আওয়ামী লীগের অক্টোবর কাউন্সিল ঘিরে দলের ভিতরে-বাইরে ব্যাপক আলোচনার ঝড় বইছে ওয়ান-ইলেভেনের সংস্কারবাদী খ্যাত হেভিওয়েট তিন নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ এবং সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ভাগ্যে কি ঘটছে, তা নিয়ে।
দলের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের মঞ্চ মাঠের প্রভাবশালী এই তিন নেতাকে ওয়ান ইলেভেনোত্তর ২০০৯ সালে কাউন্সিলে প্রেসিডিয়াম থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। আজীবন জেল, ঝুলুম নানা হয়রানির শিকার হয়ে আদর্শিক রাজনীতির পথে হাঁটা এ ৩ নেতা ওয়ান ইলেভেনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে শুধু চ্যালেঞ্জই করেননি, দলের ভিতর সংস্কারের ঝড়ও তুলেছিলেন।
কারামুক্তি ও ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাদের দিকে আঙুল তুলে বলেছিলেন-‘ক্ষমা করে দিয়েছি, কিন্তু ভুলিনি।’ পরবর্তীতে দলের প্রেসিডিয়াম ও মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেয়া না হলেও এক পর্যায়ে এসে মন্ত্রিসভায় যুক্ত করেন। বিতর্কের মুখে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিদায় নিলেও আমির হোসেন আমু এবং তোফায়েল আহমেদ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হয়ে উঠেন। দলের ভিতর গুঞ্জন এরই ধারাবাহিকতায় তাদেরকে ফের প্রেসিডিয়ামে রাখা হতে পারে।
দলীয় নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজকে নিশ্চিত করে জানায়, আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রেসিডিয়ামে পদত্যাগী মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদি্দকী এবং জোহরা তাজউদ্দিনের মৃত্যুর কারণে দু’টি পদই শূন্য রয়েছে। ফলে বর্ষিয়ান কোন নেতাদের দিয়েই সেই স্থান পূরণ করতে চান দলীয় সভানেত্রী। সেক্ষেত্রে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ এবং সুরঞ্জিত সেনের সম্ভাবনা রয়েছে বেশ ভালোভাবেই। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান প্রেসিডিয়াম থেকে কয়েকজনকে বাদও দিতে পারেন বলেও আভাস পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংখ্যালঘুদের সমর্থিত বড় নেতা। আমির হোসেন আমু বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদই নন, দলের দাপুটে নেতা ছিলেন। একসময় দলে শেখ হাসিনার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় তার ব্যাপক অবদানও রয়েছে। তোফায়েল আহমেদও একজন ৬৯’র ‘নায়ক’ই নন, রাজনীতিতে মেধাবি এবং অতীত বর্ণাঢ্য। জীবনে জেল-জুলুমও সয়েছেন অনেক। তাই জীবনের পড়ন্ত বেলায় শেখ হাসিনা ক্ষমার নীতিতে প্রেসিডিয়ামে ঠাঁই দিতেও পারেন বলে অনেকে মনে করেন।