ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ড. মাহাথির মোহাম্মদের চট্টগ্রামসংক্রান্ত অগ্রজ ও শৈশবের কাহিনি তাড়াইলে জনতার ভালোবাসায় আপ্লুত ড. ওসমান ফারুক: ‘করিমগঞ্জ–তাড়াইলে মানুষের ভালোবাসাই আমার প্রেরণা দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশে করণীয়—ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সাসাফ স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’   দেশীয় সংস্কৃতি বিকাশে করণীয়—আজ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘সাসাফ স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ কিশোরগঞ্জ- হোসেনপুর-কিশোরগঞ্জ সদর, বাজিতপুর ও নিকলী আসন বিএনপির মনোনয়ন স্থগিতে তীব্র অসন্তোষ জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য সংসদ গঠন করতে হবে : সালাহউদ্দিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের বিএনপি কৃষকদের হাতকে শক্তিশালী করবে সর্বমহলেই তারেক রহমানের প্রশংসা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টা

মদনে কলা গাছের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৮৬ বার

জেলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ এ সব লিখলে কি হবে ? সরকার কি শুনবে ? ২১ বছর যাবৎ আমরা কলা গাছ, বাশঁ দিয়ে তৈরি করে শহীদ মিনারে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাই। এভাবেই আপেক্ষ করে বলেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান।

নেত্রকোনার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান কুঠুরিকোনা মডেল হাই স্কুল। হাওরাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই কোন শহীদ মিনার। ২০০৪ সালে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সালে এমপিও পায়। হাওরাঞ্চলের এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থায়ী ভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

বাগজান কুঠুরিকোনা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকালে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কোনো শহীদ মিনার নেই। ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহানাজ, লামিয়া, রিয়া মনি বলেন, শহীদ মিনার নেই তাতে কী ? তাই বলে কী ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবো না ? আমরা প্রতি বছর এভাবে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে সেখানে ফুল দেই।

ওই বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, টাকার অভাবে প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে কয়েক বার আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোন বরাদ্দ পায়নি। তাই একুশে ফেব্রয়ারী এলে স্কুলের মাঠে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করি।

বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন, শহীদ মিনার নেই। তাই একুশে ফেব্রুয়ারীর আগের দিন বিদ্যালয়ের মাঠে কলাগাছের শহীদ মিনার বানানো হয়, তাতে কাগজ মুড়িয়ে সুন্দর করা হয়, শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী জানান, যে সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই সে সকল প্রধান শিক্ষককে বলেছি ইউএনও স্যারের বরাবর একটি করে আবেদন দেয়ার জন্য। স্যার বিষয়টি নজরে নিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অহনা জিন্নাত বলেন, যে সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই তাদের তালিকা চেয়েছি। এভারেই বিদ্যালয় গুলোতে শহীদ মিনার তৈরি করে দেয়া হবে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ড. মাহাথির মোহাম্মদের চট্টগ্রামসংক্রান্ত অগ্রজ ও শৈশবের কাহিনি

মদনে কলা গাছের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন

আপডেট টাইম : ০৬:২১:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জেলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ এ সব লিখলে কি হবে ? সরকার কি শুনবে ? ২১ বছর যাবৎ আমরা কলা গাছ, বাশঁ দিয়ে তৈরি করে শহীদ মিনারে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাই। এভাবেই আপেক্ষ করে বলেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান।

নেত্রকোনার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান কুঠুরিকোনা মডেল হাই স্কুল। হাওরাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই কোন শহীদ মিনার। ২০০৪ সালে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সালে এমপিও পায়। হাওরাঞ্চলের এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থায়ী ভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

বাগজান কুঠুরিকোনা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকালে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কোনো শহীদ মিনার নেই। ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহানাজ, লামিয়া, রিয়া মনি বলেন, শহীদ মিনার নেই তাতে কী ? তাই বলে কী ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবো না ? আমরা প্রতি বছর এভাবে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে সেখানে ফুল দেই।

ওই বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, টাকার অভাবে প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে কয়েক বার আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোন বরাদ্দ পায়নি। তাই একুশে ফেব্রয়ারী এলে স্কুলের মাঠে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করি।

বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন, শহীদ মিনার নেই। তাই একুশে ফেব্রুয়ারীর আগের দিন বিদ্যালয়ের মাঠে কলাগাছের শহীদ মিনার বানানো হয়, তাতে কাগজ মুড়িয়ে সুন্দর করা হয়, শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী জানান, যে সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই সে সকল প্রধান শিক্ষককে বলেছি ইউএনও স্যারের বরাবর একটি করে আবেদন দেয়ার জন্য। স্যার বিষয়টি নজরে নিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অহনা জিন্নাত বলেন, যে সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই তাদের তালিকা চেয়েছি। এভারেই বিদ্যালয় গুলোতে শহীদ মিনার তৈরি করে দেয়া হবে।