ঢাকা ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

আশুরার রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪
  • ১৯ বার

আশুরা শব্দের অর্থ হচ্ছে দশ। আরবি সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে পবিত্র আশুরা বলা হয়। এটি একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ দিন। ইসলামে এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে। আসমান-জমিন সৃষ্টিসহ পৃথিবীতে অনেক স্মরণীয় ও যুগান্তকারী ঘটনা এ মাসের ১০ তারিখে অর্থাৎ পবিত্র আশুরার দিন সংঘটিত হয়েছিল।

আশুরার রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত

ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) হিজরতের পর মদিনার ইহুদিদের আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তারা বলল, এটি একটি উত্তম দিন যেদিন আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের মুক্তি দিয়েছেন। তাই মুসা (আ.) এ দিন রোজা রাখতেন। তখন আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, আমি তোমাদের চেয়েও মুসার (আ.) অধিক নিকটবর্তী। এরপর তিনি এ দিন রোজা রাখেন, অন্যদেরও রোজা রাখার নির্দেশ দেন। (সহিহ মুসলিম: ২৫৪৮)

উম্মুল মুমিনীন হাফসা (রা.) বলেন, নবিজি (সা.) কখনো চারটি আমল পরিত্যাগ করেননি। সেগুলো হলো, আশুরার রোজা, জিলহজের প্রথম দশকের রোজা, প্রতি মাসে তিন দিন রোজা, ও ফজরের পূর্বের দুই রাকাত নামাজ। (সুনানে নাসাঈ: ২৪১৬)

হজরত কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেন, আশুরার রোজার ব্যাপারে আমি আশাবাদী, আল্লাহ তাআলা এর অছিলায় বিগত জীবনের এক বছরের গোনাহ মাফ করে দেবেন। (তিরমিজি ও মুসনাদে আহমাদ)

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রমজান মাসের রোজা ও আশুরার দিনের রোজার মতো অন্য কোনো রোজাকে এত বেশি গুরুত্ব দিতে দেখিনি। (সহিহ বুখারি: ২০০৬)

আশুরা উপলক্ষে দুটি রোজা রাখা সুন্নত। রোজা রাখার পদ্ধতি হল- মহররমের ৯-১০ কিংবা ১০-১১ তারিখ রোজা রাখা। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদিদের বিরোধিতা কর, আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখো। (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৫)

 

 

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কল্যানমুখী দেশ গড়তে সর্বশ্রেণির মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান- এড.জুবায়ের

আশুরার রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত

আপডেট টাইম : ০৮:২৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

আশুরা শব্দের অর্থ হচ্ছে দশ। আরবি সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে পবিত্র আশুরা বলা হয়। এটি একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ দিন। ইসলামে এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে। আসমান-জমিন সৃষ্টিসহ পৃথিবীতে অনেক স্মরণীয় ও যুগান্তকারী ঘটনা এ মাসের ১০ তারিখে অর্থাৎ পবিত্র আশুরার দিন সংঘটিত হয়েছিল।

আশুরার রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত

ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) হিজরতের পর মদিনার ইহুদিদের আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তারা বলল, এটি একটি উত্তম দিন যেদিন আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের মুক্তি দিয়েছেন। তাই মুসা (আ.) এ দিন রোজা রাখতেন। তখন আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, আমি তোমাদের চেয়েও মুসার (আ.) অধিক নিকটবর্তী। এরপর তিনি এ দিন রোজা রাখেন, অন্যদেরও রোজা রাখার নির্দেশ দেন। (সহিহ মুসলিম: ২৫৪৮)

উম্মুল মুমিনীন হাফসা (রা.) বলেন, নবিজি (সা.) কখনো চারটি আমল পরিত্যাগ করেননি। সেগুলো হলো, আশুরার রোজা, জিলহজের প্রথম দশকের রোজা, প্রতি মাসে তিন দিন রোজা, ও ফজরের পূর্বের দুই রাকাত নামাজ। (সুনানে নাসাঈ: ২৪১৬)

হজরত কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেন, আশুরার রোজার ব্যাপারে আমি আশাবাদী, আল্লাহ তাআলা এর অছিলায় বিগত জীবনের এক বছরের গোনাহ মাফ করে দেবেন। (তিরমিজি ও মুসনাদে আহমাদ)

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রমজান মাসের রোজা ও আশুরার দিনের রোজার মতো অন্য কোনো রোজাকে এত বেশি গুরুত্ব দিতে দেখিনি। (সহিহ বুখারি: ২০০৬)

আশুরা উপলক্ষে দুটি রোজা রাখা সুন্নত। রোজা রাখার পদ্ধতি হল- মহররমের ৯-১০ কিংবা ১০-১১ তারিখ রোজা রাখা। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং তাতে ইহুদিদের বিরোধিতা কর, আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোজা রাখো। (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৫)