ঢাকা ০১:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাখাল রাহাকে নিয়ে স্ট্যাটাস, ‘দুঃখ প্রকাশ’ করে যা লিখলেন সারজিস

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২২:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • ১৮ বার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক লেখক ও গবেষক রাখাল রাহার (সাজ্জাদুর রহমান) কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

গতকাল সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড আইডিতে ‘রাখাল রাহা ও আজকের ৪০০ কোটি টাকার প্রোপাগান্ডা প্রসঙ্গে কয়েকটি পয়েন্ট’ শিরোনামে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এ দুঃখ প্রকাশ করেন।

স্ট্যাটাসে সারজিস আলম লিখেছেন, হাসিনার ফ্যাসিবাদী আমলে গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে নিঃসন্দেহে রাখাল রাহার ভূমিকা ছিল এজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। কিছুদিন পূর্বে তিনি আল্লাহ এবং নবী (সা.) প্রসঙ্গে যে লাইনগুলো লিখেছেন সেজন্য তার প্রতি তীব্র ঘৃণা।

তিনি আরও লেখেন, ‘আজকে ঢাকা পোস্ট এবং দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস তথ্য প্রমাণ ছাড়া মনগড়া তথ্য দিয়ে ৪০০ কোটি টাকা বাণিজ্যের যে অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে তা সংশ্লিষ্ট সকল সোর্স থেকে যাচাই পূর্বক এখন পর্যন্ত মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে এবং এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।তাই এ বিষয়কে কেন্দ্র করে রাখাল রাহাকে নিয়ে বলা কথাগুলো আমি এক্সপাঞ্জ করছি এবং দুঃখ প্রকাশ করছি।’

‘তবে ঢাকা পোস্ট এবং দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস নিউজ হাউস হিসেবে রাখাল রাহা এবং গাজী সালাউদ্দিন তানভীর এর নামে তথ্য প্রমাণ ছাড়া প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে যে মানহানির ঘটনা ঘটিয়েছে, আমি উনাদের দুজনের জায়গায় হলে এই দুই নিউজ হাউজের শেষ দেখে ছাড়তাম’, লিখেছেন সারজিস।

তিনি আরও লেখেন, ‘এদের মতো কিছু অপেশাদার নিউজ হাউস মানুষের আত্মসম্মানের কথা বিন্দুমাত্র চিন্তা না করে ব্যক্তি ও গোষ্ঠী কেন্দ্রিক স্বার্থ সার্ভ করে। এদের উপযুক্ত শিক্ষা হওয়া সময়ের দাবি। না হয় একসময় ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধীরে ধীরে আত্মসম্মানের ভয়ে এদের কাছে জিম্মি হয়ে যেতে হবে। আর এরাও লাই পেয়ে মাথায় উঠে বসবে।’

‘শুনতে তিতা হলেও একটা কথা বলি’ উল্লেখ করে সারজিস আলম লিখেছেন, ‘টাকা দিয়েও এমন অনেক নিউজ করানো যায়। শব্দ আর বাক্যের খেলা, খেলানো যায়। ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য সার্ভ করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবেও এমন অনেক প্রোপাগান্ডা ছড়ানো যায়। একটা নিউজ দিয়েই যদি আমাদের মধ্যে এতটা হুজুগে পরিবেশ তৈরি করা যায় তবে সাবধান!’

‘আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসরদের হাতে এখনো অধিকাংশ নিউজ ও মিডিয়ার পরোক্ষ কন্ট্রোল আছে’, লিখেছেন সারজিস আলম।

উল্লেখ্য, রাখাল রাহাকে ‘তথাকথিত’ ও ‘ভণ্ড বুদ্ধিজীবী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন সারজিস আলম। তার বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার নাম ভাঙিয়ে লুটপাট করার অভিযোগ শোনা যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন এই মুখ্য সংগঠক। সোমবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সারজিস আলম এমন মন্তব্য করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রাখাল রাহাকে নিয়ে স্ট্যাটাস, ‘দুঃখ প্রকাশ’ করে যা লিখলেন সারজিস

আপডেট টাইম : ১০:২২:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক লেখক ও গবেষক রাখাল রাহার (সাজ্জাদুর রহমান) কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

গতকাল সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড আইডিতে ‘রাখাল রাহা ও আজকের ৪০০ কোটি টাকার প্রোপাগান্ডা প্রসঙ্গে কয়েকটি পয়েন্ট’ শিরোনামে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এ দুঃখ প্রকাশ করেন।

স্ট্যাটাসে সারজিস আলম লিখেছেন, হাসিনার ফ্যাসিবাদী আমলে গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে নিঃসন্দেহে রাখাল রাহার ভূমিকা ছিল এজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা। কিছুদিন পূর্বে তিনি আল্লাহ এবং নবী (সা.) প্রসঙ্গে যে লাইনগুলো লিখেছেন সেজন্য তার প্রতি তীব্র ঘৃণা।

তিনি আরও লেখেন, ‘আজকে ঢাকা পোস্ট এবং দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস তথ্য প্রমাণ ছাড়া মনগড়া তথ্য দিয়ে ৪০০ কোটি টাকা বাণিজ্যের যে অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে তা সংশ্লিষ্ট সকল সোর্স থেকে যাচাই পূর্বক এখন পর্যন্ত মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে এবং এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।তাই এ বিষয়কে কেন্দ্র করে রাখাল রাহাকে নিয়ে বলা কথাগুলো আমি এক্সপাঞ্জ করছি এবং দুঃখ প্রকাশ করছি।’

‘তবে ঢাকা পোস্ট এবং দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস নিউজ হাউস হিসেবে রাখাল রাহা এবং গাজী সালাউদ্দিন তানভীর এর নামে তথ্য প্রমাণ ছাড়া প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে যে মানহানির ঘটনা ঘটিয়েছে, আমি উনাদের দুজনের জায়গায় হলে এই দুই নিউজ হাউজের শেষ দেখে ছাড়তাম’, লিখেছেন সারজিস।

তিনি আরও লেখেন, ‘এদের মতো কিছু অপেশাদার নিউজ হাউস মানুষের আত্মসম্মানের কথা বিন্দুমাত্র চিন্তা না করে ব্যক্তি ও গোষ্ঠী কেন্দ্রিক স্বার্থ সার্ভ করে। এদের উপযুক্ত শিক্ষা হওয়া সময়ের দাবি। না হয় একসময় ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধীরে ধীরে আত্মসম্মানের ভয়ে এদের কাছে জিম্মি হয়ে যেতে হবে। আর এরাও লাই পেয়ে মাথায় উঠে বসবে।’

‘শুনতে তিতা হলেও একটা কথা বলি’ উল্লেখ করে সারজিস আলম লিখেছেন, ‘টাকা দিয়েও এমন অনেক নিউজ করানো যায়। শব্দ আর বাক্যের খেলা, খেলানো যায়। ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য সার্ভ করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবেও এমন অনেক প্রোপাগান্ডা ছড়ানো যায়। একটা নিউজ দিয়েই যদি আমাদের মধ্যে এতটা হুজুগে পরিবেশ তৈরি করা যায় তবে সাবধান!’

‘আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসরদের হাতে এখনো অধিকাংশ নিউজ ও মিডিয়ার পরোক্ষ কন্ট্রোল আছে’, লিখেছেন সারজিস আলম।

উল্লেখ্য, রাখাল রাহাকে ‘তথাকথিত’ ও ‘ভণ্ড বুদ্ধিজীবী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন সারজিস আলম। তার বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার নাম ভাঙিয়ে লুটপাট করার অভিযোগ শোনা যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন এই মুখ্য সংগঠক। সোমবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সারজিস আলম এমন মন্তব্য করেন।