ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগের কমিটিতে একঝাঁক নতুন মুখ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • ৩৩২ বার

আওয়ামী লীগের অক্টোবর কাউন্সিলে ওয়াকিং কমিটিতে ভাগ্যের কপাল যাদের খুলতে পারে তারা এখন দলে আলোচিত। এতদিন ওয়াকিং কমিটির বাইরে থাকলেও তারা এবার নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে নতুন কমিটিতে যুক্ত হচ্ছেন এমন আলোচনা। আবার এতদিন যারা ওয়াকিং কমিটিতে দক্ষতা দেখিয়েছেন তাদের ভাগ্যে ঘটতে যাচ্ছে পদোন্নতি। পূর্বপশ্চিমবিডি.কমের অনুসন্ধানে দলের কাউন্সিল ঘিরে যাদের কপাল খুলছে বলে আলোচান হচ্ছে তাদের অনেকের নাম উঠে এসেছে।

বর্তমান কমিটির যাদের পদোন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে তাদের মধ্যে ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, আসাদুজ্জামান নূর, মির্জা আজম, ড. হাছান মাহমুদ, এনামুল হক শামীম, সিমিন হোসেন রিমি, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখের নাম রয়েছে। ড. রাজ্জাক ও ফারুক খান প্রেসিডিয়ামে ঠাঁই পেতে পারেন।

এছাড়া মন্ত্রীসভা ও সংসদে থেকেও দলীয় কাজে ভালো করার পুরস্কার হিসেবে অনেকে আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটিতে স্থান এবং কয়েকজন পদোন্নতি পেতে পারেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনুায়েদ আহমেদ পলক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু দলের বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন বলে জানিয়েছে দলের নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সূত্র।

সংসদ সদস্যদের মধ্যে নাজমুল হাসান পাপন, ইকবালুর রহিম, জাহিদ আহসান রাসেল, ইস্রাফিল আলম, শামসুল হক টুকু, ড. হাবিবে মিল্লাত, নাহিম রাজ্জাক, নজরুল ইসলাম বাবু, রবিউল আলম মুক্তাদিরকে নতুন কমিটিতে আনা হচ্ছে। এছাড়া সংসদের বাইরে থাকা সফি আহমেদও গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন। ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের ওয়াকিং কমিটিতে যারা আসছেন তাদের কয়েকজনের নাম আলোচনায় এসেছে। এদের মধ্যে লিয়াকত সিকদার, বলরাম পোদ্দার, অজয় কর খোকন, বাহাদুর বেপারীকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হতে। নারী নেত্রীদের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনের নাম জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছে।

আসন্ন কাউন্সিলকে ঘিরে তারা যে যার মতো তৎপর রয়েছেন। গণভবন থেকে শুরু করে ধানমন্ডি কার্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের সরব উপস্থিতিও বেড়ে গেছে। আওয়ামী লীগের আগামী কমিটিতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ জন নারী নেত্রী গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন-ডা.দীপু মনি বর্তমান কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন। নতুনদের মধ্যে- তারানা হালিম, মেহের আফরোজ চুমকি, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মাহবুব আরা গিনি, খুজিস্তা নূর ই নাহরীন মুন্নী, মমতাজ বেগম, নূরজাহান মুক্তা, মুন্নুজান সুফিয়ান, ফরিদুন্নাহার লাইলী, ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পিসহ আরো কয়েকজন।

এদিকে, তারানা হালিম প্রতিমন্ত্রী হিসাবে সততা ও সাহসের স্বাক্ষর রেখেছেন। মেহের আফরোজ চুমকি ও এমিলি দীর্ঘদিন ধরে মাঠের রাজনীতি করে সরাসরি ভোটে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাদের ক্লিন ইমেজ আছে। মাহবুব আরা গিনিও উত্তর জনপদের। নিজের রাজনৈতিক অবস্থান সুসংহত করেছেন। খুজিস্তা নূর ই নাহরীন মুন্নীকে এবার সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। শেষ পর্যন্ত একটি ষড়যন্ত্রে বাহির করলেও ছাতলীগের রাজনীতি দিয়ে ক্লিনইমেজ নিয়ে সামাজিক, রাজনীতিক ও গণমাধ্যমে নিজের অবস্থান করে নেয়া দল তাকে কাজে লাগানোর কথাই ভাবছে। মন্নুজান সুফিয়ান ও ফরিদুন্নাহার লাইলি পরীক্ষিত। নূরজাহান বেগম মুক্তা ও ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি সংসদে কথা বলে সবার নজর কেড়েছেন। সংগঠক হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আওয়ামী লীগের কমিটিতে একঝাঁক নতুন মুখ

আপডেট টাইম : ১২:১৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আওয়ামী লীগের অক্টোবর কাউন্সিলে ওয়াকিং কমিটিতে ভাগ্যের কপাল যাদের খুলতে পারে তারা এখন দলে আলোচিত। এতদিন ওয়াকিং কমিটির বাইরে থাকলেও তারা এবার নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে নতুন কমিটিতে যুক্ত হচ্ছেন এমন আলোচনা। আবার এতদিন যারা ওয়াকিং কমিটিতে দক্ষতা দেখিয়েছেন তাদের ভাগ্যে ঘটতে যাচ্ছে পদোন্নতি। পূর্বপশ্চিমবিডি.কমের অনুসন্ধানে দলের কাউন্সিল ঘিরে যাদের কপাল খুলছে বলে আলোচান হচ্ছে তাদের অনেকের নাম উঠে এসেছে।

বর্তমান কমিটির যাদের পদোন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে তাদের মধ্যে ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, আসাদুজ্জামান নূর, মির্জা আজম, ড. হাছান মাহমুদ, এনামুল হক শামীম, সিমিন হোসেন রিমি, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখের নাম রয়েছে। ড. রাজ্জাক ও ফারুক খান প্রেসিডিয়ামে ঠাঁই পেতে পারেন।

এছাড়া মন্ত্রীসভা ও সংসদে থেকেও দলীয় কাজে ভালো করার পুরস্কার হিসেবে অনেকে আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটিতে স্থান এবং কয়েকজন পদোন্নতি পেতে পারেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জনুায়েদ আহমেদ পলক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু দলের বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন বলে জানিয়েছে দলের নির্ভরযোগ্য কয়েকটি সূত্র।

সংসদ সদস্যদের মধ্যে নাজমুল হাসান পাপন, ইকবালুর রহিম, জাহিদ আহসান রাসেল, ইস্রাফিল আলম, শামসুল হক টুকু, ড. হাবিবে মিল্লাত, নাহিম রাজ্জাক, নজরুল ইসলাম বাবু, রবিউল আলম মুক্তাদিরকে নতুন কমিটিতে আনা হচ্ছে। এছাড়া সংসদের বাইরে থাকা সফি আহমেদও গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন। ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের ওয়াকিং কমিটিতে যারা আসছেন তাদের কয়েকজনের নাম আলোচনায় এসেছে। এদের মধ্যে লিয়াকত সিকদার, বলরাম পোদ্দার, অজয় কর খোকন, বাহাদুর বেপারীকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হতে। নারী নেত্রীদের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনের নাম জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছে।

আসন্ন কাউন্সিলকে ঘিরে তারা যে যার মতো তৎপর রয়েছেন। গণভবন থেকে শুরু করে ধানমন্ডি কার্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের সরব উপস্থিতিও বেড়ে গেছে। আওয়ামী লীগের আগামী কমিটিতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ জন নারী নেত্রী গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন-ডা.দীপু মনি বর্তমান কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন। নতুনদের মধ্যে- তারানা হালিম, মেহের আফরোজ চুমকি, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মাহবুব আরা গিনি, খুজিস্তা নূর ই নাহরীন মুন্নী, মমতাজ বেগম, নূরজাহান মুক্তা, মুন্নুজান সুফিয়ান, ফরিদুন্নাহার লাইলী, ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পিসহ আরো কয়েকজন।

এদিকে, তারানা হালিম প্রতিমন্ত্রী হিসাবে সততা ও সাহসের স্বাক্ষর রেখেছেন। মেহের আফরোজ চুমকি ও এমিলি দীর্ঘদিন ধরে মাঠের রাজনীতি করে সরাসরি ভোটে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাদের ক্লিন ইমেজ আছে। মাহবুব আরা গিনিও উত্তর জনপদের। নিজের রাজনৈতিক অবস্থান সুসংহত করেছেন। খুজিস্তা নূর ই নাহরীন মুন্নীকে এবার সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। শেষ পর্যন্ত একটি ষড়যন্ত্রে বাহির করলেও ছাতলীগের রাজনীতি দিয়ে ক্লিনইমেজ নিয়ে সামাজিক, রাজনীতিক ও গণমাধ্যমে নিজের অবস্থান করে নেয়া দল তাকে কাজে লাগানোর কথাই ভাবছে। মন্নুজান সুফিয়ান ও ফরিদুন্নাহার লাইলি পরীক্ষিত। নূরজাহান বেগম মুক্তা ও ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পি সংসদে কথা বলে সবার নজর কেড়েছেন। সংগঠক হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন।