ঢাকা ০৪:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিথ্যা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ দেওয়ায় দেশ ছাড়েন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড.ওসমান ফারুক নিজ এলাকায় ফিরে কাঁদলেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • ১০ বার

বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ পর দেশ ত্যাগ করা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম ওসমান ফারুক প্রায় সাত বছর পর দেশে ফিরেছেন। বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে নিজ এলাকায় ফিরে নেতা-কর্মীদের সামনে মনের আবেগে আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেললেন তিনি।

এম ওসমান ফারুকের আগমন উপলক্ষে করিমগঞ্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গণসংবর্ধনার আয়োজন করে করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠন। অনুষ্ঠানে ওসমান ফারুক বলেন, ‘আমি চুরি করিনি, ডাকাতি করিনি, জেনেবুঝে কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিইনি। শুধু রাজনীতি করার কারণে আমাকে মিথ্যা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়।’

সাবেক এই শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে রাজনীতিতে এনেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তখন আমি আমেরিকায় বিশ্বব্যাংকে চাকরি করি। আমার চাকরির বেশ কয়েক বছর বাকি ছিল। শুধু বিএনপির রাজনীতির আদর্শের কারণেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কথায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশে এসে রাজনীতিতে যোগ দেই। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমাকে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়। মন্ত্রী থাকাকালীন সর্বদাই উন্নয়নের চিন্তা করেছি। কিশোরগঞ্জ থেকে মন্ত্রী হলেও আমি শুধু নিজ জেলার উন্নয়ন করিনি। সারা বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের চেষ্টা করেছি।’

ওসমান ফারুক বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হঠাৎ একদিন টিভিতে দেখি আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের নালিশ করা হয়েছে। সে জন্য আমাকে গ্রেপ্তার করা হবে। বিষয়টি দেখে আমি হতবাক। যিনি টিভিতে এসব বলছেন, তিনিও আমার নির্বাচনী এলাকার লোক। আমার মতো মানুষের বিরুদ্ধে যদি এমন একটি ডাহা মিথ্যা অভিযোগ তুলে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের ওপর কী পরিমাণ অত্যাচার-নিপীড়ন হয়েছে, সেটা ভাবা যায়।’

করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহসভাপতি জালাল মোহাম্মদ গাউস, জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাঈল মিয়া, আমিনুল ইসলাম, যুববিষয়ক সম্পাদক ও করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক এরশাদ আহসান, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দুলাল সিকদার প্রমুখ।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মিথ্যা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ দেওয়ায় দেশ ছাড়েন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড.ওসমান ফারুক নিজ এলাকায় ফিরে কাঁদলেন

আপডেট টাইম : ১২:৫১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ পর দেশ ত্যাগ করা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম ওসমান ফারুক প্রায় সাত বছর পর দেশে ফিরেছেন। বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে নিজ এলাকায় ফিরে নেতা-কর্মীদের সামনে মনের আবেগে আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেললেন তিনি।

এম ওসমান ফারুকের আগমন উপলক্ষে করিমগঞ্জ সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গণসংবর্ধনার আয়োজন করে করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠন। অনুষ্ঠানে ওসমান ফারুক বলেন, ‘আমি চুরি করিনি, ডাকাতি করিনি, জেনেবুঝে কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দিইনি। শুধু রাজনীতি করার কারণে আমাকে মিথ্যা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়।’

সাবেক এই শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে রাজনীতিতে এনেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তখন আমি আমেরিকায় বিশ্বব্যাংকে চাকরি করি। আমার চাকরির বেশ কয়েক বছর বাকি ছিল। শুধু বিএনপির রাজনীতির আদর্শের কারণেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কথায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশে এসে রাজনীতিতে যোগ দেই। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমাকে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়। মন্ত্রী থাকাকালীন সর্বদাই উন্নয়নের চিন্তা করেছি। কিশোরগঞ্জ থেকে মন্ত্রী হলেও আমি শুধু নিজ জেলার উন্নয়ন করিনি। সারা বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের চেষ্টা করেছি।’

ওসমান ফারুক বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হঠাৎ একদিন টিভিতে দেখি আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের নালিশ করা হয়েছে। সে জন্য আমাকে গ্রেপ্তার করা হবে। বিষয়টি দেখে আমি হতবাক। যিনি টিভিতে এসব বলছেন, তিনিও আমার নির্বাচনী এলাকার লোক। আমার মতো মানুষের বিরুদ্ধে যদি এমন একটি ডাহা মিথ্যা অভিযোগ তুলে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের ওপর কী পরিমাণ অত্যাচার-নিপীড়ন হয়েছে, সেটা ভাবা যায়।’

করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সহসভাপতি জালাল মোহাম্মদ গাউস, জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাঈল মিয়া, আমিনুল ইসলাম, যুববিষয়ক সম্পাদক ও করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক এরশাদ আহসান, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দুলাল সিকদার প্রমুখ।