ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের খেলা তখন শেষ। অলিম্পিকের গ্রুপপর্বে জাপানের মেয়েদের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে ব্রাজিল। কোনো রকমে ইনজুরি টাইমের খেলাটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেই নিশ্চিত কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্নে জল ঢেলে দিয়েছে জাপান। ইনজুরি টাইমে ব্রাজিলের জালে ২ গোল দিয়েছে তারা। ব্রাজিলের জয় কেড়ে নিয়েছে ২-১ গোলে। আর তাতে করে ঝুলে গেছে ব্রাজিলের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা।
অলিম্পিকে সি গ্রুপে দুই ম্যাচে এক জয় নিয়ে ব্রাজিলের অবস্থান এখন তালিকার তিন নম্বরে। অবশ্য সামনে বাকি আরও এক ম্যাচ। যেখানে এ গ্রুপে টানা দুটি জয় পাওয়া স্পেনের বিপক্ষে লড়তে হবে তাদের। যা ব্রাজিলের জন্য বেশ কঠিনই বটে। তবে এরপরও সুযোগ থাকবে ব্রাজিলের সামনে।
কেননা অলিম্পিকে এবার নারীদের ফুটবল ইভেন্টে অংশ নিয়েছে ১২ দল। ৩ গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল যাবে কোয়ার্টারে। তাদের সঙ্গে যোগ দেবে তৃতীয় সেরা দুই দল। সে হিসাবে তালিকার তিন নম্বরে থাকলেও কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পাবে ব্রাজিল।
তবে এদিন বল দখলে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে খুব একটা মুনশিয়ানা দেখাতে পারেনি ব্রাজিল। উল্টো ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল হজম করতে বসেছিল দলটি। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে পেনাল্টি পায় জাপান। তবে সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি টানাকা।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য সেই গোলের শোধ নিয়েছে ব্রাজিল। মাঠে নেমেই ৫৬ মিনিটে জাপানের জালে বল জড়ায় দলটি। জেনিফারের গোলে ম্যাচে লিড নেয় ব্রাজিল। সেই লিড ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখে দলটি। এরপরই যেন নড়েচড়ে বসে জাপান। ইনজুরি টাইমের খেলাকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে পেনাল্টিতে গোল করার পর যোগ করা ৬ মিনিটের মাথায় ফের গোল করে বসে দলটি। তাতে নিশ্চিত হয় জাপানের জয়। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হয় কোয়ার্টার ফাইনাল।