কদিন আগে মেয়র হিসেবে উপমন্ত্রীর পদ মর্যাদা পেয়েছেন তিনি। এবার এলেন রাজনীতির সামনের সারিতে। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হয়েছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। রবিবার জেলার নতুন আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। এ কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সেলিনা হায়াৎ আইভী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমার বাবা ছিলেন নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কর্মী অন্তপ্রাণ নেতা। তার মেয়ে হিসেবে আমাকে শক্তিমান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করে বাঁচতে হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার পাশে আছেন, তার আর্শিবাদ আছে বলে আমি টিকে আছি। আমার সব অর্জন তার অবদান।’
সেলিনা হায়াৎ আইভী স্কুল ও কলেজ জীবন থেকে বাবার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতেন। ১৯৯৩ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদিকা ছিলেন। ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশ নেয়ার মধ্য দিয়ে তার সক্রিয় রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়। তিনি ২০০৩ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম মহিলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ২০১১ সালের ২৭ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া আলী আহাম্মদ চুনকা ফাউন্ডেশন এবং নারায়ণগঞ্জ হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)-এর নারায়ণগঞ্জ জেলার আহ্বায়কের দায়িত্বে আছেন। আইভী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র এবং বাংলাদেশের প্রথম মহিলা যিনি কোনো সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর রাজবাড়ি নিবাসী কাজী আহসান হায়াতের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বামী আহসান হায়াৎ একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার। তিনি নিউজিল্যান্ডে কাজ করছেন। তাদের দুই ছেলে কাজী সাদমান হায়াৎ সীমান্ত এবং কাজী সারদিল হায়াৎ অনন্ত।