ঢাকা ০৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রতিবাদ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ১০ বার

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান হত্যাযজ্ঞের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের প্রতিবাদ জানিয়ে গাজাবাসীর প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার জাতীয় স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ফুটবল টুর্নামেন্ট শেষে গাজার বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ নিয়ে কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।

তিনি বলেন, আজ যখন আমরা এখানে জাতীয় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উদযাপন করছি, তখন আমাদের পুরো পৃথিবী মানবতার একটি কলঙ্কজনক দিন দেখেছে। গতকাল গাজায় ইসরাইলি বাহিনী বর্বর হামলা চালিয়েছে। আমরা দেখেছি মানুষের লাশ কিভাবে আকাশে উড়ছে বোমার আঘাতে।

আক্রান্ত গাজাবাসীর প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা গাজার জনগণের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা ও সমর্থন জানাতে চাই এই দিনে। সেই সঙ্গে, আমরা আশা করি, পৃথিবী থেকে সকল মানবতাবিরোধী কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ হোক। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যা দেখেছি, তা কখনই মেনে নেওয়া উচিত নয়।

এদিকে, গাজাবাসীর কষ্টে মন কাঁদছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাহিদ রানারও। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, এই নিষ্ঠুরতার ভার আমাদের সবার উপর। একদিন আমাদের সবাইকে ইতিহাসের কক্ষে দাঁড়াতে হবে।

জাতীয় ফুটবল দল ও ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডের তারকা হামজা দেওয়ান চৌধুরীও প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

অবশ্য সমর্থন না জানিয়ে উপায় নেই। বিশ্বের মানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনের নাম মুছে দিতে নারকীয় ধংসযজ্ঞে নেমেছে ইসরাইল। বর্ণবাদী ইসরাইল এই মুহূর্তে গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালাচ্ছে। নির্বিচারে বেসামরিক মানুষ মারছে ইসরাইলি সৈন্যবাহিনী। প্রতিদিন লম্বা হচ্ছে লাশের মিছিল। যাদের অধিকাংশই হচ্ছে শিশু এবং নারী। বর্বর ইসরাইলের এই চরম মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সধারন মানুষ প্রতিবাদ জানালেও বিশ্বনেতৃত্ব নিশ্চুপ। যেন এই ধংসযজ্ঞে তারা মৌন সমর্থনই দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে ফের গাজা উপত্যকায় ধংসযজ্ঞে মেতেছে ইসরাইল। এক মাস ধরে সেখানে সর্বাত্মক অবরোধ করে চলেছে তারা। প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ জীবন হারাচ্ছেন, যাদের একটা বড় অংশই শিশু। খাদ্য, পানীয় এবং চিকিৎসা সেবার অভাবে মানবতার চরম বিপর্যয় নেমেছে সেখানে। প্রায় সব অবকাঠামোই ধসিয়ে দিয়েছে দখলদার ইসরাইল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রতিবাদ

আপডেট টাইম : ১০:১৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান হত্যাযজ্ঞের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী কার্যক্রমের প্রতিবাদ জানিয়ে গাজাবাসীর প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার জাতীয় স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ফুটবল টুর্নামেন্ট শেষে গাজার বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ নিয়ে কথা বলেন আসিফ মাহমুদ।

তিনি বলেন, আজ যখন আমরা এখানে জাতীয় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উদযাপন করছি, তখন আমাদের পুরো পৃথিবী মানবতার একটি কলঙ্কজনক দিন দেখেছে। গতকাল গাজায় ইসরাইলি বাহিনী বর্বর হামলা চালিয়েছে। আমরা দেখেছি মানুষের লাশ কিভাবে আকাশে উড়ছে বোমার আঘাতে।

আক্রান্ত গাজাবাসীর প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা গাজার জনগণের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা ও সমর্থন জানাতে চাই এই দিনে। সেই সঙ্গে, আমরা আশা করি, পৃথিবী থেকে সকল মানবতাবিরোধী কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ হোক। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যা দেখেছি, তা কখনই মেনে নেওয়া উচিত নয়।

এদিকে, গাজাবাসীর কষ্টে মন কাঁদছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাহিদ রানারও। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, এই নিষ্ঠুরতার ভার আমাদের সবার উপর। একদিন আমাদের সবাইকে ইতিহাসের কক্ষে দাঁড়াতে হবে।

জাতীয় ফুটবল দল ও ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডের তারকা হামজা দেওয়ান চৌধুরীও প্রকাশ্যে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

অবশ্য সমর্থন না জানিয়ে উপায় নেই। বিশ্বের মানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনের নাম মুছে দিতে নারকীয় ধংসযজ্ঞে নেমেছে ইসরাইল। বর্ণবাদী ইসরাইল এই মুহূর্তে গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালাচ্ছে। নির্বিচারে বেসামরিক মানুষ মারছে ইসরাইলি সৈন্যবাহিনী। প্রতিদিন লম্বা হচ্ছে লাশের মিছিল। যাদের অধিকাংশই হচ্ছে শিশু এবং নারী। বর্বর ইসরাইলের এই চরম মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সধারন মানুষ প্রতিবাদ জানালেও বিশ্বনেতৃত্ব নিশ্চুপ। যেন এই ধংসযজ্ঞে তারা মৌন সমর্থনই দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে ফের গাজা উপত্যকায় ধংসযজ্ঞে মেতেছে ইসরাইল। এক মাস ধরে সেখানে সর্বাত্মক অবরোধ করে চলেছে তারা। প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ জীবন হারাচ্ছেন, যাদের একটা বড় অংশই শিশু। খাদ্য, পানীয় এবং চিকিৎসা সেবার অভাবে মানবতার চরম বিপর্যয় নেমেছে সেখানে। প্রায় সব অবকাঠামোই ধসিয়ে দিয়েছে দখলদার ইসরাইল।