ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাখো নেতাকর্মীর শোভাযাত্রা, ‘সংস্কার শেষে অতি দ্রুত’ নির্বাচন চাইল বিএনপি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪
  • ২২ বার

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে বিএনপির র‌্যালি সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় র‌্যালি শুরু করে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করে বিএনপি।

এদিন রাজধানীর নয়া পল্টন থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সমাপ্তির ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে কেন্দ্র করে ৭ নভেম্বর দিবসটি পালন করে বিএনপি। দলীয়ভাবে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে দলটি। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) অফিসের দিন থাকায় শুক্রবার (৮ নভেম্বর) র‌্যালি করেছে বিএনপি।

বিকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে র‌্যালির কার্যক্রম শুরু হয়। অস্থায়ী ট্রাকে স্থাপিত মঞ্চে সভাপতিত্ব করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। লন্ডন থেকে উদ্বোধন করেন তারেক রহমান।

উদ্বোধনী বক্তব্যে জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান তারেক রহমান বলেন, ‘আজকে রাজপথের সমাবেশ, মিছিল কারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তোলার জন্য নয়, আজকের মিছিল দেশের স্বার্থরক্ষার মিছিল।’

সমাপনী বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বিপুল অংশগ্রহণের জন্য নেতাকর্মী ও আগতদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, ঢাকার ৮টি জেলার নেতাকর্মী ও আপমর জনসাধারণ, আপনাদের বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

সব দলের প্রতি ফখরুল বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাবো, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘অতিদ্রুত সংস্কার ও অবাধ নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সংসদ ও জনগণের সরকার গঠন করতে পারবো।’

ফখরুলের বক্তব্যে যখন র‌্যালির আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির ঘোষণা দেন, তখনও র‌্যালি চলছিল। এসময় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ গেট এলাকা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ বিপুল জমায়েতে ভরে ওঠে।

র‌্যালির শেষপর্বে ভার্চুয়ালি লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও  তিনি স্থানীয় সময়ে জুমার নামাজে থাকায় তা সম্ভব হয়নি।

এসময়,বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আজকে মূলত শোডাউন করেছে বিএনপি। এই আয়োজনে  যুবদল এবং ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। নেতাকর্মীদের বিপুল অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা নানা স্লোগানে মুখরিত করেন রাখেন পুরো সময়। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নিয়ে বিরতিহীন স্লোগানে মেতেছেন নেতাকর্মীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

লাখো নেতাকর্মীর শোভাযাত্রা, ‘সংস্কার শেষে অতি দ্রুত’ নির্বাচন চাইল বিএনপি

আপডেট টাইম : ০৯:৩৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে বিএনপির র‌্যালি সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় র‌্যালি শুরু করে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করে বিএনপি।

এদিন রাজধানীর নয়া পল্টন থেকে র‌্যালি শুরু হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সমাপ্তির ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে কেন্দ্র করে ৭ নভেম্বর দিবসটি পালন করে বিএনপি। দলীয়ভাবে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে দলটি। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) অফিসের দিন থাকায় শুক্রবার (৮ নভেম্বর) র‌্যালি করেছে বিএনপি।

বিকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে র‌্যালির কার্যক্রম শুরু হয়। অস্থায়ী ট্রাকে স্থাপিত মঞ্চে সভাপতিত্ব করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। লন্ডন থেকে উদ্বোধন করেন তারেক রহমান।

উদ্বোধনী বক্তব্যে জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান তারেক রহমান বলেন, ‘আজকে রাজপথের সমাবেশ, মিছিল কারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তোলার জন্য নয়, আজকের মিছিল দেশের স্বার্থরক্ষার মিছিল।’

সমাপনী বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বিপুল অংশগ্রহণের জন্য নেতাকর্মী ও আগতদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, ঢাকার ৮টি জেলার নেতাকর্মী ও আপমর জনসাধারণ, আপনাদের বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

সব দলের প্রতি ফখরুল বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাবো, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘অতিদ্রুত সংস্কার ও অবাধ নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সংসদ ও জনগণের সরকার গঠন করতে পারবো।’

ফখরুলের বক্তব্যে যখন র‌্যালির আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির ঘোষণা দেন, তখনও র‌্যালি চলছিল। এসময় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ গেট এলাকা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ বিপুল জমায়েতে ভরে ওঠে।

র‌্যালির শেষপর্বে ভার্চুয়ালি লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও  তিনি স্থানীয় সময়ে জুমার নামাজে থাকায় তা সম্ভব হয়নি।

এসময়,বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আজকে মূলত শোডাউন করেছে বিএনপি। এই আয়োজনে  যুবদল এবং ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। নেতাকর্মীদের বিপুল অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা নানা স্লোগানে মুখরিত করেন রাখেন পুরো সময়। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নিয়ে বিরতিহীন স্লোগানে মেতেছেন নেতাকর্মীরা।