ঢাকা ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় যুদ্ধ থামানোর শেষ সুযোগ, ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা ব্লিনকেনের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
  • ২৬ বার

বর্তমানে ইসরায়েলের সামনে গাজায় যুদ্ধ থামানোর শেষ সুযোগ উপস্থিত হয়েছে; যদি এই সুযোগ ইসরায়েল গ্রহণ না করে, তাহলে সামনে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা দেখা দেবে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

সোমবার ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমে দেশটির প্রেসিডেন্ট আইজাক হেরজগ এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠকে এই সতর্কবার্তা দিয়ে ব্লিনকেন বলেন, “এখন আমরা একটি চুড়ান্ত সময়ে রয়েছি। জিম্মিদের ঘরে ফেরানোর ও গাজায় যুদ্ধাবসান এবং আমাদের সবার জন্য নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আনার জন্য জন্য এটি সেরা, এবং সম্ভবত শেষ সময়।”

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট ব্লিনকেনের কথা মেনে নিলেও এক্ষেত্রে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কৌশলী জবাব দিয়েছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি তার আগের অবস্থান প্রায় অবিচল রেখে ব্লিনকেনকে বলেছেন, “আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ইসরায়েল এবং ইসরায়েলের জনগণের নিরাপত্তা। এই নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করতে আমরা প্রস্তুত।”

এদিকে, ব্লিংকেনের এই প্রস্তাবে ইসরায়েল কতখানি আমলে নেবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে হামাস।  গোষ্ঠীটির মুখপাত্র সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা অ্যান্টনি ব্লিংকেনের এই সফর নিয়ে তেমন আশাবাদী নই। কারণ তার আচার-আচরণ দেখলে মনে হয়, তিনি ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার সদস্য, যুক্তরাষ্ট্রের নয়।”

গতকাল রোববার ইসরায়েল সফরে এসেছেন ব্লিংকেন। তার সফরের এক ঘণ্টা আগে দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী বলে পরিচিত তেল আবিবে একটি সিনাগগে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হামাস এবং তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদ সেই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতিও দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় হামাস এবং প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। এই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

এই যুদ্ধ চলার মধ্যেই সম্প্রতি ইরানে হামাসের রাজনৈতিক শাখার শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হন। ইসরায়েল এ হামলার দায় স্বীকার বা অস্বীকার কোনওটিই করেনি।

তবে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইরান ইসরায়েলকেই দোষারোপ করেছে এবং এর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

সূত্র : রয়টার্স

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় যুদ্ধ থামানোর শেষ সুযোগ, ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা ব্লিনকেনের

আপডেট টাইম : ১১:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

বর্তমানে ইসরায়েলের সামনে গাজায় যুদ্ধ থামানোর শেষ সুযোগ উপস্থিত হয়েছে; যদি এই সুযোগ ইসরায়েল গ্রহণ না করে, তাহলে সামনে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা দেখা দেবে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

সোমবার ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেমে দেশটির প্রেসিডেন্ট আইজাক হেরজগ এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক বৈঠকে এই সতর্কবার্তা দিয়ে ব্লিনকেন বলেন, “এখন আমরা একটি চুড়ান্ত সময়ে রয়েছি। জিম্মিদের ঘরে ফেরানোর ও গাজায় যুদ্ধাবসান এবং আমাদের সবার জন্য নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আনার জন্য জন্য এটি সেরা, এবং সম্ভবত শেষ সময়।”

ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট ব্লিনকেনের কথা মেনে নিলেও এক্ষেত্রে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কৌশলী জবাব দিয়েছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি তার আগের অবস্থান প্রায় অবিচল রেখে ব্লিনকেনকে বলেছেন, “আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ইসরায়েল এবং ইসরায়েলের জনগণের নিরাপত্তা। এই নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করতে আমরা প্রস্তুত।”

এদিকে, ব্লিংকেনের এই প্রস্তাবে ইসরায়েল কতখানি আমলে নেবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে হামাস।  গোষ্ঠীটির মুখপাত্র সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা অ্যান্টনি ব্লিংকেনের এই সফর নিয়ে তেমন আশাবাদী নই। কারণ তার আচার-আচরণ দেখলে মনে হয়, তিনি ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার সদস্য, যুক্তরাষ্ট্রের নয়।”

গতকাল রোববার ইসরায়েল সফরে এসেছেন ব্লিংকেন। তার সফরের এক ঘণ্টা আগে দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী বলে পরিচিত তেল আবিবে একটি সিনাগগে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হামাস এবং তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদ সেই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতিও দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা এবং ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় হামাস এবং প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা। এই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

এই যুদ্ধ চলার মধ্যেই সম্প্রতি ইরানে হামাসের রাজনৈতিক শাখার শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হন। ইসরায়েল এ হামলার দায় স্বীকার বা অস্বীকার কোনওটিই করেনি।

তবে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইরান ইসরায়েলকেই দোষারোপ করেছে এবং এর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

সূত্র : রয়টার্স