ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-রাজশাহী বাসে ধর্ষণের খবর মিথ্যা: ভুক্তভোগী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১৮ বার

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ‘ইউনিক রোড রয়েলস’ নামক চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনাটি সঠিক নয়। খবরটি ‘অপপ্রচার’ বললেন ভুক্তভোগী নারী নিজেই।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) ফয়সল হাসান বলেছেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ‘ইউনিক রোড রয়েলস’ নামক চলন্ত বাসে ধর্ষণের যে খবর প্রচার করা হয়েছে তা সঠিক নয়।

তিনি আরও জানান, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার থেকে পাওয়া এ সংক্রান্ত এক ভিডিও ক্লিপে বাসটির এক নারী যাত্রীর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, বাসটির এক নারী যাত্রী বলছেন, ‘বাসটিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, তবে ধর্ষণের কোনও ঘটনা ঘটেনি।’ এতে দেখা যায়, নারী যাত্রী খোলামেলাভাবে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।

এদিকে ভুক্তভোগী নারী নিজেই গণমাধ্যমকে বলেছেন, যিনি এমন খবর প্রচার করছেন তিনি কি করে একজন নারী হয়ে অন্য এক নারীর নামে মিথ্যে কথা বলছেন। গণমাধ্যমও আমার সঙ্গে কথা না বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে। যা আমার জন্য খুবই বিব্রতকর।

উল্লেখ্য, ইউনিক রোড রয়েলসের আমরী ট্রাভেলস নামের একটি বাসে (নম্বর ময়নসিংহ-ব-১১-০০৬৯) এই ডাকাতি হয়েছে। গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার মধ্যে এই ডাকাতি হয়। এ সময় দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে। তবে ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলছেন, ডাকাতি হওয়া বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় পৌঁছানোর পর দুই নারী যাত্রী পুলিশের কাছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন।

বাসযাত্রীরা বলছেন, ৪০ জনের মতো যাত্রী নিয়ে সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে বাসটি ছাড়ে। রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে বাসে ডাকাতি শুরু হয়। তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে ঘুরিয়ে একই জায়গায় বাসটি নিয়ে গিয়ে রাত ৩টা ৫২ মিনিটে ডাকাতেরা নেমে যান। তখন যাত্রীরা দেখতে পান, তাঁদের অবস্থান মির্জাপুর থানা এলাকার একটি পেট্রলপাম্পের পশ্চিম দিকে। সেখানে বাসচালক, তাঁর সহকারী ও সুপারভাইজার গন্তব্যে না যেতে নানা টালবাহানা করতে থাকেন। তবে যাত্রীদের চাপের মুখে তাঁরা বাস ছাড়েন। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে বাসটি যাত্রীদের চাপের মুখে বড়াইগ্রামে থানায় ঢোকানো হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ঢাকা-রাজশাহী বাসে ধর্ষণের খবর মিথ্যা: ভুক্তভোগী

আপডেট টাইম : ০৬:৫০:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ‘ইউনিক রোড রয়েলস’ নামক চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনাটি সঠিক নয়। খবরটি ‘অপপ্রচার’ বললেন ভুক্তভোগী নারী নিজেই।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) ফয়সল হাসান বলেছেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ‘ইউনিক রোড রয়েলস’ নামক চলন্ত বাসে ধর্ষণের যে খবর প্রচার করা হয়েছে তা সঠিক নয়।

তিনি আরও জানান, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার থেকে পাওয়া এ সংক্রান্ত এক ভিডিও ক্লিপে বাসটির এক নারী যাত্রীর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, বাসটির এক নারী যাত্রী বলছেন, ‘বাসটিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, তবে ধর্ষণের কোনও ঘটনা ঘটেনি।’ এতে দেখা যায়, নারী যাত্রী খোলামেলাভাবে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।

এদিকে ভুক্তভোগী নারী নিজেই গণমাধ্যমকে বলেছেন, যিনি এমন খবর প্রচার করছেন তিনি কি করে একজন নারী হয়ে অন্য এক নারীর নামে মিথ্যে কথা বলছেন। গণমাধ্যমও আমার সঙ্গে কথা না বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে। যা আমার জন্য খুবই বিব্রতকর।

উল্লেখ্য, ইউনিক রোড রয়েলসের আমরী ট্রাভেলস নামের একটি বাসে (নম্বর ময়নসিংহ-ব-১১-০০৬৯) এই ডাকাতি হয়েছে। গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার মধ্যে এই ডাকাতি হয়। এ সময় দুই নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে। তবে ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলছেন, ডাকাতি হওয়া বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় পৌঁছানোর পর দুই নারী যাত্রী পুলিশের কাছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন।

বাসযাত্রীরা বলছেন, ৪০ জনের মতো যাত্রী নিয়ে সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে বাসটি ছাড়ে। রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে বাসে ডাকাতি শুরু হয়। তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে ঘুরিয়ে একই জায়গায় বাসটি নিয়ে গিয়ে রাত ৩টা ৫২ মিনিটে ডাকাতেরা নেমে যান। তখন যাত্রীরা দেখতে পান, তাঁদের অবস্থান মির্জাপুর থানা এলাকার একটি পেট্রলপাম্পের পশ্চিম দিকে। সেখানে বাসচালক, তাঁর সহকারী ও সুপারভাইজার গন্তব্যে না যেতে নানা টালবাহানা করতে থাকেন। তবে যাত্রীদের চাপের মুখে তাঁরা বাস ছাড়েন। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে বাসটি যাত্রীদের চাপের মুখে বড়াইগ্রামে থানায় ঢোকানো হয়।