রাজবাড়ীর পাংশা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. আতাউল হক খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে কলেজের ফান্ডের ২৯ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাসার বাদী হয়ে বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে রাজবাড়ী বিশেষ জজ আদালতে এ মামলাটি করেন।
মো. আতাউল হক বর্তমানে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর চৌধুরী বাড়ি মহল্লার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধীনে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার অর্কোডিয়া এপার্টমেন্টে হাউসিং এস্টেটে বসবাস করেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, আতাউল হক ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজবাড়ীর পাংশা সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই কালেজে থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাকে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে বদলি করা হয়।
দুদকের এজাহার সূত্রে জানা যায়, আতাউল হক পাংশা সরকারি কলেজে দায়িত্বে থাকাকালে কলেজের পৌরকর বাবদ ২২ লাখ ৪২ হাজার ৯৪০ টাকা উত্তোলন করে পৌরসভায় জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও তিনি অসত্য ভ্রমণ খরচ দেখিয়ে ৭ লাখ ১ হাজার টাকা ভ্রমণ বিল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
পাংশা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আতাউল হক খান চৌধুরী বলেন, এটি আমার বিরুদ্ধে সাজানো একটি অভিযোগ। এর কোনো সত্যতা নেই। আমি কোনো দুর্নীতি করিনি।
দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, কলেজের পৌরকর বাবদ উত্তোলন করা ২২ লাখ ৪২ হাজার ৯৪০ টাকা ও সাজানো ভ্রমণ ভাতার বিল বাবদ ৭ লাখ ১ হাজার টাকাসহ মোট ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৯৪০টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাংশা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. আতাউল হক খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে রাজবাড়ী বিশেষ জজ আদালতে এ মামলাটি করা হয়েছে।