ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রেমিকের সামনে প্রেমিকাকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলেসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সকালে বাকি ২ যুবককে পুলিশ আটক করে।
আটকেরা হলেন- উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেক মোল্লার ছেলে সাইফুর রহমান সুজন (২১), তার দুই সহযোগী চান্দ্রা ইউনিয়নের গোয়ালদী গ্রামের মুন্নু মুন্সির ছেলে তাহসিন মুন্সী (২০) ও একই গ্রামের তালেব মিয়ার ছেলে মুন্না মিয়া (২০)।
এর আগে শুক্রবার (৩১ মে) রাতে উপজেলার বামনকান্দা রেল জংশন এলাকায় ওই তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিবচরের গুপ্তেরচর এলাকা থেকে প্রেমিক ইউনুচ সরদারের সঙ্গে তার প্রেমিকা ভাঙ্গা গোল চত্বর এলাকায় ঘুরতে আসে। সন্ধ্যার পর তারা ভ্যানযোগে বাড়ি ফিরছিল। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সুজনসহ ৩ বখাটে যুবক তাদের ভ্যানের গতিরোধ করে নামতে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে বখাটেরা তাদের রাস্তার নিচে জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে ইউনুচকে চড়-থাপ্পড় মেরে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
এ সময় এক্সপ্রেসওয়ের বাইপাস সড়ক দিয়ে পুলিশের একটি টহলভ্যান সেখানে পৌঁছালে ভ্যানচালক বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে এক বখাটেকে আটক করতে সক্ষম হয়। বাকিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খালেক মোল্লা বলেন, আমার ছেলেকে পুলিশ আটক করেছে। তবে সে এ ঘটনায় জড়িত নয়, সে ভাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেলে আসিতেছিল। ওই ঘটনায় সে আরো সকলকে থামানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ আসলে অন্যরা পালিয়ে যায়, তখন আমার ছেলেকে পেয়ে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ বলেন, প্রেমিকের সামনে প্রেমিকাকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে ঘটনাস্থল থেকে ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলেকে আটক করা হয়। পরে তার দুই সহযোগীদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।