ঢাকা ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কানের দুল ছিনিয়ে নিতে হত্যা, বিক্রি করে রেস্টুরেন্টে খেতে গেল ফুফু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩১:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৫ বার
যশোরের ঝিকরগাছায় সাদিয়া খাতুন (৭) নামে এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ফুফু চম্পা খাতুনের (২৩) বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত চম্পাকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) নিখোঁজের পর একটি বাঁশবাগানে সাদিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত সাদিয়া উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামের মোহাম্মদ বাবুর মেয়ে।

সে স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করত।জানা যায়, চম্পা ওই শিশুটির সম্পর্কে ফুফু হন। শিশুটির কানে থাকা সোনার দুল হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশে চম্পা তাকে হত্যা করেন। পরে সেই দুল বিক্রি করে রেস্তোরাঁয় খাওয়া-দাওয়া করেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সাদিয়া সময়মতো বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা তার খুঁজতে শুরু করেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে একটি বাঁশবাগানে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।

নিহত সাদিয়ার বাবা মোহাম্মদ বাবু অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘চম্পা মাদকসেবী। সাদিয়ার কানে থাকা সোনার দুলের লোভে সে তাকে হত্যা করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাদিয়া মাদরাসা থেকে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ির পাশে তার সঙ্গে চম্পার দেখা হয়। চম্পা তাকে ফুঁসলিয়ে পাশের হারুন অর রশিদের বাঁশবাগানে নিয়ে যায়।

সেখানে সাদিয়ার গায়ের গেঞ্জি খুলে গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে।’

ঝিকরগাছা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবু সাইদ বলেন, ‘শিশুটির গায়ের গেঞ্জি গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় চম্পা খাতুন নামের এক নারীকে আটক করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসপি রেশমা শারমিন জানান, আটক চম্পা ইয়াবাসেবী বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। তিনি শিশুটির কানে থাকা সোনার দুল হাতিয়ে নেওয়ার লোভে তাকে হত্যা করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

পুলিশ সুপার রেশমা বলেন, ‘চম্পা শিশুটির কান থেকে দুল খুলে নিয়ে যশোর শহরে এসে একটি দোকানে তা বিক্রি করে। এরপর সেই টাকা দিয়ে শহরের জেনারেল হাসপাতালের সামনে ভৈরব হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করে। ঝিকরগাছা পুলিশ কানের দুল উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যে যশোর শহরের দিকে রওনা হয়েছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কানের দুল ছিনিয়ে নিতে হত্যা, বিক্রি করে রেস্টুরেন্টে খেতে গেল ফুফু

আপডেট টাইম : ০৬:৩১:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪
যশোরের ঝিকরগাছায় সাদিয়া খাতুন (৭) নামে এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ফুফু চম্পা খাতুনের (২৩) বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত চম্পাকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) নিখোঁজের পর একটি বাঁশবাগানে সাদিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত সাদিয়া উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামের মোহাম্মদ বাবুর মেয়ে।

সে স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করত।জানা যায়, চম্পা ওই শিশুটির সম্পর্কে ফুফু হন। শিশুটির কানে থাকা সোনার দুল হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশে চম্পা তাকে হত্যা করেন। পরে সেই দুল বিক্রি করে রেস্তোরাঁয় খাওয়া-দাওয়া করেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সাদিয়া সময়মতো বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা তার খুঁজতে শুরু করেন। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে একটি বাঁশবাগানে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।

নিহত সাদিয়ার বাবা মোহাম্মদ বাবু অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘চম্পা মাদকসেবী। সাদিয়ার কানে থাকা সোনার দুলের লোভে সে তাকে হত্যা করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাদিয়া মাদরাসা থেকে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ির পাশে তার সঙ্গে চম্পার দেখা হয়। চম্পা তাকে ফুঁসলিয়ে পাশের হারুন অর রশিদের বাঁশবাগানে নিয়ে যায়।

সেখানে সাদিয়ার গায়ের গেঞ্জি খুলে গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে।’

ঝিকরগাছা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবু সাইদ বলেন, ‘শিশুটির গায়ের গেঞ্জি গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় চম্পা খাতুন নামের এক নারীকে আটক করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসপি রেশমা শারমিন জানান, আটক চম্পা ইয়াবাসেবী বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। তিনি শিশুটির কানে থাকা সোনার দুল হাতিয়ে নেওয়ার লোভে তাকে হত্যা করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

পুলিশ সুপার রেশমা বলেন, ‘চম্পা শিশুটির কান থেকে দুল খুলে নিয়ে যশোর শহরে এসে একটি দোকানে তা বিক্রি করে। এরপর সেই টাকা দিয়ে শহরের জেনারেল হাসপাতালের সামনে ভৈরব হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করে। ঝিকরগাছা পুলিশ কানের দুল উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যে যশোর শহরের দিকে রওনা হয়েছে।’