ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেরুয়া খালে ব্রীজ নির্মাণ ফ্যাসিস্টদের লুটপাটের নিদর্শনও বটে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:০২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৬ বার

জেলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনে কাইটাইল গ্রামে বেরুয়া খালের উপর ব্রীজ নির্মাণের নামে ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। বেরুয়া খালে ব্রীজ নির্মাণের নামে লুটপাট মূলত ফ্যাসিস্ট সরকারের লুটপাটের একটি প্রমাণ বা নিদর্শনও বটে।

সরেজমিন ও পিআইও অফিস সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রানমন্ত্রণালয় এর আওতায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৯১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮৯৯ টাকায় ব্রীজ নির্মাণের কাজ পায় মেসার্স শেখ সাদিক আদনান নূর এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২৪ সালে প্রথম দিকে ব্রীজের কাজ শেষ হয় এবং ওই বছরই ব্রীজ উদ্বোধন করেন ফ্যাসিস্ট সরকারের এমপি সাজ্জাদুল হাসান। কিন্তু দু’মাসের মাথায় অর্থাৎ বর্ষা আসার সাথে সাথেই ব্রীজের দু’পাশের সংযোগ সড়ক ধসে পড়ে। ব্রীজের এপ্রোচ ভেঙ্গে যাওয়ায় ইট সলিং রাস্তা ভেঙ্গে অনেক ইট খালের খাদে পড়ে যায়। ব্রীজের দৈর্ঘ্য ১৫ মিটার বা ৪৯.২ ফুট কথা থাকলেও বাস্তবে ২৫-৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের মধ্যেই ব্রীজের কাজ শেষ হয়।

আওয়ামী নেতা ঠিকাদার শামীম জানান, অনেক আগে আমি এ ব্রীজের কাজ শেষ করে এসেছি। যা জানার পিআইও এর কাছ থেকে জেনে নেন। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি। প্রয়োজনে টিআর বা কাবিখা দিয়ে হলেও সংস্কার করে দিবো। মাত্র কয়েক মাস আগে কোটি টাকা খরচ করে ব্রীজ নির্মাণ করলেন এখন সেখানে টিআর বা কাবিখা দিয়ে সংস্কার করা ঠিক হবে কি না? জানতে চাইলে, তিনি এ বিষয়টি এড়িয়ে যান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অহনা জিন্নাত জানান, বেরুয়া খালের উপর নির্মিত ব্রীজটি আমি যোগদানের অনেক আগেই উদ্বোধন হয়েছে। তবে, বিষয়টি আমি গুরুত্বের সাথে দেখবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

বেরুয়া খালে ব্রীজ নির্মাণ ফ্যাসিস্টদের লুটপাটের নিদর্শনও বটে

আপডেট টাইম : ০৭:০২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জেলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনে কাইটাইল গ্রামে বেরুয়া খালের উপর ব্রীজ নির্মাণের নামে ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। বেরুয়া খালে ব্রীজ নির্মাণের নামে লুটপাট মূলত ফ্যাসিস্ট সরকারের লুটপাটের একটি প্রমাণ বা নিদর্শনও বটে।

সরেজমিন ও পিআইও অফিস সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রানমন্ত্রণালয় এর আওতায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৯১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৮৯৯ টাকায় ব্রীজ নির্মাণের কাজ পায় মেসার্স শেখ সাদিক আদনান নূর এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২৪ সালে প্রথম দিকে ব্রীজের কাজ শেষ হয় এবং ওই বছরই ব্রীজ উদ্বোধন করেন ফ্যাসিস্ট সরকারের এমপি সাজ্জাদুল হাসান। কিন্তু দু’মাসের মাথায় অর্থাৎ বর্ষা আসার সাথে সাথেই ব্রীজের দু’পাশের সংযোগ সড়ক ধসে পড়ে। ব্রীজের এপ্রোচ ভেঙ্গে যাওয়ায় ইট সলিং রাস্তা ভেঙ্গে অনেক ইট খালের খাদে পড়ে যায়। ব্রীজের দৈর্ঘ্য ১৫ মিটার বা ৪৯.২ ফুট কথা থাকলেও বাস্তবে ২৫-৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের মধ্যেই ব্রীজের কাজ শেষ হয়।

আওয়ামী নেতা ঠিকাদার শামীম জানান, অনেক আগে আমি এ ব্রীজের কাজ শেষ করে এসেছি। যা জানার পিআইও এর কাছ থেকে জেনে নেন। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি। প্রয়োজনে টিআর বা কাবিখা দিয়ে হলেও সংস্কার করে দিবো। মাত্র কয়েক মাস আগে কোটি টাকা খরচ করে ব্রীজ নির্মাণ করলেন এখন সেখানে টিআর বা কাবিখা দিয়ে সংস্কার করা ঠিক হবে কি না? জানতে চাইলে, তিনি এ বিষয়টি এড়িয়ে যান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অহনা জিন্নাত জানান, বেরুয়া খালের উপর নির্মিত ব্রীজটি আমি যোগদানের অনেক আগেই উদ্বোধন হয়েছে। তবে, বিষয়টি আমি গুরুত্বের সাথে দেখবো।