ঢাকা ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত ভুল অস্ত্রোপচার, যা ঘটেছিল প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে সচিবালয়ে উপদেষ্টা হাসান আরিফের তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন সাবেক সচিব ইসমাইল রিমান্ডে অবশেষে বিল পাস করে ‘শাটডাউন’ এড়াল যুক্তরাষ্ট্র চাঁদাবাজদের ধরতে অভিযান শুরু হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার নির্বাচনের পর নিজের নিয়মিত কাজে ফিরে যাবেন ড. ইউনূস ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ১৬ জুলাই আন্দোলন বিগত বছরগুলোর অনিয়মের সমষ্টি: ফারুকী তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ‘সড়কে নৈরাজ্যের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাব জড়িত

কালো জিনিস কালো কেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪
  • ৩৩ বার
সূর্য বা কোনো আলোক উৎস থেকে আলো যখন কোনো বস্তুর ওপর পড়ে তখন সেই বস্তু কিছু আলো শোষণ করে বাকিটা ফিরিয়ে দেয়। একে আলোর প্রতিফলন বলে। প্রতিফলিত এই আলোকরশ্মি যখন আমাদের চোখের রেটিনায় এসে পড়ে, তখনই আমরা সেই বস্তুটাকে দেখতে পাই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন এমনটা হয়?চোখের রেটিনার পেছন দিকে একধরনের আলোক সংবেদী পর্দা আছে।

লেন্সে আপতিত আলোকরশ্মি একত্র হয়ে রেটিনার ওপর যে বস্তু থেকে আলোকরশ্মি আসছে, সেই বস্তুটির প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। তখনই আমরা ওই বস্তুটা দেখতে পাই। কোনো কারণে চোখের রেটিনা ঠিকমতো কাজ না করলে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়।এখন প্রশ্ন হলো, দেখার ব্যাপারটা না হয় জানা গেল, রং কিভাবে এলো?

আলোই রঙের উৎস।

কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে আলো ব্যবহার করি—যেমন, সূর্যের আলো, বৈদ্যুতিক বাল্বের আলো কিংবা টর্চ বা সার্চ লাইটের আলো—সবই সাদা রঙের।আমাদের চারপাশের সব বস্তুতে (কালো বস্তু বাদে) কোনো না কোনো রঞ্জক পদার্থ থাকে। সেই রঞ্জক পদার্থগুলো সাদা আলো ভাঙতে পারে। সাদা আলো হলো সাত রঙের মিশ্রণ―বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুন, কমলা ও লাল।
কিন্তু শুধু সাদা আলো ভাঙলেই তো কোনো একটা নির্দিষ্ট রং সৃষ্টি হবে না। এটা ঠিক, প্রিজমও সাদা আলো ভাঙতে পারে। কিন্তু প্রিজম থেকে ভেঙে যে আলো বের হয় তা কোনো একটা নির্দিষ্ট রঙের নয়। বরং সাত রঙের একটা বর্ণালি রেখা দেখা বের হয়। অনেকটা রংধনুর মতো।
ধরা যাক, গাছের পাতার কথা। গাছের পাতায় ক্লোরোফিল নামের এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ থাকে। সূর্যের সাদা আলো গাছের পাতায় পড়লে ক্লোরোফিল সাদা আলোকে বিশ্লেষণ করে ফেলে। তারপর বিশ্লিষ্ট আলো থেকে সবুজ বাদে বাকি ছয় রঙের আলো শোষণ করে খাদ্য ও শক্তি তৈরি করে। অশোষিত সবুজ আলো তখন প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে পড়ে বলে আমরা গাছের পাতা সবুজ দেখি।অন্যান্য বস্তুতেও এমন রঞ্জক পদার্থ থাকে। যে পদার্থের রঞ্জক পদার্থ যে রংটা শোষণ করতে পারে না সেই পদার্থকে সেই রঙের দেখা যায়।
কালো রঙের বস্তুর ক্ষেত্রে বিষয়টা একটা অন্যরকম। কালো কোনো রং নয়। অর্থাৎ কালো রঙের জন্য কোনো আলো দায়ী নয়। স্বাভাবিকভাবেই কোনো কালো বস্তু থেকে কোনোর আলো প্রতিফতির হয় না। আর যে বস্তু আলো প্রতিফলন করতে পারে না, সেই বস্তুকে দেখাও সম্ভব নয়। যে বস্তুর রং কালো তাতে এমন একটা রাসায়নিক পদার্থ থেকে যে প্রায় সূর্যের সাদা রঙের প্রায় সবটুকু শোষণ করে ফেলে। খুব কম আলোই সেখান থেকে প্রতিফলিত হয়। তাই সেই বস্তুর কোনো রং থাকার কথা নয়। আর রং না থাকা মানে কালো রঙের হওয়া।কালো মানে আলোর অভাব। সেখান থেকে কোনো আলোই প্রতিফলিত হয় না। তাই আপনি কালো দেখছেন। দেখছেন এ জন্য আপনার আশপাশে নানা রঙের জিনিস আছে। তাদের সঙ্গে কলো বস্তুটার পার্থক্য বুঝতে পারছেন, কারণ সেটা থেকে কোনো আলোই আসছে না। কালো বস্তুকে তো আর আপনি স্বচ্ছ দেখতে পাবেন না! কালো বস্তুর ওপর যখন চোখ রাখছেন, তখন আলোর অভাবটা টের পাচ্ছে মস্তিষ্ক। আলোর অভাব মানেই সেটাকে কালো হিসেবে দেখছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশ ও জাতি গঠনে “দৈনিক আমার দেশ” পত্রিকার কাছে নেত্রকোণার জনগণের প্রত্যাশা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

কালো জিনিস কালো কেন

আপডেট টাইম : ১১:৩৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪
সূর্য বা কোনো আলোক উৎস থেকে আলো যখন কোনো বস্তুর ওপর পড়ে তখন সেই বস্তু কিছু আলো শোষণ করে বাকিটা ফিরিয়ে দেয়। একে আলোর প্রতিফলন বলে। প্রতিফলিত এই আলোকরশ্মি যখন আমাদের চোখের রেটিনায় এসে পড়ে, তখনই আমরা সেই বস্তুটাকে দেখতে পাই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন এমনটা হয়?চোখের রেটিনার পেছন দিকে একধরনের আলোক সংবেদী পর্দা আছে।

লেন্সে আপতিত আলোকরশ্মি একত্র হয়ে রেটিনার ওপর যে বস্তু থেকে আলোকরশ্মি আসছে, সেই বস্তুটির প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। তখনই আমরা ওই বস্তুটা দেখতে পাই। কোনো কারণে চোখের রেটিনা ঠিকমতো কাজ না করলে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়।এখন প্রশ্ন হলো, দেখার ব্যাপারটা না হয় জানা গেল, রং কিভাবে এলো?

আলোই রঙের উৎস।

কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে আলো ব্যবহার করি—যেমন, সূর্যের আলো, বৈদ্যুতিক বাল্বের আলো কিংবা টর্চ বা সার্চ লাইটের আলো—সবই সাদা রঙের।আমাদের চারপাশের সব বস্তুতে (কালো বস্তু বাদে) কোনো না কোনো রঞ্জক পদার্থ থাকে। সেই রঞ্জক পদার্থগুলো সাদা আলো ভাঙতে পারে। সাদা আলো হলো সাত রঙের মিশ্রণ―বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুন, কমলা ও লাল।
কিন্তু শুধু সাদা আলো ভাঙলেই তো কোনো একটা নির্দিষ্ট রং সৃষ্টি হবে না। এটা ঠিক, প্রিজমও সাদা আলো ভাঙতে পারে। কিন্তু প্রিজম থেকে ভেঙে যে আলো বের হয় তা কোনো একটা নির্দিষ্ট রঙের নয়। বরং সাত রঙের একটা বর্ণালি রেখা দেখা বের হয়। অনেকটা রংধনুর মতো।
ধরা যাক, গাছের পাতার কথা। গাছের পাতায় ক্লোরোফিল নামের এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ থাকে। সূর্যের সাদা আলো গাছের পাতায় পড়লে ক্লোরোফিল সাদা আলোকে বিশ্লেষণ করে ফেলে। তারপর বিশ্লিষ্ট আলো থেকে সবুজ বাদে বাকি ছয় রঙের আলো শোষণ করে খাদ্য ও শক্তি তৈরি করে। অশোষিত সবুজ আলো তখন প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে পড়ে বলে আমরা গাছের পাতা সবুজ দেখি।অন্যান্য বস্তুতেও এমন রঞ্জক পদার্থ থাকে। যে পদার্থের রঞ্জক পদার্থ যে রংটা শোষণ করতে পারে না সেই পদার্থকে সেই রঙের দেখা যায়।
কালো রঙের বস্তুর ক্ষেত্রে বিষয়টা একটা অন্যরকম। কালো কোনো রং নয়। অর্থাৎ কালো রঙের জন্য কোনো আলো দায়ী নয়। স্বাভাবিকভাবেই কোনো কালো বস্তু থেকে কোনোর আলো প্রতিফতির হয় না। আর যে বস্তু আলো প্রতিফলন করতে পারে না, সেই বস্তুকে দেখাও সম্ভব নয়। যে বস্তুর রং কালো তাতে এমন একটা রাসায়নিক পদার্থ থেকে যে প্রায় সূর্যের সাদা রঙের প্রায় সবটুকু শোষণ করে ফেলে। খুব কম আলোই সেখান থেকে প্রতিফলিত হয়। তাই সেই বস্তুর কোনো রং থাকার কথা নয়। আর রং না থাকা মানে কালো রঙের হওয়া।কালো মানে আলোর অভাব। সেখান থেকে কোনো আলোই প্রতিফলিত হয় না। তাই আপনি কালো দেখছেন। দেখছেন এ জন্য আপনার আশপাশে নানা রঙের জিনিস আছে। তাদের সঙ্গে কলো বস্তুটার পার্থক্য বুঝতে পারছেন, কারণ সেটা থেকে কোনো আলোই আসছে না। কালো বস্তুকে তো আর আপনি স্বচ্ছ দেখতে পাবেন না! কালো বস্তুর ওপর যখন চোখ রাখছেন, তখন আলোর অভাবটা টের পাচ্ছে মস্তিষ্ক। আলোর অভাব মানেই সেটাকে কালো হিসেবে দেখছেন।