বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেন। তারা দুজনই বসুন্ধরা গ্রুপের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।
জানা গেছে, ইতোমধ্যেই পদত্যাগপত্র ই-মেইল ও ডাকযোগে বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছেন তারা।
চাকরি ছাড়ার কারণ হিসেবে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে কর্মস্থলে উপস্থিত হতে পারছেন না।
গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে চাকরি ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেন।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াসিন হোসেন পাভেল পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহীদ আবু সাঈদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার দুই ভাই আবু হোসেন ও রমজান আলীর নিয়োগপত্র দেন। এর একদিন পর ১০ অক্টোবর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পান শহীদ আবু সাঈদের বোন সুমি খাতুন।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে রমজান আলী বলেন, ‘গত ৯ অক্টোবর আমাদের বাড়িতে এসে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ইয়াসিন হোসেন আমাদের দুই ভাইয়ের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। আমাকে করা হয়েছিল বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার এক্সিকিউটিভ কর্মকর্তা ও আমার ছোট ভাই আবু হোসেনকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের এক্সিকিউটিভ কর্মকর্তা। আমাদের কর্মস্থল বলা হয় রংপুরে। কিন্তু কী কাজ, আমরা জানি না। তাই কর্মস্থলে যোগদান করিনি। ৮ নভেম্বর আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এদিকে আবু হোসেন বলেন, ‘৮ নভেম্বর বসুন্ধরা গ্রুপের ই-মেইলে পাঠালেও ১০ নভেম্বর কর্তৃপক্ষের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও পদত্যাগপত্র পাঠাই। মঙ্গলবার রেজিস্ট্রি করে ডাকযোগেও পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।’
চাকরি ছাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আবু হোসেন স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে কর্মস্থলে উপস্থিত হতে পারছি না। তাই কাজ ছাড়া বেতন নিয়ে আবু সাঈদের আত্মত্যাগের মহিমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাই না আমরা।’
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।