ঢাকা ০৭:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় মনোনীত ব্যক্তিদের বোমা হামলার হুমকি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
  • ২ বার

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রীসভার পাশাপাশি হোয়াইট হাউস টিমের মনোনীত সদস্যরা বোমা হামলার হুমকি পেয়েছেন।গত মঙ্গলবার রাত ও গতকাল বুধবার এসব হুমকি দেওয়া হয়। হুমকির বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।

মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, তারা অসংখ্য বোমা হামলার হুমকি এবং এ-সংক্রান্ত ভুয়া ফোনকলের তথ্য পেয়েছে। মূলত লক্ষ্যবস্তুর বাড়িতে পুলিশ জড়ো করার জন্য এসব ভুয়া ফোনকল করা হয়েছিল বলে ধারণা করছেন তারা।

তবে বোমা হামলার হুমকি কারা দিয়েছে, মনোনীত কাদেরকে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি এফবিআই।

প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার প্রতিরক্ষা, আবাসন, কৃষি ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিসহ নয়জনের বিরুদ্ধে এসব হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তিও আছেন।

ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতিসংক্রান্ত (ট্রানজিশন) দলের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘ট্রাম্পের প্রশাসনে মনোনীত ব্যক্তিরা এবং তাদের সাথে বসবাসকারীরা হিংসাত্মক ও অ-আমেরিকান হুমকির লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন।’

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ট্রাম্পের প্রশাসনে মনোনীতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারীরা দ্রুত কাজ কর।

হুমকি প্রসঙ্গে বিবিসি জানিয়েছে, জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ট্রাম্পের মনোনয়ন পাওয়া নিউইয়র্কের রিপাবলিকান পার্টির নারী কংগ্রেস সদস্য এলিস স্টেফানিকের পারিবারিক বাড়িতে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্টেফানিকের দপ্তর জানিয়েছে, এ সময় তিনি স্বামী ও তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে থ্যাংকসগিভিং পালন করতে ওয়াশিংটন থেকে নিউইয়র্কে আসছিলেন। তখনই হুমকির বিষয়টি তাকে জানানো হয়।

এছাড়া হুমকি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে ট্রাম্পের মনোনীত প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক এক্স বার্তায় বলেন, ‘বুধবার সকালে পুলিশের এক কর্মকর্তা আমার বাড়িতে এসেছিলেন। পুলিশ তাকে পাইপ বোমা হামলার হুমকির তথ্য জানিয়েছেন। সে সময় আমি সাত সন্তান বাড়িতে ঘুমিয়েছিলাম।’

এ বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, ‘আমাকে ভয় দেখিয়ে কাজ হবে না। কখনোই না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে সেবা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন এবং আমি এটাই করতে চাই।’

যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার প্রশাসক হিসেবে ট্রাম্পের মনোনয়ন পাওয়া লি জেলডিনও তার বাড়িতে ‘পাইপ বোমা হামলার’ হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হুমকি পাওয়ার সময় তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন না। তবে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় তিনি স্থানীয় কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

এছাড়াও একই রকম হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্পের প্রশাসনের কৃষিমন্ত্রী ব্রুক রোলিন্স, আবাসনমন্ত্রী স্কট টার্নার ও শ্রমমন্ত্রী লোরি শাভেজ-ডিরেমার।

এদিকে তুমুল বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে ট্রাম্প প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া ফ্লোরিডার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজও হুমকি পেয়েছেন বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকির ঘটনাগুলো প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জানানো হয়েছে। হোয়াইট হাউস এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো হুমকিতে থাকা ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় মনোনীত ব্যক্তিদের বোমা হামলার হুমকি

আপডেট টাইম : ০৬:০২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রীসভার পাশাপাশি হোয়াইট হাউস টিমের মনোনীত সদস্যরা বোমা হামলার হুমকি পেয়েছেন।গত মঙ্গলবার রাত ও গতকাল বুধবার এসব হুমকি দেওয়া হয়। হুমকির বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ।

মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, তারা অসংখ্য বোমা হামলার হুমকি এবং এ-সংক্রান্ত ভুয়া ফোনকলের তথ্য পেয়েছে। মূলত লক্ষ্যবস্তুর বাড়িতে পুলিশ জড়ো করার জন্য এসব ভুয়া ফোনকল করা হয়েছিল বলে ধারণা করছেন তারা।

তবে বোমা হামলার হুমকি কারা দিয়েছে, মনোনীত কাদেরকে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি এফবিআই।

প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার প্রতিরক্ষা, আবাসন, কৃষি ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিসহ নয়জনের বিরুদ্ধে এসব হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তিও আছেন।

ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতিসংক্রান্ত (ট্রানজিশন) দলের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘ট্রাম্পের প্রশাসনে মনোনীত ব্যক্তিরা এবং তাদের সাথে বসবাসকারীরা হিংসাত্মক ও অ-আমেরিকান হুমকির লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন।’

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ট্রাম্পের প্রশাসনে মনোনীতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারীরা দ্রুত কাজ কর।

হুমকি প্রসঙ্গে বিবিসি জানিয়েছে, জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ট্রাম্পের মনোনয়ন পাওয়া নিউইয়র্কের রিপাবলিকান পার্টির নারী কংগ্রেস সদস্য এলিস স্টেফানিকের পারিবারিক বাড়িতে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, স্টেফানিকের দপ্তর জানিয়েছে, এ সময় তিনি স্বামী ও তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে থ্যাংকসগিভিং পালন করতে ওয়াশিংটন থেকে নিউইয়র্কে আসছিলেন। তখনই হুমকির বিষয়টি তাকে জানানো হয়।

এছাড়া হুমকি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে ট্রাম্পের মনোনীত প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক এক্স বার্তায় বলেন, ‘বুধবার সকালে পুলিশের এক কর্মকর্তা আমার বাড়িতে এসেছিলেন। পুলিশ তাকে পাইপ বোমা হামলার হুমকির তথ্য জানিয়েছেন। সে সময় আমি সাত সন্তান বাড়িতে ঘুমিয়েছিলাম।’

এ বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, ‘আমাকে ভয় দেখিয়ে কাজ হবে না। কখনোই না। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাকে সেবা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন এবং আমি এটাই করতে চাই।’

যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার প্রশাসক হিসেবে ট্রাম্পের মনোনয়ন পাওয়া লি জেলডিনও তার বাড়িতে ‘পাইপ বোমা হামলার’ হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হুমকি পাওয়ার সময় তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন না। তবে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় তিনি স্থানীয় কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

এছাড়াও একই রকম হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্পের প্রশাসনের কৃষিমন্ত্রী ব্রুক রোলিন্স, আবাসনমন্ত্রী স্কট টার্নার ও শ্রমমন্ত্রী লোরি শাভেজ-ডিরেমার।

এদিকে তুমুল বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে ট্রাম্প প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া ফ্লোরিডার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজও হুমকি পেয়েছেন বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকির ঘটনাগুলো প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জানানো হয়েছে। হোয়াইট হাউস এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো হুমকিতে থাকা ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করছে এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।