ঢাকা ০১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সৌদির কনসার্টে গাইবেন পড়শী আসছে নতুন গান আ.লীগের রাজনীতি করা নিয়ে যা বললেন মান্না দোসরদের গ্রেফতার করা না গেলে মুক্তি পাবে না পুরান ঢাকার সাধারণ মানুষ সেলিমের চেয়েও ভয়ঙ্কর দুই পুত্র সোলায়মান ও ইরফান বাতাসে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি, ঢাকার অবস্থা কি শাকিবের ‘দরদ’ নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস ‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফল হলেই ভারতের স্বার্থ রক্ষিত’ ভারতীয় ব্যবসায়ীর সাক্ষাৎকার আইপিএল নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় ১২ বাংলাদেশি ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতার: প্রধান উপদেষ্টা আজিমপুরে ডাকাতির সময় অপহৃত সেই শিশু উদ্ধার

সামনে সাদিক পেছনে হাসানাত আবদুল্লাহ পুত্রগুণে সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার, বরিশালের আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে পালাবদল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৯:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৬
  • ৩৪৫ বার

তাকে বলা হয় বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চল আওয়ামী লীগের অভিভাবক। কেউ কেউ তাদের বলেন দলের মালিক পক্ষ। যে যা-ই বলুক না কেন তিনি দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। তিনি আলহাজ হাসানাত আবদুল্লাহ। ১৯৭৫ পর্যন্ত তার পিতা আবদুর রব সেরনিয়াবাত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী। ১৫ আগস্ট ঘাতকরা তাকে হত্যা করে। হাসানাত সকাল, দুপুর, রাত নেই, যে যখন যে কাজ নিয়েই তার কাছে যাক না কেন তিনি চেষ্টা করেন তাদের উপকারের জন্য। অনেকে তাকে বলেন গরিবের বন্ধু। তিনি আবার পীর-আউলিয়া ভক্ত। ছাত্র রাজনীতি, শ্রমিক রাজনীতি, যুব রাজনীতি করে পোড় খাওয়া আওয়ামী লীগার হয়েছেন তিনি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নানা চড়াই-উত্রাই পেরিয়ে এখনো আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কাছে সম্মানের আসনে রয়েছেন তিনি। বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের এমপি এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। এর আগে ১৯৯৬ সালে সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চিফ হুইপ ছিলেন।

২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের বিপুল বিজয়ের রাতেই আত্মগোপনে চলে যান হাসানাত আবদুল্লাহ। সাড়ে আট বছর তিনি ছিলেন তার নির্বাচনী এলাকা তথা বরিশালের বাইরে। তার দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে তারই হাত ধরে আওয়ামী লীগে আসা এক সময়ের জাতীয় পার্টির নেতা প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণ অনেকটা সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নেন। হাসানাত অনুসারী নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে রেখে জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে আসা নেতা-কর্মীদের নিয়ে শক্ত বলয় তৈরি করেন তৎকালীন মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হিরণ। এরপর ২০০৮ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনে মেয়র নির্বাচিত হয়ে হিরণ তার অবস্থান আরও দৃঢ় করেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমলে দায়ের হওয়া দুটো মামলার আইনি ঝামেলা কাটিয়ে ব্যাপক শোডাউন করে মহাসমারোহে বরিশালে ফেরেন হাসানাত আবদুল্লাহ। হিরণ প্রকাশ্যে আনুগত্য দেখালেও দুজনের মধ্যে হয়তো মনস্তাত্ত্বিক এক দ্বন্দ্ব ছিল। ২০১৩ সালের ১৫ জুনের সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হিরণ তার পরাজয়ের জন্য হাসানাতকে দায়ী করেন। সিটি নির্বাচন-পরবর্তী মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় হিরণ তার পরাজয়ের জন্য প্রকাশ্যে হাসানাতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। ওই সভায় হিরণ বলেছিলেন, আজ থেকে হাসানাত আবদুল্লাহ আর তাদের (মহানগর আওয়ামী লীগ) অভিভাবক নন। তবে হাসানাত অনুসারী নেতারা বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, নির্বাচনে পরাজয়ের পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে আবোল-তাবোল বলেছেন হিরণ। আগে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম একই ব্যানারে হলেও ওই নির্বাচনের পর থেকে আজ পর্যন্ত সব স্থানীয় ও জাতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালিত হচ্ছে পৃথক ব্যানারে। সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর হিরণ বলয়ে কিছুটা ভাটা পড়লেও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল সদর আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হিরণ এমপি নির্বাচিত হলে আবার ঘুরে দাঁড়ায় তারা। কিন্তু একই বছরের ২২ মার্চ হিরণ এক দুর্ঘটনায় সংজ্ঞাহীন হওয়ার পর ৯ এপ্রিল মারা যান। এরপর হাসানাতের বড় ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য সাদিক আবদুল্লাহর উত্থান ঘটে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। একে একে হিরণ অনুসারীদের কাছে টানেন তিনি। গত দুই বছরেরও অধিক সময়ে অভাবনীয় উত্থানই শুধু নয়, হাসানাতের পক্ষ ত্যাগ করে হিরণ অনুসারী বনে যাওয়া নেতাদের আবার হাসানাতমুখী করেছেন সাদিক। পদ-পদবি না থাকলেও হাসানাতপুত্র সাদিককে এখন মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আইকন হিসেবে দেখছেন অনেকে। সাদিকের কারিশমার ফলেই বরিশাল আওয়ামী লীগে হারানো সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার হয় হাসানাতের। হিরণের কট্টর অনুসারী কিছু নেতা ছাড়া সবাই এখন হাসানাত বলয়ে। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম। তিনি বলেন, ২০০১ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নেতা দাবিদাররা যখন পালিয়ে বেড়িয়েছেন, তখন হিরণ বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগকে সু-সংগঠিত ও শক্তিশালী করেছেন। হিরণ নিজেকে কখনো নেতা বলে দাবি করেননি। তিনি নিজেকে একজন কর্মী মনে করতেন। আজ ক্ষমতার স্বাদ পেতে কেউ তাদের (হাসানাত-সাদিক) পক্ষাবলম্বন করলেও তারা মহানগর আওয়ামী লীগের কেউ নয়, যুবলীগের হতে পারে। আফজাল বলেন, আওয়ামী লীগে তাদের একমাত্র অভিভাবক দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এর বাইরে কোনো অভিভাবক নেই। তবে বরিশাল আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি হাসানাত আবদুল্লাহ দলীয় প্রতিপক্ষের প্রভাবে কখনই কোণঠাসা হননি বলে দাবি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আনিচুর রহমানের। তিনি বলেন, হাসানাত ভাইয়ের নির্দেশেই বরিশাল আওয়ামী লীগ পরিচালিত হয়ে আসছে। মাঝে তার (হাসানাত) অনুপস্থিতিতে জাতীয় পার্টি থেকে আসা শওকত হোসেন হিরণ কিছু অনুসারী (জাতীয় পার্টি থেকে আসা) নিয়ে টেন্ডারবাজি-ভূমিদস্যুতা আর অরাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। হিরণের কাছে প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন ছিল না। হিরণ ছিলেন আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী গুপ্তচর। তিনি নিজের স্বার্থে কাজ করেছেন, দলের জন্য নয়। সৈয়দ আনিচের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে আফজালুল করিম বলেন, হিরণ আজ নেই। তিনি ভালো ছিলেন, না খারাপ তা মূল্যায়ন করবে জনগণ। তার জানাজায় লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিই প্রমাণ করে হিরণ ছিলেন বিপুল জনপ্রিয় এক নেতা। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি থাকলেও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন এবং সব শেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হাসানাত আবদুল্লাহর ভূমিকা কম-বেশি সবার জানা। প্রার্থী বাছাই, মনোনয়ন এবং নির্বাচন পরিচালনাসহ দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় তাকে তারা ‘পীর’ মানেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এমপি বলেন, হাসানাত আবদুল্লাহ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকে তার কর্মগুণে এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চল আওয়ামী লীগের অভিভাবকের মর্যাদা পেয়েছেন। পেছনে কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। সূত্র জানায়, এমপি হলেও মন্ত্রিত্ব না পাওয়ায় হাসানাত আবদুল্লাহ নিজেকে আড়ালে-আবডালে রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য একজন মন্ত্রী বরিশালের প্রশাসনে প্রভাব বিস্তার করায় অনেক ক্ষেত্রে হাসানাতের কথা উপেক্ষিত হয় বলে তার অনুসারীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। প্রচারবিমুখ হওয়ায় গণমাধ্যমকেও এড়িয়ে চলেন তিনি। বরিশালে মাঝে-মধ্যে দলীয় কর্মসূচিতে এলেও নগরীর কালীবাড়ি রোডের বাসভবনে অবস্থান না করে চলে যান আগৈলঝাড়ার সেরালের গ্রামের বাড়িতে। হাসানাতের বড় ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ জানান, ১৯৬৮ সালের আগে জগন্নাথ কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় তার বাবার। পরে তিনি বরিশালের শ্রমিক রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেন। ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলে মুজিব বাহিনীর প্রধান ছিলেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। ১৯৭৩ সালে দলীয় প্রার্থী জাহিদ হোসেন জাহাঙ্গীরকে হারিয়ে মাত্র ২৬ বছর বয়সে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশে বরিশাল পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন হাসানাত। ’৭৪ সালে যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হলে বরিশাল জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে ঘাতকদের বুলেটে শহীদ হন হাসানাতের বাবা তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, ভাই আরিফ আবদুল্লাহ, বোন বেবী সেরনিয়াবাত, বড় ছেলে সুকান্ত বাবু, চাচাতো ভাই সাংবাদিক শহীদ সেরনিয়াবাত। ওই দিন তাদের বাসায় বেড়াতে গিয়ে নিহত হন বরিশালের ক্রিডেন্স ব্যান্ডের গিটারিস্ট আব্দুন নঈম খান রিন্টু। ঘাতদের বুলেটে আহত হন হাসানাতের মা আমেনা বেগম, স্ত্রী শাহানারা আবদুল্লাহ, ছোট ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকনসহ তাদের বাসায় বেড়াতে যাওয়া ক্রিডেন্স ব্যান্ডের সদস্য জিল্লুর রহমান, টুটুল, সৈয়দ মাহমুদ, মুকুল দাস ও ললিত দাস। হামলার বীভৎস দৃশ্য দেখে একটি লুঙ্গি পরে ঘাতকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিজের জীবন বাঁচিয়ে ছিলেন হাসানাত আবদুল্লাহ। বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা সৈয়দ আনিচের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ১৫ আগস্টের হামলার পর হাসানাত ভাইকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যেতে সাহায্য করেন বিমান বাহিনীর তদানীন্তন কর্মকর্তা বিএনপির বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী। তিনি আরও জানান, ভারতে চার বছর অবস্থানের পর ’৭৯ সালে দেশে ফিরে বরিশাল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন হাসানাত আবদুল্লাহ। একই বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান তিনি। ’৮৪ সালে দলীয় সমর্থনে বরিশাল পৌরসভায় দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাতীয় পার্টির গোলাম মাওলার কাছে হেরে যান হাসানাত। ’৮৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে হাসানাত বরিশাল সদর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাতীয় পার্টির মতিউর রহমান চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন। ’৮৮ সালের সংসদ নির্বাচনেও বরিশাল-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান তিনি। একই বছর সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ’৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো বরিশাল-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। ’৯২ সালের সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। ’৯৬ সালে বরিশাল-১ আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন এবং ওই সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চিফ হুইপের দায়িত্ব পান তিনি। ’৯৮ সালে দলের সম্মেলনে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি হাসানাত। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মামলার ঝামেলা কাটিয়ে সাড়ে আট বছর পর বরিশালে আসেন তিনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো বরিশাল-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন হাসানাত। তার স্ত্রী শাহানারা আবদুল্লাহ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, মেঝ ছেলে আশিক আবদুল্লাহ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এবং ছোট ছেলে মঈন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদির কনসার্টে গাইবেন পড়শী আসছে নতুন গান

সামনে সাদিক পেছনে হাসানাত আবদুল্লাহ পুত্রগুণে সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার, বরিশালের আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে পালাবদল

আপডেট টাইম : ১২:২৯:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৬

তাকে বলা হয় বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চল আওয়ামী লীগের অভিভাবক। কেউ কেউ তাদের বলেন দলের মালিক পক্ষ। যে যা-ই বলুক না কেন তিনি দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। তিনি আলহাজ হাসানাত আবদুল্লাহ। ১৯৭৫ পর্যন্ত তার পিতা আবদুর রব সেরনিয়াবাত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী। ১৫ আগস্ট ঘাতকরা তাকে হত্যা করে। হাসানাত সকাল, দুপুর, রাত নেই, যে যখন যে কাজ নিয়েই তার কাছে যাক না কেন তিনি চেষ্টা করেন তাদের উপকারের জন্য। অনেকে তাকে বলেন গরিবের বন্ধু। তিনি আবার পীর-আউলিয়া ভক্ত। ছাত্র রাজনীতি, শ্রমিক রাজনীতি, যুব রাজনীতি করে পোড় খাওয়া আওয়ামী লীগার হয়েছেন তিনি। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নানা চড়াই-উত্রাই পেরিয়ে এখনো আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কাছে সম্মানের আসনে রয়েছেন তিনি। বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের এমপি এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। এর আগে ১৯৯৬ সালে সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চিফ হুইপ ছিলেন।

২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের বিপুল বিজয়ের রাতেই আত্মগোপনে চলে যান হাসানাত আবদুল্লাহ। সাড়ে আট বছর তিনি ছিলেন তার নির্বাচনী এলাকা তথা বরিশালের বাইরে। তার দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে তারই হাত ধরে আওয়ামী লীগে আসা এক সময়ের জাতীয় পার্টির নেতা প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণ অনেকটা সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নেন। হাসানাত অনুসারী নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে রেখে জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে আসা নেতা-কর্মীদের নিয়ে শক্ত বলয় তৈরি করেন তৎকালীন মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হিরণ। এরপর ২০০৮ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনে মেয়র নির্বাচিত হয়ে হিরণ তার অবস্থান আরও দৃঢ় করেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমলে দায়ের হওয়া দুটো মামলার আইনি ঝামেলা কাটিয়ে ব্যাপক শোডাউন করে মহাসমারোহে বরিশালে ফেরেন হাসানাত আবদুল্লাহ। হিরণ প্রকাশ্যে আনুগত্য দেখালেও দুজনের মধ্যে হয়তো মনস্তাত্ত্বিক এক দ্বন্দ্ব ছিল। ২০১৩ সালের ১৫ জুনের সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হিরণ তার পরাজয়ের জন্য হাসানাতকে দায়ী করেন। সিটি নির্বাচন-পরবর্তী মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় হিরণ তার পরাজয়ের জন্য প্রকাশ্যে হাসানাতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। ওই সভায় হিরণ বলেছিলেন, আজ থেকে হাসানাত আবদুল্লাহ আর তাদের (মহানগর আওয়ামী লীগ) অভিভাবক নন। তবে হাসানাত অনুসারী নেতারা বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, নির্বাচনে পরাজয়ের পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে আবোল-তাবোল বলেছেন হিরণ। আগে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম একই ব্যানারে হলেও ওই নির্বাচনের পর থেকে আজ পর্যন্ত সব স্থানীয় ও জাতীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালিত হচ্ছে পৃথক ব্যানারে। সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের পর হিরণ বলয়ে কিছুটা ভাটা পড়লেও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল সদর আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হিরণ এমপি নির্বাচিত হলে আবার ঘুরে দাঁড়ায় তারা। কিন্তু একই বছরের ২২ মার্চ হিরণ এক দুর্ঘটনায় সংজ্ঞাহীন হওয়ার পর ৯ এপ্রিল মারা যান। এরপর হাসানাতের বড় ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য সাদিক আবদুল্লাহর উত্থান ঘটে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। একে একে হিরণ অনুসারীদের কাছে টানেন তিনি। গত দুই বছরেরও অধিক সময়ে অভাবনীয় উত্থানই শুধু নয়, হাসানাতের পক্ষ ত্যাগ করে হিরণ অনুসারী বনে যাওয়া নেতাদের আবার হাসানাতমুখী করেছেন সাদিক। পদ-পদবি না থাকলেও হাসানাতপুত্র সাদিককে এখন মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আইকন হিসেবে দেখছেন অনেকে। সাদিকের কারিশমার ফলেই বরিশাল আওয়ামী লীগে হারানো সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধার হয় হাসানাতের। হিরণের কট্টর অনুসারী কিছু নেতা ছাড়া সবাই এখন হাসানাত বলয়ে। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজালুল করিম। তিনি বলেন, ২০০১ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নেতা দাবিদাররা যখন পালিয়ে বেড়িয়েছেন, তখন হিরণ বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগকে সু-সংগঠিত ও শক্তিশালী করেছেন। হিরণ নিজেকে কখনো নেতা বলে দাবি করেননি। তিনি নিজেকে একজন কর্মী মনে করতেন। আজ ক্ষমতার স্বাদ পেতে কেউ তাদের (হাসানাত-সাদিক) পক্ষাবলম্বন করলেও তারা মহানগর আওয়ামী লীগের কেউ নয়, যুবলীগের হতে পারে। আফজাল বলেন, আওয়ামী লীগে তাদের একমাত্র অভিভাবক দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এর বাইরে কোনো অভিভাবক নেই। তবে বরিশাল আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি হাসানাত আবদুল্লাহ দলীয় প্রতিপক্ষের প্রভাবে কখনই কোণঠাসা হননি বলে দাবি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আনিচুর রহমানের। তিনি বলেন, হাসানাত ভাইয়ের নির্দেশেই বরিশাল আওয়ামী লীগ পরিচালিত হয়ে আসছে। মাঝে তার (হাসানাত) অনুপস্থিতিতে জাতীয় পার্টি থেকে আসা শওকত হোসেন হিরণ কিছু অনুসারী (জাতীয় পার্টি থেকে আসা) নিয়ে টেন্ডারবাজি-ভূমিদস্যুতা আর অরাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। হিরণের কাছে প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন ছিল না। হিরণ ছিলেন আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী গুপ্তচর। তিনি নিজের স্বার্থে কাজ করেছেন, দলের জন্য নয়। সৈয়দ আনিচের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে আফজালুল করিম বলেন, হিরণ আজ নেই। তিনি ভালো ছিলেন, না খারাপ তা মূল্যায়ন করবে জনগণ। তার জানাজায় লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিই প্রমাণ করে হিরণ ছিলেন বিপুল জনপ্রিয় এক নেতা। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি থাকলেও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন এবং সব শেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হাসানাত আবদুল্লাহর ভূমিকা কম-বেশি সবার জানা। প্রার্থী বাছাই, মনোনয়ন এবং নির্বাচন পরিচালনাসহ দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় তাকে তারা ‘পীর’ মানেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এমপি বলেন, হাসানাত আবদুল্লাহ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থেকে তার কর্মগুণে এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চল আওয়ামী লীগের অভিভাবকের মর্যাদা পেয়েছেন। পেছনে কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না। সূত্র জানায়, এমপি হলেও মন্ত্রিত্ব না পাওয়ায় হাসানাত আবদুল্লাহ নিজেকে আড়ালে-আবডালে রাখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য একজন মন্ত্রী বরিশালের প্রশাসনে প্রভাব বিস্তার করায় অনেক ক্ষেত্রে হাসানাতের কথা উপেক্ষিত হয় বলে তার অনুসারীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। প্রচারবিমুখ হওয়ায় গণমাধ্যমকেও এড়িয়ে চলেন তিনি। বরিশালে মাঝে-মধ্যে দলীয় কর্মসূচিতে এলেও নগরীর কালীবাড়ি রোডের বাসভবনে অবস্থান না করে চলে যান আগৈলঝাড়ার সেরালের গ্রামের বাড়িতে। হাসানাতের বড় ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ জানান, ১৯৬৮ সালের আগে জগন্নাথ কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় তার বাবার। পরে তিনি বরিশালের শ্রমিক রাজনীতিতে নেতৃত্ব দেন। ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলে মুজিব বাহিনীর প্রধান ছিলেন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। ১৯৭৩ সালে দলীয় প্রার্থী জাহিদ হোসেন জাহাঙ্গীরকে হারিয়ে মাত্র ২৬ বছর বয়সে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশে বরিশাল পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন হাসানাত। ’৭৪ সালে যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হলে বরিশাল জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে ঘাতকদের বুলেটে শহীদ হন হাসানাতের বাবা তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, ভাই আরিফ আবদুল্লাহ, বোন বেবী সেরনিয়াবাত, বড় ছেলে সুকান্ত বাবু, চাচাতো ভাই সাংবাদিক শহীদ সেরনিয়াবাত। ওই দিন তাদের বাসায় বেড়াতে গিয়ে নিহত হন বরিশালের ক্রিডেন্স ব্যান্ডের গিটারিস্ট আব্দুন নঈম খান রিন্টু। ঘাতদের বুলেটে আহত হন হাসানাতের মা আমেনা বেগম, স্ত্রী শাহানারা আবদুল্লাহ, ছোট ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকনসহ তাদের বাসায় বেড়াতে যাওয়া ক্রিডেন্স ব্যান্ডের সদস্য জিল্লুর রহমান, টুটুল, সৈয়দ মাহমুদ, মুকুল দাস ও ললিত দাস। হামলার বীভৎস দৃশ্য দেখে একটি লুঙ্গি পরে ঘাতকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিজের জীবন বাঁচিয়ে ছিলেন হাসানাত আবদুল্লাহ। বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা সৈয়দ আনিচের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ১৫ আগস্টের হামলার পর হাসানাত ভাইকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যেতে সাহায্য করেন বিমান বাহিনীর তদানীন্তন কর্মকর্তা বিএনপির বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী। তিনি আরও জানান, ভারতে চার বছর অবস্থানের পর ’৭৯ সালে দেশে ফিরে বরিশাল আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন হাসানাত আবদুল্লাহ। একই বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান তিনি। ’৮৪ সালে দলীয় সমর্থনে বরিশাল পৌরসভায় দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাতীয় পার্টির গোলাম মাওলার কাছে হেরে যান হাসানাত। ’৮৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে হাসানাত বরিশাল সদর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাতীয় পার্টির মতিউর রহমান চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন। ’৮৮ সালের সংসদ নির্বাচনেও বরিশাল-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান তিনি। একই বছর সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ’৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো বরিশাল-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। ’৯২ সালের সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন তিনি। ’৯৬ সালে বরিশাল-১ আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন এবং ওই সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চিফ হুইপের দায়িত্ব পান তিনি। ’৯৮ সালে দলের সম্মেলনে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি হাসানাত। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মামলার ঝামেলা কাটিয়ে সাড়ে আট বছর পর বরিশালে আসেন তিনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো বরিশাল-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন হাসানাত। তার স্ত্রী শাহানারা আবদুল্লাহ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, মেঝ ছেলে আশিক আবদুল্লাহ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য এবং ছোট ছেলে মঈন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।