কোপা আমেরিকা শিরোপা জয়ের আনন্দে বুঁদ হয়েছিল আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। সেই আনন্দে টিম বাসেই গান ধরেছিল ফুটবলাররা। যা ইনস্টাগ্রামে লাইভ প্রচার করছিলেন এনজো ফার্নান্দেজ। উদযাপনের এক পর্যায়ে সবশেষ কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে হারানোর প্রসঙ্গ টেনে বর্ণবাদী গান ধরে আলবিসেলেস্তেরা। যা নিয়েই এখন তোলপাড় আর্জেন্টিনার ফুটবল। এ ঘটনায় মেসিকে ক্ষমা চাইতে বলেন দেশটির আন্ডার সেক্রেটারি অব স্পোর্টস জুলিও গারো। যা মানতে না পেরে দেশটির প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ার মিলেই চাকরি থেকেই বরখাস্ত করে দিয়েছেন গারোকে।
ঘটনার সময় টিম বাসে ছিলেন না মেসি। যদিও ওই বর্ণবাদী গানের জন্য অধিনায়ক হিসেবে তার কাঁধেই দায় চাপাতে চেয়েছিলেন গারো। বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘জাতীয় দলের অধিনায়কের এ জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। এএফএ সভাপতিরও ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমার মনে হয় এটা ঠিক না। এটা আমাদের গৌরবান্বিত দেশকে বাজে পরিস্থিতিতে ফেলেছে।’
টিম বাসে মেসি ও আর্জেন্টাইন ফুটবল প্রধান ক্লাদিও তাপিয়া না থাকার পরও তাদের দিকে এমন অভিযোগ মানতে পারেননি মিলেই। যার ফলে গারোকে বরখাস্ত করে এক বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট অফিস জানাচ্ছে যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, টানা দুবার কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা জাতীয় দল কিংবা কোনো নাগরিক কী ভাববে, কী করবে, সেটা কোনো সরকার বলতে পারে না। এ কারণে জুলিও গারো আর্জেন্টিনার আন্ডার সেক্রেটারি অব স্পোর্টসের দায়িত্বে আর থাকছেন না।’
বরখাস্ত হওয়ার পর বিষয়টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন গারো, ‘আমার কথা যদি কাউকে আঘাত করে, তাহলে দুঃখিত। এটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। তবে আমি সব সময়ই যেকোনো ধরনের বর্ণবাদের বিরুদ্ধে থাকব।’
ফ্রান্সকে বর্ণবাদী মন্তব্য করে গান করা ঠিক হয়নি, বুঝতে পারছেন এনজো। বিষয়টির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘জাতীয় দলের উদযাপনে আমার ইনস্টাগ্রাম চ্যানেলে একটি ভিডিও পোস্ট করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাই। এ গানে অত্যন্ত অপমানজনক ভাষা আছে এবং এসব শব্দ ব্যবহারের কোনো অজুহাত নেই। সব ধরনের বৈষম্যের বিপক্ষে আমি। আমাদের কোপা আমেরিকা উদযাপনের উন্মাদনায় পড়ে গিয়েছিলাম বলে ক্ষমা চাই।’