লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরাইলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর এক কমান্ডারসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও ৫৯ জন। এদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার বৈরুতে হামলার কথা নিজেরাই জানিয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, দক্ষিণ বৈরুতে হামলা হয়েছে। এই এলাকা হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইব্রাহিম আকিল নামের ওই শীর্ষ হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীতে হত্যা করা হয়েছে। তার সঙ্গে হিজবুল্লাহর অভিজাত ফোর্স রাদওয়ানের সদস্যরাও নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। একটি বিশেষ সভার সময় তাদের ওপর ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালায়।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা বৈরুতের ধাহিয়েহ এলাকায় হিজবুল্লাহর সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। বাহিনীটি বলেছে, ‘বৈরুতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে।’
এ ঘটনার এক প্রতিক্রিয়ায় লেবাননে অবস্থিত ইরানের দূতাবাস থেকে বলা হয়, বিমান হামলায় ইসরাইল ‘সব লাইন’ অতিক্রম করে ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তারা দাবি করে, ইসরাইল আবাসিক এলাকাতেও হামলা করেছে।
এই হামলা চালানোর আগে ইসরাইল আমেরিকাকে কিছু জানায়নি বলে দাবি করেছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তার জানা নেই। মার্কিন নাগরিকেরা যেন লেবানন এড়িয়ে চলেন। বাইডেন প্রশাসন এই অঞ্চলে আর সংঘাত চায় না।
এর আগে শুক্রবার ১৫০টি রকেট দিয়ে ইসরাইলের সীমান্ত এলাকায় হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। ইসরাইলি পাবলিক ব্রডকাস্টার ক্যানের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইসরাইলের জাতীয় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বলছে, এই হামলায় প্রাথমিকভাবে কেউ হতাহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। এর আগে হিজবুল্লাহ জানায়, কাতিউশা রকেট দিয়ে ৭টি হামলা করেছে তারা। পরে তারা জানায়, মোট ১৪০টি রকেট দিয়ে ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়।
আলজাজিরা বলছে, এসব হামলায় একজন হতাহতের তথ্য প্রকাশ করেছে ইসরাইলি কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।