বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ‘বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২৪’র উদ্বোধন করেছেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
মঙ্গলবার (২ জুন) দুপুরে বিজিবি সদর দপ্তর, পিলখানার বকুলতলা প্রাঙ্গণে নিজ হাতে একটি আমলকী গাছের চারা রোপণ করে বিজিবির সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযানের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।
এসময় বিজিবি মহাপরিচালক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নারকেল গাছের চারা রোপণ করে সর্বপ্রথম বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেন এবং ১৯৭৪ সালে জাতীয়ভাবে সারা দেশে বৃক্ষরোপণ অভিযান কর্মসূচি পালন করেন। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন, দেশের ১ ইঞ্চি জায়গাও যেন পতিত পড়ে না থাকে।
প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা প্রতিপালনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি সদর দপ্তরসহ সারাদেশে বিজিবির সব রিজিওন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও বিওপিতে কর্মরত প্রতিটি সদস্যকে তাদের স্থাপনার প্রতিটি খালি জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ, বনজ, ভেষজ ও অন্যান্য গাছের চারা রোপণ করে এ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ, এবারের বৃক্ষরোপণ অভিযানের এই প্রতিপাদ্যকে তুলে ধরে বিজিবি মহাপরিচালক অপ্রয়োজনীয়ভাবে গাছ না লাগিয়ে পরিকল্পনামাফিক সঠিক স্থানে গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন এবং সেগুলোর সঠিক যত্ন ও পরিচর্যার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। শুধু কর্মস্থলে নয়, বিজিবির সব সদস্যকে তাদের বাড়ির আঙ্গিনার পতিত ও খালি জায়গায় শাকসবজিসহ ফলমূল ও ঔষধি গাছ লাগানোর আহ্বান জানান।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, গাছ বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন ছেড়ে দেয়, বাতাস থেকে কার্বনডাইঅক্সাইড শোষণ করে, বায়ুদূষণ রোধ করে এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। তাই সুস্থ জীবন ও সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আমাদের অধিক পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, দেশ ও জনগণের বৃহত্তর কল্যাণে বিজিবি সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সফল করে চিরসবুজ সোনার বাংলা গড়তেও বিজিবির প্রতিটি সদস্য বলিষ্ঠ অবদান রাখবে বলে বিজিবি মহাপরিচালক দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, বৃক্ষরোপণ অভিযান কর্মসূচি-২০২৪ এর আওতায় বিজিবি দপ্তরসহ সকল রিজিওন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও বিওপি পর্যায়ে সর্বমোট ৭৩ হাজার ৫১৫টি বৃক্ষ রোপণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।