মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগকে হাস্যকর হিসাবে অবহিত করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সারগেই লাভরভ।
মস্কোতে সিএনএন প্রতিনিধি ক্রিস্টিয়ান আমানপোউরের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, এটা মজার ব্যাপার যে মার্কিন কর্মকর্তারা ভাবেন, রাশিয়া তাদের নির্বাচনে অনধিকারচর্চা করছে, কিন্তু তাদের এই অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে রাশিয়াকে বেশ কিছু ই-মেইল হ্যাকিংয়ের জন্য দায়ী করে আসছিল, সেই সাথে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটি’র সাথে রাশিয়া’র যোগাযোগের দাবিও তারা করে আসছে।
লাভরভ বলেছেন ‘এমন মনোযোগ পাওয়া সত্যিই হাস্যকর, যেখানে প্রেসিডেন্ট ওবামা কিছুদিন আগেই রাশিয়াকে শুধুমাত্র একটা আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন’।
তিনি আরও বলেন,‘এখন তো মার্কিন জনগণই বলা শুরু করে দিয়েছে যে, রাশিয়া তাদের দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কলকাঠি নাড়ছে। ‘যদিও এখন পর্যন্ত আমরা এর কোন সত্যতা পায়নি, না পেয়েছি কোন প্রমাণ’
গত শুক্রবারের ঘোষণা ছিল মার্কিনীদের জন্য প্রথম কোন ঘটনা যেখানে তারা কোন দেশকে সরাসরিভাবে দোষারোপ করলো হ্যাকিং এর ছলে তাদের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে প্রভাব ফেলার জন্য। উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তার বরাদ দিয়ে সিএনএন বলছে, এসব কর্মকর্তাদের সাথে ওবামা প্রশাসনের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে, যে কখন এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া যায়।
ডেমোক্রেট দলের অভিযোগ রাশিয়ায় সব ই-মেইল ফাঁস করছে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প কে নির্বাচনী প্রচারণায় সুবিধা দেওয়ার জন্য। হোয়াইট হাউজ থেকে বলা হচ্ছে রাশিয়ার এই সাইবার আক্রমণের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে, যদিও তারা জানায়নি কেমন হবে মার্কিনীদের প্রতিশোধের ধরন।
আমেরিকার এই হুমকি নিয়ে পাল্টা কিছু বলবেন কিনা জিজ্ঞাসা করলে লাভরভ বলেন,‘আমি বিশ্বাস করি এই জল্পনা-কল্পনা করা এক অর্থে মূল্যহীন। যদি তারা সত্যিই কিছু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে, করতে দিন। কিন্তু এটা বলা যে, রাশিয়া তাদের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছে, এটা আসলেই হাস্যকর’