তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, তথ্যই যদি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয় এবং এর মাধ্যমে যদি একটা চিন্তা তৈরি করা হয়। এটা ভালো, ওটা খারাপ তাহলে সেটা সমাজে কারও মঙ্গল বয়ে আনবে না। কাজেই আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে যে, আমরা তথ্যের জায়গায় সততা নিশ্চিত করবো।
সম্প্রতি রাজধানীর ফার্মগেটে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সবার আগে তথ্যের সততা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করতে হবে। ভিন্ন মত থাকা সমাজের একটা সৌন্দর্য, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু যেখানে একমত হতে হবে সেটি হচ্ছে, সত্য ও সঠিক তথ্য বলতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য যাচাই-বাছাই করা আমাদের দায়িত্ব। সত্য মেনে নেয়ার দৃষ্টিভঙ্গি না থাকলে, রাজনীতির সাথে মিলিয়ে তথ্য বিকৃত করলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না। আগে অঙ্গীকার করতে হবে যে, আমি যে রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাস করি না কেন, তথ্যের জায়গায় আমি নিশ্চিত করতে চাই আমার সততা। সেই তথ্য, যেটা সত্য। সত্য কারো পক্ষে যাবে, কারো বিপক্ষে যাবে। সত্য যেদিকেই যাবে সেটা সবার মেনে নিতে হবে।
তিনি বলেন, এই সমাজে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনেক জায়গায় অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যাচার হয়। শুধু আমার রাজনৈতিক চিন্তার পক্ষে গেছে বা যে লোকটিকে আমি রাজনৈতিকভাবে অপছন্দ করি তার বিপক্ষে গেছে এজন্য যতই মিথ্যা হোক সেটা আমি আরও ১০ জনকে প্রচার করি। এটি ন্যায়সঙ্গত নয়।
এই সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ইঙ্গিত করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখানে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা বিতর্কের আগে করমর্দন করল না, কেউ কারও দিকে তাকায় না। সেখানে তো শান্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নোংরা ভাষায় আক্রমণ করছে। আর সেই দেশ আমাদের লেকচার দেয়, নসিহত করে এই করতে হবে, ওই করতে হবে।
মতবিরোধ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকার পরও বাংলাদেশের রাজনীতিবিদেরা সহনশীল বলে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী দিনে এসব সমস্যা সমাধান করে আমরা নজির স্থাপন করব।’