ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঞ্চগড়ে দুইদিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৪ বার

হিমালয় কন্যাখ্যাত উত্তরের সীমান্ত শীত প্রবন জেলা পঞ্চগড়ে ডিসেম্বরের শেষে শীত জেঁকে বসেছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীর ঘরে বিরাজ করছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৯-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে উঠানামা করছে। তবে, গতকাল সোমবার সকাল ৯ টায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।

এদিকে সমগ্র জেলা কুয়াশায় ঢেকে গেছে। গত দুই দিন ধরে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে সমগ্র এলাকা। বিকেল থেকে পর দিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে পথঘাট। দুপুরের পর কিছুক্ষণের জন্য সুর্য উঁকি দিলেও কুয়াশার কারণে সুর্য উত্তাপ ছড়াতে পারছে না। তাপহীন সূর্যের কারণে দিনের বেলাতেও কনকনে শীত অনুভুত হচ্ছে।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। কনকনে হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পরেছে এই জনপদের মানুষ। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষগুলো বেশ দুর্ভোগে পড়েছেন। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকে শীতে কষ্ট পাচ্ছেন। গ্রামীন জনপদের অনেক দরিদ্র পরিবার সকালে ও সন্ধ্যায় খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। তীব্র শীতে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশী কষ্ট পাচ্ছেন। এদিকে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানান রোগে আক্রান্তও হচ্ছেন। জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্য বেড়ে গেছে। এই শীতে গবাদি পশুগুলোর অবস্থাও জবুথবু।

এবার শীতে সরকারি ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভাবপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আকাশে মেঘ কেটে যাওয়ায় কুয়াশা বেড়ে গেছে। কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলোকে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এই অঞ্চলটি হিমালয় পাহাড়ের কাছাকাছি হওয়ায় বরফের পাহাড় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাসে শীতের তীব্রতা বেশী।

তিনি আরো জানান, আগামী জানুয়ারীতে তাপমাত্রা আরও কমে আসার শঙ্কা রয়েছে এবং একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো.সাবেত আলী জানান, শীত মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম দফায় দুই হাজার কম্বল দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে শীতবস্ত্র ক্রয়ের জন্য ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এই টাকা দিয়ে অতি দ্রুত কম্বল এবং শীতবস্ত্র ক্রয় করে অসহায় দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

তিনি সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের পঞ্চগড়ের শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের আহ্বান জানিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পঞ্চগড়ে দুইদিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি

আপডেট টাইম : ০৬:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

হিমালয় কন্যাখ্যাত উত্তরের সীমান্ত শীত প্রবন জেলা পঞ্চগড়ে ডিসেম্বরের শেষে শীত জেঁকে বসেছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীর ঘরে বিরাজ করছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৯-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে উঠানামা করছে। তবে, গতকাল সোমবার সকাল ৯ টায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।

এদিকে সমগ্র জেলা কুয়াশায় ঢেকে গেছে। গত দুই দিন ধরে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে সমগ্র এলাকা। বিকেল থেকে পর দিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে পথঘাট। দুপুরের পর কিছুক্ষণের জন্য সুর্য উঁকি দিলেও কুয়াশার কারণে সুর্য উত্তাপ ছড়াতে পারছে না। তাপহীন সূর্যের কারণে দিনের বেলাতেও কনকনে শীত অনুভুত হচ্ছে।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। কনকনে হাড়কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে পরেছে এই জনপদের মানুষ। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষগুলো বেশ দুর্ভোগে পড়েছেন। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকে শীতে কষ্ট পাচ্ছেন। গ্রামীন জনপদের অনেক দরিদ্র পরিবার সকালে ও সন্ধ্যায় খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। তীব্র শীতে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশী কষ্ট পাচ্ছেন। এদিকে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানান রোগে আক্রান্তও হচ্ছেন। জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্য বেড়ে গেছে। এই শীতে গবাদি পশুগুলোর অবস্থাও জবুথবু।

এবার শীতে সরকারি ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভাবপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় পঞ্চগড়ে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আকাশে মেঘ কেটে যাওয়ায় কুয়াশা বেড়ে গেছে। কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলোকে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এই অঞ্চলটি হিমালয় পাহাড়ের কাছাকাছি হওয়ায় বরফের পাহাড় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাসে শীতের তীব্রতা বেশী।

তিনি আরো জানান, আগামী জানুয়ারীতে তাপমাত্রা আরও কমে আসার শঙ্কা রয়েছে এবং একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো.সাবেত আলী জানান, শীত মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম দফায় দুই হাজার কম্বল দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে শীতবস্ত্র ক্রয়ের জন্য ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এই টাকা দিয়ে অতি দ্রুত কম্বল এবং শীতবস্ত্র ক্রয় করে অসহায় দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

তিনি সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের পঞ্চগড়ের শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের আহ্বান জানিয়েছেন।