বক্তব্যের সমর্থনে কোনো তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।
হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে মি. ট্রাম্প এমন এক সময়ে এসব অভিযোগ করলেন যখন তার বিরুদ্ধে একের পর এক নারী যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনছেন।
এর পর থেকেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন বলে জনমত জরিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে।
নিউ হ্যাম্পশায়ারে নির্বাচনী এক প্রচারণা চলাকালে ডনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন যে নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে কারচুপি হচ্ছে।
হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণা টিম বলছে, নির্বাচনকে খাটো করার জন্যে মি. ট্রাম্প লজ্জাজনক এসব মন্তব্য করছেন। তারা বলছেন, হেরে যাচ্ছেন এটা বুঝতে পেরেই তার এই লাগামছাড়া আক্রমণ।
ওয়াশিংটন থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বলছে, হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ডনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে।
তিনি তাকে ডাকেন ‘ক্রকড হিলারি’ বা ‘শয়তান হিলারি’ নামে। এমনকি তিনি এও বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে তিনি হিলারি ক্লিনটনকে জেলে পাঠাবেন।
মি. ট্রাম্প সবসময় বলে আসছেন যে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্যে শারীরিকভাবে ফিট নন হিলারি ক্লিনটন। আর নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন আগে তিনি তার বিরুদ্ধে ড্রাগ গ্রহণের অভিযোগ আনলেন।সূত্র:বিবিসি