ঢাকা ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদালতে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিল বদরুল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:০১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০১৬
  • ২৬৯ বার

‘লজিংয়ে থাকা সময় থেকেই খাদিজাকে পছন্দ করতাম। তখনও তাকে অনেকবার প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু রাজি হয়নি। বার বার প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় খাদিজাকে কুপিয়েছি। ওই দিন এমসি কলেজের ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম তার সঙ্গে শেষ বুঝা-পড়া করতে। কিন্তু তার বান্ধবীদের সামনেও খাদিজা তার প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এ কারনে সঙ্গে থাকা চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছি।’

– সিলেটের খাদিজার উপর হামলাকারী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম পুলিশ ও আদালতের কাছে এসব কথা জানিয়েছে। বুধবার বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে সরাবন তহুরার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে হামলার পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়েছে সে।

আদালতে ও পুলিশের কাছে বদরুল

জানিয়েছে, ‘খাদিজা স্কুলে পড়ার সময় সে খাদিজাদের আউশা গ্রামের বাড়িতে লজিং থেকেছে। ওই সময় খাদিজাকে কিছু দিন পড়িয়েছে। এরপর খাদিজার প্রেমে পড়ে যায় সে। কিন্তু খাদিজা বার বারই তার প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। পরবর্তীতে খাদিজা পরিবারের কাছে বিষয়টি জানিয়ে দিলে তাকে লজিং থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।’

আজ বিকেল ৩ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত আদালতে জবানবন্দি দেয়। আহত খাদিজা বেগম নার্গিসকে সোমবার বিকেলে এমসি কলেজের পুকুর পাড়ে কথিত প্রেমিক ছাত্রলীগ নেতা বদরুল হামলা করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অস্ত্রোপচার হলেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মঙ্গলবার ভোরে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর দৃশ্য দূর থেকে ভিডিও ধারণ করলেও কেউ এগিয়ে যায়নি। পুলিশ জানায়, তারা ভিডিওটি দেখেছেন এবং কোপানোর ধরন দেখে বোঝা যায় হত্যা করার উদ্দেশ্যেই কোপানো হচ্ছে।

ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী একজনের মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সোমবার রাতেই প্রকাশ পেয়েছে। ঘটনার সময় কয়েকজন যুবক এগিয়ে গেলেও আবার তাদের দৌড়ে পালিয়ে আসতে দেখা গেছে। এসময় ভিডিও ধারণকারী নারী কণ্ঠে শুধু ‘ও মাই গড…ও মাই গড’ বলতে শোনা যায় এবং ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছে,হামলাকারীকে স্থানীয়রা আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সপোর্দ করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আদালতে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিল বদরুল

আপডেট টাইম : ০৮:০১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০১৬

‘লজিংয়ে থাকা সময় থেকেই খাদিজাকে পছন্দ করতাম। তখনও তাকে অনেকবার প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু রাজি হয়নি। বার বার প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় খাদিজাকে কুপিয়েছি। ওই দিন এমসি কলেজের ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম তার সঙ্গে শেষ বুঝা-পড়া করতে। কিন্তু তার বান্ধবীদের সামনেও খাদিজা তার প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এ কারনে সঙ্গে থাকা চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছি।’

– সিলেটের খাদিজার উপর হামলাকারী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম পুলিশ ও আদালতের কাছে এসব কথা জানিয়েছে। বুধবার বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে সরাবন তহুরার আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে হামলার পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়েছে সে।

আদালতে ও পুলিশের কাছে বদরুল

জানিয়েছে, ‘খাদিজা স্কুলে পড়ার সময় সে খাদিজাদের আউশা গ্রামের বাড়িতে লজিং থেকেছে। ওই সময় খাদিজাকে কিছু দিন পড়িয়েছে। এরপর খাদিজার প্রেমে পড়ে যায় সে। কিন্তু খাদিজা বার বারই তার প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। পরবর্তীতে খাদিজা পরিবারের কাছে বিষয়টি জানিয়ে দিলে তাকে লজিং থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।’

আজ বিকেল ৩ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত আদালতে জবানবন্দি দেয়। আহত খাদিজা বেগম নার্গিসকে সোমবার বিকেলে এমসি কলেজের পুকুর পাড়ে কথিত প্রেমিক ছাত্রলীগ নেতা বদরুল হামলা করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অস্ত্রোপচার হলেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মঙ্গলবার ভোরে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর দৃশ্য দূর থেকে ভিডিও ধারণ করলেও কেউ এগিয়ে যায়নি। পুলিশ জানায়, তারা ভিডিওটি দেখেছেন এবং কোপানোর ধরন দেখে বোঝা যায় হত্যা করার উদ্দেশ্যেই কোপানো হচ্ছে।

ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী একজনের মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সোমবার রাতেই প্রকাশ পেয়েছে। ঘটনার সময় কয়েকজন যুবক এগিয়ে গেলেও আবার তাদের দৌড়ে পালিয়ে আসতে দেখা গেছে। এসময় ভিডিও ধারণকারী নারী কণ্ঠে শুধু ‘ও মাই গড…ও মাই গড’ বলতে শোনা যায় এবং ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছে,হামলাকারীকে স্থানীয়রা আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সপোর্দ করে।