দেশে ফিরে এলেন পাচারের শিকার হওয়া ২৪ জন নারী, শিশু ও পুরুষ। তারা প্রতিবেশি দেশ ভারতে পাচার হয়েছিলেন।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে তাদেরকে বেনাপোল-পেট্রোপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে হস্তান্তর করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের পক্ষে তাদেরকে গ্রহণ করেন যশোরের শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজিব হাসান, বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহসানুল কাদের ভূইয়া, সেকেন্ড অফিসার নয়ন রয়, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা আবু তাহের, রাইটস যশোরের কর্মকর্তা সরোয়ার হোসেন ও তৌফিকুজ্জামান প্রমুখ।
প্রত্যাবাসিতদের এই ২৪ জনের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী রয়েছেন। তাদের বাড়ি যশোর, নড়াইল, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, কুমিল্লা, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, লালমনিরহাট এবং ঢাকা জেলায়।
রাইটস যশোরের তৌফিকুজ্জামান জানান, প্রত্যাবাসন করা নারীরা এক থেকে আট বছর আগে চাকরির প্রলোভনে পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে ভারতে যান। তাদেরকে প্রতিশ্রুত কাজ না দিয়ে খারাপ কাজে ব্যবহার করেন পাচারকারীরা। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে আদালতের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সরকারি শেল্টারহোমে প্রেরণ করে। সেখান থেকে খবর পেয়ে রাইটস যশোর হোম ইনভেস্টিগেশনের মাধ্যমে সার্ভাইভারদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে। পরে দুই দেশের সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদেরকে দেশে পাঠানো হয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি ইমতিয়াজ আহসানুল কাদের ভূইয়া জানিয়েছেন, প্রত্যাবাসিতরা পাচারের শিকার হয়েছিলেন। তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে পাচারকারীরা চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করেছিল। বেনাপোল উপজেলা প্রশাসন ও ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকে তাদেরকে গ্রহণ করে বেনাপোল পোর্ট থ্যনায় হস্থান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে রাইটস যশোর ও জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ৯ জন করে, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ৫ জন এবং এসিডি রাজশাহী ১ জনকে জিম্মায় নিয়েছে।
তৌফিকজ্জজামান জানান, সার্ভাইভারদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হবে। তার আগে তাদের মানসিক অবস্থার উন্নয়নসহ প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের লক্ষ্যে রাইটস যশোরের শেল্টারহোমে রাখা হবে।