প্যারিস অলিম্পিক গেমসের দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন দীর্ঘদিনের পুরনো দুই প্রতিদ্বন্দ্বি রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জকোভিচ। এদিকে ইনজুরিকে পাশ কাটিয়ে আরেক সাবেক গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী তারকা এন্ডি মারে ডাবলসে প্রতিদ্বন্দিতা করার মাধ্যমে ক্যারিয়ারকে দীর্ঘ করার চেষ্টা করেছেন।
রোলা গাঁরোতে ক্যারিয়ারের ২২ গ্র্যান্ড স্ল্যামের রেকর্ড ১৪টি শিরোপা জিতেছেন নাদাল। প্রথম রাউন্ডে বিশে^র ৮৩তম র্যাঙ্কধারী মারটন ফুকসোভিকসকে ৬-১, ৪-৬, ৬-৪ গেমে পারজিত করে অলিম্পিক সিঙ্গেলসের শুভ সূচনা করেছেন স্প্যানিশ এই তারকা। যদিও ডান উরুর ইনজুরির কারণে সিঙ্গেলসে তার খেলার কথা ছিল না।
ক্যারিয়ারে ৬০তম বারের মত ২৪ বারের স্ল্যাম বিজয়ী জকোভিচের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন নাদাল।
কাল ম্যাচ শেষে নাদাল বলেছেন, ‘অবশ্যই ক্যারিয়ারের অন্যতম বড় প্রতিদ্বন্দির বিপক্ষে আবারো কোর্টে নামতে পারার বিষয়টি বিশেষ এক অনুভূতির। বিশেষ করে এই কোর্টে আমি বারবার এমন প্রতিদ্বন্দির মোকাবেলা করতে চাই। কিন্তু এখন পরিস্থিতি তার জন্য যেমন, আমার জন্যও সম্পূর্ণ ভিন্ন। সে এখনো ফর্মের তুঙ্গে রয়েছে। কিন্তু গত দুই বছর যাবত আমি ইনজুরির সাথে লড়াই করছি। আমি মনে করি সম্ভবত এবারের মতো জকোভিচই সুস্পষ্ট ফেভারিট।’
কোর্ট ফিলিপ চাট্রিয়ারে নাদাল প্রথম সেটে দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ গেমে ব্রেক পয়েন্ট তুলে নেন। দ্বিতীয় সেটে নাদাল উরুর ইনজুরিতে কিছুটা অস্বস্তি অনুভব করায় ফুকসোভিকস তার সুযোগ নিয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান। ২০০৮ অলিম্পিকের সিঙ্গেলসে স্বর্ণ ও আট বছর পর রিওতে ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন নাদাল শেষ সেটে শুরুতেই সমস্যায় পড়েন। কিন্তু দারুনভাবে ফিরে এসে পঞ্চম গেমে ব্রেক তুলে নিয়ে শেষ পর্যন্ত জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে শনিবার স্প্যানিশ সেনসেশনে কার্লোস আলকারাজের সাথে ডাবলসে জুটি বেঁধে অলিম্পিক মিশন শুরু করেছিলেন নাদাল।
রোলা গাঁরোতে এ পর্যন্ত ১০ বার একে অপরের মোকাবেলা করেছেন নাদাল ও জকোভিচ। এ পর্যন্ত ফরাসি রাজধানীতে হেড-টু-হেড লড়াইয়ে নাদাল ৮-২ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। ২০০৬ সালে প্রথমবার প্যারিসে তাদের দেখা হয়েছিল।
এদিকে সাবেক নাম্বার ওয়ান ও তিনবারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী ব্রিটিশ তারকা এন্ডি মারে ড্যান ইভান্সের সাথে জুটি বেঁধে গতকাল কোর্টে নেমেছেন। জাপানিজ জুটি কেই নিশিকোরি ও টারো ড্যানিয়েলের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত ২-৬, ৭-৬ (৭/৫), ১১/৯ গেমে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছেন। ৩৭ বছর বয়সী মারে আগেই ঘোষনা দিয়েছিলেন প্যারিস অলিম্পিকই তার ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে।
২০১২ ও ২০১৬ অলিম্পিকের সিঙ্গেলসে দুটি স্বর্ণপদক জয় করেছেন মারে।
এদিকে আরও তিনজন শীর্ষ তারকা রোববার গেমস থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়ায় অলিম্পিকের টেনিস ইভেন্টের সার্বিক মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ষষ্ঠ র্যাঙ্কধারী অস্ট্রেলিয়ার এ্যালেক্স ডি মিনায়ের কোমরের ইনজুরি কাটিয়ে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে না পারায় প্রথম রাউন্ডের আগেই নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। যদিও ডাবলসে তিনি খেলা চালিয়ে যাবার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এক সময় শীর্ষ ১০’এ থাকা ব্রিটিশ খেলোয়াড় ক্যামেরুন নোরি ও নারী একারের ৪৭তম র্যাঙ্কধারী আনহেলিনা কালিনিনাও প্রথম রাউন্ডের আগেই না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।