ঢাকা ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদনে সফল জননী সুষমা ঘোষ ও মাহফুজা আক্তার শিমু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৪০:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১২ বার

নিজাম (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদন উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম চত্রমপুর। সেই গ্রামের নারী সুষমা ঘোষ (৬০) এবার হাওরপাড়ের সফল জননী। সন্তানদের সাফল্যে অগ্রণী ভূমিকা থাকায় তাঁকে সফল জননী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রোকেয়া দিবসে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সফল জননী সুষমা ঘোষকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, চত্রমপুর গ্রামের কৃষক অরুন চন্দ্র ঘোষের স্ত্রী সুষমা ঘোষ। তাঁর ৩ ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে অঞ্জন চন্দ্র ঘোষ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত। মেজো ছেলে রঞ্জন ঘোষ বাবার পেশা কৃষি কাজের পাশাপাশি গবাদি পশুর খামার করে নিজেই স্বাবলম্বী। ছোট ছেলে ডা. নয়ন চন্দ্র ঘোষ ৪২ তম বিসিএসে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সন্তানদের এমন সাফল্যর পিছনে মায়ের অগ্রণী ভূমিকা থাকায় তিনি সফল জননী হিসাবে মনোনীত হয়েছেন।

এছাড়াও অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন করায় মাহফুজা আক্তার শিমু ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় তাহমিন আরা বেগমকে জয়িতা হিসাবে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে।

সুষমা ঘোষ জানান, আমার স্বামী একজন আদর্শবান কৃষক এবং আমি একজন গৃহিনী। ভোরের পাখির ঘুমভাঙ্গার সাথে সাথেই স্বামীকে কৃষিকাজে পাঠিয়ে দিতাম। তারপর সন্তানদের জন্য রান্নাবান্না করে তাদেরকে স্কুল পাঠাতাম। তারপর ব্যস্থ থাকতাম পরিবারের কাজ নিয়ে। সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আমি রাসাক্ষণ পরিশ্রম করতাম। সন্তাদের সাফল্যে হাওরপাড়ের একজন মা হিসেবে আজ আমি গর্বিত। আমার পরশ্রম সফল হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, সুষমা ঘোষ মা হিসাবে তাঁর সন্তানদের প্রতি দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট আন্তরিক ছিলেন। তাঁর ভূমিকার কারণেই তাঁর সন্তানরা দেশের শ্রেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাই তাঁকে সফল জননী হিসাবে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন করায় মাহফুজা আক্তার শিমু ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় তাহমিন আরা বেগমকে জয়িতা হিসাবে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মদনে সফল জননী সুষমা ঘোষ ও মাহফুজা আক্তার শিমু

আপডেট টাইম : ০২:৪০:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজাম (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদন উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রাম চত্রমপুর। সেই গ্রামের নারী সুষমা ঘোষ (৬০) এবার হাওরপাড়ের সফল জননী। সন্তানদের সাফল্যে অগ্রণী ভূমিকা থাকায় তাঁকে সফল জননী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রোকেয়া দিবসে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সফল জননী সুষমা ঘোষকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, চত্রমপুর গ্রামের কৃষক অরুন চন্দ্র ঘোষের স্ত্রী সুষমা ঘোষ। তাঁর ৩ ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে অঞ্জন চন্দ্র ঘোষ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত। মেজো ছেলে রঞ্জন ঘোষ বাবার পেশা কৃষি কাজের পাশাপাশি গবাদি পশুর খামার করে নিজেই স্বাবলম্বী। ছোট ছেলে ডা. নয়ন চন্দ্র ঘোষ ৪২ তম বিসিএসে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সন্তানদের এমন সাফল্যর পিছনে মায়ের অগ্রণী ভূমিকা থাকায় তিনি সফল জননী হিসাবে মনোনীত হয়েছেন।

এছাড়াও অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন করায় মাহফুজা আক্তার শিমু ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় তাহমিন আরা বেগমকে জয়িতা হিসাবে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে।

সুষমা ঘোষ জানান, আমার স্বামী একজন আদর্শবান কৃষক এবং আমি একজন গৃহিনী। ভোরের পাখির ঘুমভাঙ্গার সাথে সাথেই স্বামীকে কৃষিকাজে পাঠিয়ে দিতাম। তারপর সন্তানদের জন্য রান্নাবান্না করে তাদেরকে স্কুল পাঠাতাম। তারপর ব্যস্থ থাকতাম পরিবারের কাজ নিয়ে। সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আমি রাসাক্ষণ পরিশ্রম করতাম। সন্তাদের সাফল্যে হাওরপাড়ের একজন মা হিসেবে আজ আমি গর্বিত। আমার পরশ্রম সফল হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, সুষমা ঘোষ মা হিসাবে তাঁর সন্তানদের প্রতি দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট আন্তরিক ছিলেন। তাঁর ভূমিকার কারণেই তাঁর সন্তানরা দেশের শ্রেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাই তাঁকে সফল জননী হিসাবে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন করায় মাহফুজা আক্তার শিমু ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় তাহমিন আরা বেগমকে জয়িতা হিসাবে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়েছে।