খ্যাতনামা সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিন-এ প্রকাশিত বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এ বিষয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের একটি পোস্টে মুশফিকুল ফজল আনসারী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সাথে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে লিখেন, খ্যাতনামা সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিন-এ প্রকাশিত বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। ম্যাগাজিনে প্রফেসর ইউনূসকে নিয়ে মুখবন্ধ লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন— “গত বছর বাংলাদেশে ছাত্রদের নেতৃত্বে সংঘটিত এক গণআন্দোলনের মাধ্যমে যখন স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ করা হলো, তখন জাতিকে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন পরিচিত এক নেতা—নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।দীর্ঘ কয়েক দশক আগে ইউনূস বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন, যার মাধ্যমে সমাজের সবচেয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্রঋণের শক্তিতে আত্মনির্ভর করে তোলা হয়।এই উদ্যোগের ফলে লাখ লাখ মানুষ—যাদের ৯৭ শতাংশ নারী—নিজস্ব উদ্যোগ গড়ে তুলেছেন, পরিবারকে রক্ষা করেছেন এবং তাঁদের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করেছেন।আমি প্রথম ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি, যখন তিনি আরকানসাসে এসেছিলেন তৎকালীন গভর্নর বিল ক্লিনটন এবং আমার সাথে মিলে যুক্তরাষ্ট্রে অনুরূপ কর্মসূচি চালুর জন্য। এরপর বিশ্বজুড়ে আমার ভ্রমণে, আমি তাঁর কাজের বিস্ময়কর প্রভাব প্রত্যক্ষ করেছি—জীবন পাল্টেছে, সমাজ শক্তিশালী হয়েছে, এবং নতুন করে আশার আলো জেগেছে।আজ, ইউনূস আবারও তাঁর দেশমাতৃকার আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে নিপীড়নের আঁধার থেকে মুক্ত করছেন, মানবাধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ঘটাচ্ছেন, জবাবদিহিতার দাবি তুলছেন এবং ন্যায়ভিত্তিক ও মুক্ত সমাজ গড়ার বীজ বপন করছেন।”