ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশি, এটাই হোক বড় পরিচয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • ৪৩ বার

হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, এদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশি— এটাই হোক আমাদের বড় পরিচয়।দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি— হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের সমঅধিকার ও সুরক্ষার সমান সুযোগের অলঙ্ঘনীয় বিধান থাকতে হবে।আমাদের দেশ একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে জনগোষ্ঠীর সব সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করে। আমরা সবাই মিলে এমন একটি যৌথ সম্প্রদায় গঠন করি, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়।

শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে শনিবার এক বানীতে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আবহমানকাল ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। শরতে বাংলাদেশের চারিদিকে কাশফুল ও শীতের আভাস জানান দেয় এই উৎসবের বার্তা। কয়েক শতাব্দি ধরে উৎসবটি সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও দুর্গাপূজা সবসময় উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়।আর উৎসব হচ্ছে অন্ধকারে গহন থেকে আলোকের উদ্ভাসন।

তারেক রহমান বলেন, উৎসব যে ধর্মেরই হোক, উৎসবের প্রাঙ্গণ সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত। উৎসবের প্রাঙ্গণের দরজা কখনোই বন্ধ থাকে না। যেকোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়। সব ধর্মের মর্মবাণী দেশপ্রেম, শান্তি ও মানবকল্যাণ।এক বর্বর হিংসাযুদ্ধের বিপরীতে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া আমাদের সবার কর্তব্য।

তিনি আরও বরেন, দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে— হিংসা, লোভ ও ক্রোধরুপী অসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে মানবিক সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। উৎপীড়ন ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কুশাসন- তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠাই এই উপাসনার অন্তর্নিহিত তাগিদ। সেই বাণীকে আত্মস্থ করেই দুর্গাপূজার উৎসবের আনন্দকে সবাই মিলে ভাগ করে নিতে হবে। উৎসবের পরিসর সংকীর্ণ নয়, বরং এটি উন্মুক্ত ও সর্বজনীন।

দুর্গাপূজার উৎসবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, এই উৎসব প্রতিটি গৃহে সমৃদ্ধি, সম্প্রীতি ও শান্তিতে ভরে তুলে এবং সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক শুভেচ্ছা ও সংহতি প্রসারিত করুক।এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।

পৃথক বানীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলা ভাষাভাষীর হিন্দু জনগোষ্ঠীর সব মানুষের জীবনে একটা বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। সুদীর্ঘকাল ধরেই এই উপমহাদেশে এই ধর্মীয় উৎসবটি এক সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্য ধারণ করে আছে।যেকোনো ধর্মীয় উৎসবই সাম্প্রদায়িক বিভেদ—বিভাজনকে অতিক্রম করে উৎসবের পরিসরে সবাইকে নিয়ে আমাদের যে সমাবেশ তা আবহমান সৌহার্দ্যের শ্বাশত চিত্র। শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব সবার মধ্যে নিয়ে আসে স্বর্গীয় আনন্দ ও শুভেচ্ছার বার্তা। উৎসব সব মানুষের মিলনই শুধু সম্পন্ন করে না, পরোক্ষে নানা সম্প্রদায়কে সংযুক্ত করে নানাভাবে। যেকোনো ধর্মীয় উৎসব জাতি—রাষ্ট্রে সর্বমানুষের মিলন ক্ষেত্র। বিএনপি আবহমানকালের দৈশিক চেতনা ও ঐতিহ্যের ধারায় ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মূল্যবোধে বিশ্বাস করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশি, এটাই হোক বড় পরিচয়

আপডেট টাইম : ০৭:০৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, এদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই বাংলাদেশি— এটাই হোক আমাদের বড় পরিচয়।দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি— হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের সমঅধিকার ও সুরক্ষার সমান সুযোগের অলঙ্ঘনীয় বিধান থাকতে হবে।আমাদের দেশ একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে জনগোষ্ঠীর সব সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করে। আমরা সবাই মিলে এমন একটি যৌথ সম্প্রদায় গঠন করি, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়।

শারদীয় দুর্গাপূজা ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে শনিবার এক বানীতে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আবহমানকাল ধরে শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। শরতে বাংলাদেশের চারিদিকে কাশফুল ও শীতের আভাস জানান দেয় এই উৎসবের বার্তা। কয়েক শতাব্দি ধরে উৎসবটি সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও দুর্গাপূজা সবসময় উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়।আর উৎসব হচ্ছে অন্ধকারে গহন থেকে আলোকের উদ্ভাসন।

তারেক রহমান বলেন, উৎসব যে ধর্মেরই হোক, উৎসবের প্রাঙ্গণ সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত। উৎসবের প্রাঙ্গণের দরজা কখনোই বন্ধ থাকে না। যেকোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ জাগরিত হয়। সব ধর্মের মর্মবাণী দেশপ্রেম, শান্তি ও মানবকল্যাণ।এক বর্বর হিংসাযুদ্ধের বিপরীতে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হওয়া আমাদের সবার কর্তব্য।

তিনি আরও বরেন, দুর্গাপূজার অন্তর্নিহিত বাণীই হচ্ছে— হিংসা, লোভ ও ক্রোধরুপী অসুরকে বিনাশ করে সমাজে স্বর্গীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে মানবিক সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। উৎপীড়ন ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্য দিয়ে যারা সমাজকে, মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত করতে চায় কুশাসন- তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠাই এই উপাসনার অন্তর্নিহিত তাগিদ। সেই বাণীকে আত্মস্থ করেই দুর্গাপূজার উৎসবের আনন্দকে সবাই মিলে ভাগ করে নিতে হবে। উৎসবের পরিসর সংকীর্ণ নয়, বরং এটি উন্মুক্ত ও সর্বজনীন।

দুর্গাপূজার উৎসবে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, এই উৎসব প্রতিটি গৃহে সমৃদ্ধি, সম্প্রীতি ও শান্তিতে ভরে তুলে এবং সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক শুভেচ্ছা ও সংহতি প্রসারিত করুক।এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।

পৃথক বানীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা বাংলা ভাষাভাষীর হিন্দু জনগোষ্ঠীর সব মানুষের জীবনে একটা বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। সুদীর্ঘকাল ধরেই এই উপমহাদেশে এই ধর্মীয় উৎসবটি এক সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্য ধারণ করে আছে।যেকোনো ধর্মীয় উৎসবই সাম্প্রদায়িক বিভেদ—বিভাজনকে অতিক্রম করে উৎসবের পরিসরে সবাইকে নিয়ে আমাদের যে সমাবেশ তা আবহমান সৌহার্দ্যের শ্বাশত চিত্র। শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব সবার মধ্যে নিয়ে আসে স্বর্গীয় আনন্দ ও শুভেচ্ছার বার্তা। উৎসব সব মানুষের মিলনই শুধু সম্পন্ন করে না, পরোক্ষে নানা সম্প্রদায়কে সংযুক্ত করে নানাভাবে। যেকোনো ধর্মীয় উৎসব জাতি—রাষ্ট্রে সর্বমানুষের মিলন ক্ষেত্র। বিএনপি আবহমানকালের দৈশিক চেতনা ও ঐতিহ্যের ধারায় ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মূল্যবোধে বিশ্বাস করে।