ঢাকা ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ২৪ বার

দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াসে বিভ্রান্তিকর ও একপেশে প্রতিবেদন করেছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য কুরিয়ার কোম্পানির মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদটি প্রচারিত হয়।

শুক্রবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংক্রান্ত সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল ও পেশাদারি মনোভাব প্রদর্শন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

ঘটনার সূত্রপাত উল্লেখ করে আইএসপিআর জানায়, গত ২ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঝিনাইদহ আর্মি ক্যাম্প কর্তৃক বিপুল পরিমাণ শুল্ক ফাঁকি দেওয়া ভারতীয় দ্রব্য ও প্রসাধনী সামগ্রী উদ্ধার অভিযানকে কেন্দ্র করে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ‘অভিযানের নামে সাধারণ মানুষ ও প্রতিষ্ঠানকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কিছু অতি উৎসাহী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়।

বিভ্রান্তিকর ও একপেশে এই প্রতিবেদন দেশবাসীর কাছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার একটি অপপ্রয়াস বলে প্রতীয়মান।

আইএসপিআর আরো জানায়, গত ১ অক্টোবর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, যশোর থেকে মাগুরা হয়ে ঢাকাগামী একটি কাভার্ড ভ্যানে (ঢাকা মেট্রো-উ ১৪-২০১২) বিপুল পরিমাণ শুল্ক ফাঁকি দেওয়া ভারতীয় দ্রব্য ও প্রসাধনী সামগ্রী পরিবহন করা হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টহল দল কর্তৃক ঐ কাভার্ড ভ্যানটিকে মাগুরার ভায়না মোড়ে থামালে দেখা যায়, কাভার্ড ভ্যান একটি পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত।

কাভার্ড ভ্যানটির চালক ও সহকারীকে পরিবহনকৃত পণ্য প্রদর্শন করতে অনুরোধ করা হলে তারা ভ্যানটির দরজা খুলে দেয় এবং ভ্যানটির ভেতরে সন্দেহজনক কয়েকটি বস্তায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, প্রসাধন সামগ্রী ও প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্য পাওয়া যায়।

আইএসপিআর জানায়, এ সময় চালক ও সহকারী বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য পরিবহনের স্বপক্ষে বৈধ নথিপত্র উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে বিস্তারিত তল্লাশির জন্য কাভার্ড ভ্যানটিকে নিকটস্থ আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় বিস্তারিত তল্লাশির পর শুধুমাত্র যেসব দ্রব্যসামগ্রীর বৈধ নথিপত্র পাওয়া যায়নি সে সকল দ্রব্যসামগ্রী অবৈধ পণ্য হিসেবে জব্দ করে সিজার লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে পার্সেল ও কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানির দুজন প্রতিনিধি সেনাবাহিনী ক্যাম্পে আসেন। কিন্তু জব্দকৃত দ্রব্য সামগ্রীর অনুকূলে বৈধ নথিপত্র উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হলে আইনি প্রক্রিয়ায় শুল্ক ফাঁকি দেওয়া পণ্যগুলো মাগুরা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান।

উল্লেখ্য, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে নিয়ে আসা বিদেশি পণ্য আটকের উদ্দেশ্যে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে। যৌথ বাহিনী কর্তৃক এই উদ্ধার অভিযান বিভিন্ন গণমাধ্যম, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হলেও, শুধুমাত্র ওই পার্সেল ও কুরিয়ার কোম্পানির মালিকাধীন টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদটিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রচারিত হয়।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংক্রান্ত সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল ও পেশাদারি মনোভাব প্রদর্শন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

আপডেট টাইম : ০১:০১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াসে বিভ্রান্তিকর ও একপেশে প্রতিবেদন করেছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য কুরিয়ার কোম্পানির মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদটি প্রচারিত হয়।

শুক্রবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংক্রান্ত সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল ও পেশাদারি মনোভাব প্রদর্শন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

ঘটনার সূত্রপাত উল্লেখ করে আইএসপিআর জানায়, গত ২ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঝিনাইদহ আর্মি ক্যাম্প কর্তৃক বিপুল পরিমাণ শুল্ক ফাঁকি দেওয়া ভারতীয় দ্রব্য ও প্রসাধনী সামগ্রী উদ্ধার অভিযানকে কেন্দ্র করে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ‘অভিযানের নামে সাধারণ মানুষ ও প্রতিষ্ঠানকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কিছু অতি উৎসাহী সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়।

বিভ্রান্তিকর ও একপেশে এই প্রতিবেদন দেশবাসীর কাছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার একটি অপপ্রয়াস বলে প্রতীয়মান।

আইএসপিআর আরো জানায়, গত ১ অক্টোবর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) থেকে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, যশোর থেকে মাগুরা হয়ে ঢাকাগামী একটি কাভার্ড ভ্যানে (ঢাকা মেট্রো-উ ১৪-২০১২) বিপুল পরিমাণ শুল্ক ফাঁকি দেওয়া ভারতীয় দ্রব্য ও প্রসাধনী সামগ্রী পরিবহন করা হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি টহল দল কর্তৃক ঐ কাভার্ড ভ্যানটিকে মাগুরার ভায়না মোড়ে থামালে দেখা যায়, কাভার্ড ভ্যান একটি পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিসের অন্তর্ভুক্ত।

কাভার্ড ভ্যানটির চালক ও সহকারীকে পরিবহনকৃত পণ্য প্রদর্শন করতে অনুরোধ করা হলে তারা ভ্যানটির দরজা খুলে দেয় এবং ভ্যানটির ভেতরে সন্দেহজনক কয়েকটি বস্তায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, প্রসাধন সামগ্রী ও প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্য পাওয়া যায়।

আইএসপিআর জানায়, এ সময় চালক ও সহকারী বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য পরিবহনের স্বপক্ষে বৈধ নথিপত্র উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে বিস্তারিত তল্লাশির জন্য কাভার্ড ভ্যানটিকে নিকটস্থ আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় বিস্তারিত তল্লাশির পর শুধুমাত্র যেসব দ্রব্যসামগ্রীর বৈধ নথিপত্র পাওয়া যায়নি সে সকল দ্রব্যসামগ্রী অবৈধ পণ্য হিসেবে জব্দ করে সিজার লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে পার্সেল ও কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানির দুজন প্রতিনিধি সেনাবাহিনী ক্যাম্পে আসেন। কিন্তু জব্দকৃত দ্রব্য সামগ্রীর অনুকূলে বৈধ নথিপত্র উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হলে আইনি প্রক্রিয়ায় শুল্ক ফাঁকি দেওয়া পণ্যগুলো মাগুরা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান।

উল্লেখ্য, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে নিয়ে আসা বিদেশি পণ্য আটকের উদ্দেশ্যে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে। যৌথ বাহিনী কর্তৃক এই উদ্ধার অভিযান বিভিন্ন গণমাধ্যম, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হলেও, শুধুমাত্র ওই পার্সেল ও কুরিয়ার কোম্পানির মালিকাধীন টেলিভিশন চ্যানেলে সংবাদটিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রচারিত হয়।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংক্রান্ত সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল ও পেশাদারি মনোভাব প্রদর্শন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।