ঢাকা ০৭:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কানাডাকে উড়িয়ে কোপার ফাইনালে আর্জেন্টিনা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪
  • ৩৭ বার

অবশেষে মেসির পায়ে গোল, লম্বা সময় ধরে ছন্দে নেই এই ফুটবল যাদুকার। এর পেছনে বড় কারণ ছিল চোট। পুরোপুরি ফিট না থাকা মেসি চলতি কোপা আমেরিকাতেও ছিলেন নির্বিষ। অবশেষে সেমিফাইনালে এসে প্রথম জালের দেখা পেলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেমিফাইনালে কানাডাকে উড়িয়ে দিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। কানাডার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পেল আর্জেন্টিনা।

কানাডার বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে জালের দেখা পেয়ে যান মেসি। এঞ্জো ফার্নান্দেজের পাসে হালকা করে পা ছুঁইয়ে দিয়ে চলতি কোপায় নিজের প্রথম গোলটি আদায় করে নেন মেসি।

মেট লাইফ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুটা নিজেদের রঙে রঙিন করতে পারতো কানাডা। তবে পরপর দুটি সুযোগ পেয়ে দুটিই হারায় কানাডিয়ানরা। ঠিক এই সুযোগটা লুফে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে পেয়ে গেছে জালের দেখা। জুলিয়ান আলভারেজের একমাত্র গোলে প্রথমার্ধে কানাডার বিপক্ষে এগিয়ে থাকে লিওনেল স্কালোনির দল। বিরতির পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন মেসি।

কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে বাংলাদেশ সময় ভোরে মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা ও কানাডা। যুক্তরাষ্ট্রের মেট লাইফ স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে কানাডার বিপক্ষে এই মুহূর্তে ২-০ গোলে এগয়ে তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

পরিসংখ্যানে আর্জেন্টিনার ধারে কাছেও নেই কানাডা। তবুও সেমিফাইনাল বলে কথা। একটু এদিক-ওদিক হলেই হয়ে যেতে পারে বিপদ। এমন ম্যাচে সর্বোচ্চটা দেওয়ার মিশনেই মাঠে নেমেছে দুদল।

তবে ম্যাচের শুরুর ১০ মিনিটে আর্জেন্টিনার চেয়ে বরং দাপট দেখিয়েছে কানাডাই। ম্যাচের প্রথম আক্রমণটাও আসে কানাডার পক্ষ থেকে। চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। সপ্তম মিনিটে আরেকবার আক্রমণে কানাডা। এবারও আর্জেন্টিনার ডি বক্সের বামপাশ থেকে ভুল শটে সুযোগ হারায় কানাডিয়ানরা।

পাল্টা আক্রমণে ১২তম মিনিটে প্রথম সুযোগা সে আর্জেন্টিনার সামনে। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে আক্রমণে যান ডি মারিয়া। প্রতিপক্ষের ডি বক্সের ডানপাশে গিয়ে তিনি বল বাড়ান লিওনেল মেসিকে। কিন্তু আর্জেন্টাইন অধিনায়কের পা পায়ের জোরালো শট গোলপোস্টের পাশ ঘেঁষে চলে যায় বাইরে।

তবে হতাশা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ম্যাচের ২২তম মিনিটেই দারুণ গোলে আর্জেন্টিনাকে লিড এনে দিয়েছেন আলভারেজ। যা কোপা আমেরিকায় এই তারকার দ্বিতীয় গোল।

এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণে ধার বাড়ায় আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে ৬০ ভাগ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে ৮ বার আক্রমণে যায় লাতিন আমেরিকার দলটি। অন্যদিকে ৪০ ভাগ বলের নাগাল পাওয়া কানাডা আক্রমণে যায় চারবার।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে দুটি সহজ সুযোগ মিস করেন মেসি। প্রথমে ৪৩তম মিনিটে সতীর্থের বানিয়ে দেওয়া সুযোগে পা ছুঁইয়ে পারেননি ঠিকানায় পাঠাতে। তার নেওয়া শট গোলবারের বাম পাশ ঘেঁষে যায়। কয়েক মিনিট বাদে ডি মারিয়ার পাস থেকে আবারও ব্যর্থ শট নেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। উল্টো প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে কানাডার কাছে গোল খেতে বসেছিল আর্জেন্টাইনরা। এমি মার্টিনেজের পায়ের জাদুতে কোনোরকম রক্ষা মেলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে ম্যাচ শেষ হয়েছে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কানাডাকে উড়িয়ে কোপার ফাইনালে আর্জেন্টিনা

আপডেট টাইম : ১০:৩৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

অবশেষে মেসির পায়ে গোল, লম্বা সময় ধরে ছন্দে নেই এই ফুটবল যাদুকার। এর পেছনে বড় কারণ ছিল চোট। পুরোপুরি ফিট না থাকা মেসি চলতি কোপা আমেরিকাতেও ছিলেন নির্বিষ। অবশেষে সেমিফাইনালে এসে প্রথম জালের দেখা পেলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেমিফাইনালে কানাডাকে উড়িয়ে দিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। কানাডার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পেল আর্জেন্টিনা।

কানাডার বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে জালের দেখা পেয়ে যান মেসি। এঞ্জো ফার্নান্দেজের পাসে হালকা করে পা ছুঁইয়ে দিয়ে চলতি কোপায় নিজের প্রথম গোলটি আদায় করে নেন মেসি।

মেট লাইফ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুটা নিজেদের রঙে রঙিন করতে পারতো কানাডা। তবে পরপর দুটি সুযোগ পেয়ে দুটিই হারায় কানাডিয়ানরা। ঠিক এই সুযোগটা লুফে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে পেয়ে গেছে জালের দেখা। জুলিয়ান আলভারেজের একমাত্র গোলে প্রথমার্ধে কানাডার বিপক্ষে এগিয়ে থাকে লিওনেল স্কালোনির দল। বিরতির পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন মেসি।

কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে বাংলাদেশ সময় ভোরে মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা ও কানাডা। যুক্তরাষ্ট্রের মেট লাইফ স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে কানাডার বিপক্ষে এই মুহূর্তে ২-০ গোলে এগয়ে তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

পরিসংখ্যানে আর্জেন্টিনার ধারে কাছেও নেই কানাডা। তবুও সেমিফাইনাল বলে কথা। একটু এদিক-ওদিক হলেই হয়ে যেতে পারে বিপদ। এমন ম্যাচে সর্বোচ্চটা দেওয়ার মিশনেই মাঠে নেমেছে দুদল।

তবে ম্যাচের শুরুর ১০ মিনিটে আর্জেন্টিনার চেয়ে বরং দাপট দেখিয়েছে কানাডাই। ম্যাচের প্রথম আক্রমণটাও আসে কানাডার পক্ষ থেকে। চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করে তারা। সপ্তম মিনিটে আরেকবার আক্রমণে কানাডা। এবারও আর্জেন্টিনার ডি বক্সের বামপাশ থেকে ভুল শটে সুযোগ হারায় কানাডিয়ানরা।

পাল্টা আক্রমণে ১২তম মিনিটে প্রথম সুযোগা সে আর্জেন্টিনার সামনে। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে আক্রমণে যান ডি মারিয়া। প্রতিপক্ষের ডি বক্সের ডানপাশে গিয়ে তিনি বল বাড়ান লিওনেল মেসিকে। কিন্তু আর্জেন্টাইন অধিনায়কের পা পায়ের জোরালো শট গোলপোস্টের পাশ ঘেঁষে চলে যায় বাইরে।

তবে হতাশা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ম্যাচের ২২তম মিনিটেই দারুণ গোলে আর্জেন্টিনাকে লিড এনে দিয়েছেন আলভারেজ। যা কোপা আমেরিকায় এই তারকার দ্বিতীয় গোল।

এগিয়ে যাওয়ার পর আক্রমণে ধার বাড়ায় আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে ৬০ ভাগ সময় বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে ৮ বার আক্রমণে যায় লাতিন আমেরিকার দলটি। অন্যদিকে ৪০ ভাগ বলের নাগাল পাওয়া কানাডা আক্রমণে যায় চারবার।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে দুটি সহজ সুযোগ মিস করেন মেসি। প্রথমে ৪৩তম মিনিটে সতীর্থের বানিয়ে দেওয়া সুযোগে পা ছুঁইয়ে পারেননি ঠিকানায় পাঠাতে। তার নেওয়া শট গোলবারের বাম পাশ ঘেঁষে যায়। কয়েক মিনিট বাদে ডি মারিয়ার পাস থেকে আবারও ব্যর্থ শট নেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। উল্টো প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে কানাডার কাছে গোল খেতে বসেছিল আর্জেন্টাইনরা। এমি মার্টিনেজের পায়ের জাদুতে কোনোরকম রক্ষা মেলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে ম্যাচ শেষ হয়েছে।