কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে হতাহতের ঘটনায় দায়ীদের বিচারের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী-জনতা। প্রায় দুই ঘণ্টা বিক্ষোভ শেষে শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কর্মসূচি শেষ করে শহীদ মিনার এলাকা ত্যাগ করেন আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীরা জানান, রবিবারের (৪ আগস্ট) মধ্যে আটকদের মুক্তি দিতে হবে এবং সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এ সময় আগামী রবিবার গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।
এর আগে দুপুরের দিকে প্রেস ক্লাব থেকে শহীদ মিনারের উদ্দেশ্য দ্রোহযাত্রা শুরু করে শিক্ষক-জনতা। বিকেল পৌনে ৪টায় মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে পৌঁছায়। এরপর থেকে ভেঙে ভেঙে অনেকে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে আসতে থাকেন। শিক্ষার্থী, সাধারণ জনতার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মী, শিক্ষক, মানবাধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে শহীদ মিনার জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
গণগ্রেপ্তার বন্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, আটক শিক্ষার্থী-জনতার মুক্তি, কারফিউ প্রত্যাহার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ও অসংখ্য শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যার দায়ে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থী-জনতার দ্রোহযাত্রা কর্মসূচি থেকে এই চারদফা দাবি ঘোষণা করা হয়।