রাজধানীর শাহবাগে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশের চেষ্টা করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে করে দাঙ্গা সৃষ্টির অভিযোগের মামলায় অহিংস গণঅভ্যুত্থানের সংগঠক মাহবুবুল আলম চৌধুরীসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন
কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান, সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদ, মেহেদী হাসান, রাহাত ইমাম নোমান, মাসুদ, ইব্রাহিম, আলেক ফরাজী, সাইফুল ইসলাম, আবু বক্কর, রিংকু,নিজাম উদ্দিন, সৈয়দ হারুন অর রশিদ, আফজাল মন্ডল, আব্দুর রহিম, নুরনবী, শহিদ ও কোহিনুর আক্তার।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফজুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগাররে আটক রাখার আবেদন করেন।
শুনানিকালে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করে তা বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার শুনানির তারিখ ঠিক করে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে, অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তাফা আমীন গেপ্তারের পর বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে মর্মে আদালতকে জানিয়ে তাকে আদালতে হাজির করতে কাস্টডি ওয়ারেন্ট জারির আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। সে অনুযায়ী আদালত সুস্থতা সাপেক্ষে তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর সকালে রাজধানীর শাহবাগে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশের চেষ্টা করে অহিংস গণঅভ্যুত্থান নামের একটি সংগঠন। অহিংস গণঅভ্যুত্থান নামের সংগঠনটি সারাদেশের খেটে খাওয়া গরিব মানুষগুলোকে টার্গেট করে বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত এনে সেগুলো বিনাসুদে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। এর বিনিময়ে রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ জনপ্রতি এক হাজার করে টাকাও হাতিয়ে নেয় তারা। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার এসআই হারুন অর রশিদ এই মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৫ নভেম্বর ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার সাধারণ মানুষকে বিনাসুদে ঋণ দেওয়ার কথা বলে বেআইনি জনতাবন্ধ হয়ে শাহবাগ মোড়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটায়।
আসামিরা বেআইনি জনতাবদ্ধে দাঙ্গা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি অবনতি ঘটনার জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা হতে সাধারণ জনসাধারণকে বিনাসুদে ঋণ দেওয়ার কথা বলে শাহবাগ থানাধীন শাহবাগ মোড়ে এনে বেআইনি জনতাবন্ধে জমায়েত হয়। আসামিরা শাহবাগ মোড়ে থাকা ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাজে ব্যবহৃত প্লস্টিকের রোড ডিভাইডার ভেঙে অনুমান বিশ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।