ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

তিস্তার ন্যায্য হিস্যা আদায়ে পদযাত্রায় জনতার ঢল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ২৯ বার

জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’-স্লোগানে নদী রক্ষার আন্দোলনের ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনের শুরুতে পদযাত্রায় মানুষের ঢল নামে তিস্তাপাড়ে। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতেই এ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় লালমনিরহাট রেল সেতু থেকে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে পদযাত্রাটি বের হয়ে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা ঘুরে পুনরায় রেল সেতুতে গিয়ে শেষ হয়।

নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবীব দুলুর নেতৃত্বে পদযাত্রাটি ছয় কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টেও পৃথক পদযাত্রায় অংশ নেয় তিস্তাপাড়ের মানুষ।

পদযাত্রার মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু করে নদী রক্ষা আন্দোলন।‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে ১২৫ কিলোমিটারের তিস্তা নদীর দুই পাড়। দ্বিতীয় দিনে পদযাত্রার পরে তিস্তা নদীতে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে লাখো মানুষ নদী রক্ষার দাবি জানায়। নদী বাঁচানোর এই আন্দোলনে শামিল আছেন স্থানীয় কৃষক-শ্রমিকসহ হাজারো মানুষ।

 

আজ তিস্তা অববাহিকার ১১টি পয়েন্টে জড়ো হয়েছেন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি, বিচ্ছিন্নভাবে নয় অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ই শুরু করতে হবে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ। পাশাপাশি তিস্তার ন্যায্য হিস্যা চুক্তি বাস্তবায়নে বাধ্য করতে হবে ভারতকে।

সন্ধ্যায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি ১১টি পয়েন্টে যুক্ত থেকে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, তিস্তা নদী রক্ষার আন্দোলনে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি গতকাল সোমবার দুপুরে উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিস্তা নদীর ১২৫ কিলোমিটারের দুই তীরে ৫টি জেলায় ১১টি পয়েন্টে দিনভর নানা আয়োজনে প্রথম দিন অতিবাহিত করে তিস্তাপাড়েই তাবুতে রাত যাপন করে হাজারো মানুষ।

রাতে রংপুর অঞ্চলের সংস্কৃতি তুলে ধরে পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তিস্তাপাড়ের মানুষের সুখ-দুঃখের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। যার মাধ্যমে তিস্তার করুন চিত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের সঙ্গে কী কথা হয়েছিল, জানালেন জামায়াত আমির

তিস্তার ন্যায্য হিস্যা আদায়ে পদযাত্রায় জনতার ঢল

আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’-স্লোগানে নদী রক্ষার আন্দোলনের ৪৮ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনের শুরুতে পদযাত্রায় মানুষের ঢল নামে তিস্তাপাড়ে। তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতেই এ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় লালমনিরহাট রেল সেতু থেকে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে পদযাত্রাটি বের হয়ে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা ঘুরে পুনরায় রেল সেতুতে গিয়ে শেষ হয়।

নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবীব দুলুর নেতৃত্বে পদযাত্রাটি ছয় কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টেও পৃথক পদযাত্রায় অংশ নেয় তিস্তাপাড়ের মানুষ।

পদযাত্রার মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু করে নদী রক্ষা আন্দোলন।‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে ১২৫ কিলোমিটারের তিস্তা নদীর দুই পাড়। দ্বিতীয় দিনে পদযাত্রার পরে তিস্তা নদীতে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে লাখো মানুষ নদী রক্ষার দাবি জানায়। নদী বাঁচানোর এই আন্দোলনে শামিল আছেন স্থানীয় কৃষক-শ্রমিকসহ হাজারো মানুষ।

 

আজ তিস্তা অববাহিকার ১১টি পয়েন্টে জড়ো হয়েছেন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি, বিচ্ছিন্নভাবে নয় অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ই শুরু করতে হবে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ। পাশাপাশি তিস্তার ন্যায্য হিস্যা চুক্তি বাস্তবায়নে বাধ্য করতে হবে ভারতকে।

সন্ধ্যায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি ১১টি পয়েন্টে যুক্ত থেকে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, তিস্তা নদী রক্ষার আন্দোলনে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি গতকাল সোমবার দুপুরে উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিস্তা নদীর ১২৫ কিলোমিটারের দুই তীরে ৫টি জেলায় ১১টি পয়েন্টে দিনভর নানা আয়োজনে প্রথম দিন অতিবাহিত করে তিস্তাপাড়েই তাবুতে রাত যাপন করে হাজারো মানুষ।

রাতে রংপুর অঞ্চলের সংস্কৃতি তুলে ধরে পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তিস্তাপাড়ের মানুষের সুখ-দুঃখের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। যার মাধ্যমে তিস্তার করুন চিত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরা হয়।