ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হামলা চালাতে চায় ভারত, প্রস্তুত পাকিস্তান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • ৩২৮ বার

ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে বিচ্ছিন্নতবাদীদের হামলায় ১৭ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

কাশ্মিরে সেনা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষিপ্ত ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে হামলা চালাতে চায় বলে জানিয়েছে ভারতীয় মিডিয়া।

ভারতের আনন্দবাজার গ্রুপেরসহ কয়েকটি মিডিয়ায় বলা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার ৭৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কার্যকলাপ আরো বাড়াতে চলেছে তারা।

সেনাবাহিনীর একটা বড় অংশের দাবি, সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান ভূখণ্ডে সীমিত সময়ের জন্য হামলা ঘটানো হোক, যাতে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেয়া যায়।

এদিকে কমান্ডারদের সঙ্গে সেনাপ্রধান বৈঠক করে প্রস্তুত রয়েছে পাকিস্তান। কমান্ডারদের সঙ্গে

বৈঠক করে পাকিস্তান সব ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরীফ।

জেনারেল হেডকোয়াটার্সে ওই বৈঠকের পর পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

পাক সেনাপ্রধান বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী দৃঢ়প্রত্যয়ী জাতিকে নিয়ে প্রত্যেকটা হুমকি কাটিয়ে উঠেছে এবং ভবিষ্যতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও ঐক্যের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের অশুভ পরিকল্পনাও তারা রুখে দেবে।

এর আগে কাশ্মিরে সেনাঘাঁটিতে হামলাকারীরা পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত বলে দাবি করে ভারত। দেশটির সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে সীমিত আকারে হামলা চালিয়ে হলেও পাকিস্তানকে উচিত ‘শিক্ষা দিতে’ সরকারের ওপর চাপ দেয়।

তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ভারতে এ ধরনের হামলা হলেই পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হয় বলেও অভিযোগ করেন পাক কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে আক্রান্ত হলে ভারতের বিরুদ্ধে ‘সব অস্ত্র ভাণ্ডার’ ব্যবহারেরও হুমকি দেয় পরমাণু বোমার অধিকারী দেশটি।

রোববার ভোরে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী লাইন অব কন্ট্রোলের কাছে বারামুল্লা জেলার শ্রীনগর-মুজাফফরাবাদ হাইওয়ের উরিতে ভারতীয় একটি ব্রিগেড সদর দফতরে হামলা চালায় চার বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধা। এতে ১৭ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। আহত হয় আরো ১২ সেনা।

সেনাদের সঙ্গে ছয় ঘণ্টার বন্দুকযুদ্ধে চার হামলাকারীও নিহত হয়। তারা পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদির সদস্য বলে দাবি করে ভারত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হামলা চালাতে চায় ভারত, প্রস্তুত পাকিস্তান

আপডেট টাইম : ১০:০৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে বিচ্ছিন্নতবাদীদের হামলায় ১৭ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

কাশ্মিরে সেনা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষিপ্ত ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে হামলা চালাতে চায় বলে জানিয়েছে ভারতীয় মিডিয়া।

ভারতের আনন্দবাজার গ্রুপেরসহ কয়েকটি মিডিয়ায় বলা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার ৭৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কার্যকলাপ আরো বাড়াতে চলেছে তারা।

সেনাবাহিনীর একটা বড় অংশের দাবি, সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান ভূখণ্ডে সীমিত সময়ের জন্য হামলা ঘটানো হোক, যাতে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেয়া যায়।

এদিকে কমান্ডারদের সঙ্গে সেনাপ্রধান বৈঠক করে প্রস্তুত রয়েছে পাকিস্তান। কমান্ডারদের সঙ্গে

বৈঠক করে পাকিস্তান সব ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হুমকি মোকাবেলায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরীফ।

জেনারেল হেডকোয়াটার্সে ওই বৈঠকের পর পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

পাক সেনাপ্রধান বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী দৃঢ়প্রত্যয়ী জাতিকে নিয়ে প্রত্যেকটা হুমকি কাটিয়ে উঠেছে এবং ভবিষ্যতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও ঐক্যের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের অশুভ পরিকল্পনাও তারা রুখে দেবে।

এর আগে কাশ্মিরে সেনাঘাঁটিতে হামলাকারীরা পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত বলে দাবি করে ভারত। দেশটির সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে সীমিত আকারে হামলা চালিয়ে হলেও পাকিস্তানকে উচিত ‘শিক্ষা দিতে’ সরকারের ওপর চাপ দেয়।

তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ভারতে এ ধরনের হামলা হলেই পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হয় বলেও অভিযোগ করেন পাক কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে আক্রান্ত হলে ভারতের বিরুদ্ধে ‘সব অস্ত্র ভাণ্ডার’ ব্যবহারেরও হুমকি দেয় পরমাণু বোমার অধিকারী দেশটি।

রোববার ভোরে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী লাইন অব কন্ট্রোলের কাছে বারামুল্লা জেলার শ্রীনগর-মুজাফফরাবাদ হাইওয়ের উরিতে ভারতীয় একটি ব্রিগেড সদর দফতরে হামলা চালায় চার বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধা। এতে ১৭ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। আহত হয় আরো ১২ সেনা।

সেনাদের সঙ্গে ছয় ঘণ্টার বন্দুকযুদ্ধে চার হামলাকারীও নিহত হয়। তারা পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদির সদস্য বলে দাবি করে ভারত।