সুন্দর চুল পেতে কে না চায়? কিন্তু এই সময়ে সবাই চুল নিয়ে চিন্তিত থাকেন। সুন্দর ও মজবুত চুল পেতে তেল-শ্যাম্পু মাখেন সবাই। কিন্তু শুধু এই কাজ করেই চুলকে ভালো রাখা যায় না। চুলের যত্নে ডায়েটও গুরুত্বপূর্ণ।
অনেক সময় দেহে পুষ্টির ঘাটতি থাকলেও চুল পড়ে। তখন হেয়ার স্পা কিংবা দামি শ্যাম্পু, কিছুই কাজে দেয় না। এর চেয়ে স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চললে বেশি উপকার পাবেন। সাধারণত সুষম আহারই ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। বাদাম, বীজ, সবজি সবই চুলের জন্য উপকারী। তবে কিছু ফল আছে, যা চুলের স্বাস্থ্য গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এমনই তিন ধরনের ফলের সন্ধান রইল ।
বেরিজাতীয় ফল
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরির মতো বেরিজাতীয় ফল ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইবারে পরিপূর্ণ। এসব ফল চুলে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া বেরিজাতীয় ফলে ভিটামিন সি রয়েছে, যা কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে এবং চুলের অকালপক্বতা রোধ করে। পাশাপাশি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলের ঘনত্ব বজায় রাখে।
পাকা পেঁপে
পাকা পেঁপে ত্বক ও চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। এই ফলের মধ্যে ভিটামিন এ রয়েছে, যা সেবাম উৎপাদনে সাহায্য করে। এই প্রাকৃতিক তেল স্ক্যাল্প ও চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে। এ ছাড়া পাকা পেঁপে খেলে চুলে দ্রুত হারে বেড়ে ওঠে ও স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য বজায় থাকে।
পাকা পেঁপের মধ্যে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফোলেট রয়েছে, যা চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগায় এবং সুন্দর চুল গঠনে সাহায্য করে। পাকা পেঁপে খাওয়ার পাশাপাশি চুলেও মাখতে পারেন।
কমলালেবু
এই শীতকালীন ফল ভিটামিন সি-তে ভরপুর। এর পুষ্টি কোলাজেন গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া চুলকে মজবুত করতে, স্প্লিট এন্ডের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। সুন্দর চুল পেতে প্রতিদিন একটি করে কমলালেবু খান।
কমলালেবুতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করে দেহের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং কম বয়সে চুলে পাক ধরে না। কমলালেবুতে থাকা ফলিক এসিড চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কমলালেবুর রস নারকেল তেলে মিশিয়ে চুল ও স্ক্যাল্পে মাখতেও পারেন।