বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বর্ষা মৌসুমে এ দেশের আনাচে-কানাচে পড়ে থাকা জলাশয়, পুকুর-ডোবা, নদী-নালা ও খালবিল এক সময় শাপলা ভরে যেতে। গ্রামের চারিদিকে তাকালে শুধু দেখা যেতে শাপলা আর শাপলা।
এ ফুল এখন বিলুপ্তির পথে। দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে একাধিক গ্রাম ঘুওে মাত্র গুটি কয়েক নদী-পুকুরে শাপলা ফুল দেখা গেছে। ওমালবিস্থি গোত্রের এই উদ্ভিদ কোন প্রকার পরিচর্যা ছাড়াই নদী, পুকুর, ডেবা জলাশয়ে জন্নে থাকে শাপলা ফুল। এই দেশে এক সময় বর্ষার শুরু থেকে শরৎ ঋতু পর্যন্ত সাদা ও লাল শাপলা ঘেরা গ্রাম গুলোকে অপরূপ সৌন্দর্যে ভরে রাখতে।
ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা নদী-ডোবা থেকে সেই ফুল তুলে মালা গেঁথে মেতে থাকতো নানা খেলায়। শাপলার ডাটা একদিকে যেমন সবজি অন্যদিকে আবার শাপলার মূল ওষুধ এবং ফুল ফোটার পর কিছু দিনের মধ্যে ফল জন্ম নেয়। আর ওই ফলের ভেতরে থাকে অসংখ্য কালো কালো দানা।
শাপলার চাল রোদে শুকিয়ে গ্রামের মহিলারা ভাজতে ঢ্যাপের খৈ। এরপর বর্ষা চলে গেল শুকনো মৌসুমে ছেলে-মেয়েরা ওই সব ডোবা নালা থেকে শালুক সংগ্রহ করতো। আগুনে পুরে শালুক কেতে দারুণ স্বাদ। কিন্তু বিলুপ্ত প্রায় এই শাপলা এখন স্মৃতির পাতায় জায়গা নিতে যাচ্ছে।
পুকুর, নদী, খাল ভরাট কওে মানুষের আবাস তৈরী ও কৃষিতে অতিমাত্রায় আগাছা নাশক ওষুধ প্রয়োগের কারণে গ্রামগঞ্জের শাপলা জন্মস্থানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। ফলে দেশ থেকে আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা আজ হারিয়ে যাচ্ছে।