ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরি হারানোর আতঙ্ক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ অগাস্ট ২০১৬
  • ৩১০ বার

মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোতে চলছে চাকরি হারানোর আতঙ্ক। বিভিন্ন কোম্পানি একের পর এক স্বেচ্ছা অবসর স্কিমের মাধ্যমে পদত্যাগের সুযোগ দিচ্ছে। এ সুযোগের মাধ্যমে মূলত চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কর্মীরা।

এদিকে রবি-এয়ারটেল একীভূত হওয়ার পর কাজ না করতে চাইলে এয়ারটেল কর্মীরা স্বেচ্ছা অবসর স্কিমের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে পারবেন। এয়ারটেলের চার শতাধিক কর্মী আন্তর্জাতিক মানের এই স্কিমের আওতায় সুবিধা ভোগ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। এতে উৎকণ্ঠা আরো বেড়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিটিআরসি এ বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে চাকরি যাওয়ার ভয়ে থাকা এয়ারটেল কর্মীদের দুশ্চিন্তা আরো বেড়েছে।

গ্রামীণফোন এ ধরনের স্কিম জুনে চালু করে। সে সময় অন্তত ৩৫০ কর্মী বাধ্য হয়ে ওই স্কিম গ্রহণ করেন।

গ্রামীণফোনের প্রোগ্রাম অনুসারে, চাকরি-কালের ওপর ভিত্তি করে তিন ক্যাটাগরিতে এ স্কিম ভোগ করতে পারবেন স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া কর্মীরা। সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২৪ থেকে ৭০ পর্যন্ত মৌলিক বেতন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে কর্মীদের।

এদিকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সিটিসেল সরকারের পাওনা ৪৭৭.৫১ কোটি টাকা পরিশোধ না করলে অপারেটরটিকে বন্ধ করে দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে সিটিসেলে কর্মরত ৬৫০ কর্মী চাকরি চলে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন। সিটিসেলকে ১৬ আগস্টের মধ্যে বিকল্প সার্ভিস প্রোভাইডার খুঁজে নেওয়ার উপদেশ দিয়েছে টেলিকম রেগুলেটর।

রেগুলেটরের আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট হুমায়ুন রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, হাইকোর্ট থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পরই বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন একীভূত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

তিনি বলেন, একীভূতকরণের ফি ১০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া রবিকে স্পেক্ট্ররাম সমন্বয়ের জন্য আরও ৫০৭ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। আদালতের রায়ের পরপরই রবিকে এ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

উল্লেখ্য, রবি-এয়ারটেল একীভূত হওয়াকে কেন্দ্র করে অর্থসংকটে এয়ারটেল থেকে ইতোমধ্যেই চাকরি ছেড়েছেন ১২৮ কর্মী। একীভূত হওয়ার আগে গত আগস্টে এয়ারটেলের স্থায়ী কর্মী সংখ্যা ছিল ৫২৮, যা এখন কমে ৪০০ হয়েছে। গত ১১ মাসে ১২৮ এয়ারটেল কর্মী চাকরি ছেড়েছেন। বাকিরাও রয়েছেন চাকরি হারানোর আতঙ্কে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরি হারানোর আতঙ্ক

আপডেট টাইম : ১২:১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ অগাস্ট ২০১৬

মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোতে চলছে চাকরি হারানোর আতঙ্ক। বিভিন্ন কোম্পানি একের পর এক স্বেচ্ছা অবসর স্কিমের মাধ্যমে পদত্যাগের সুযোগ দিচ্ছে। এ সুযোগের মাধ্যমে মূলত চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কর্মীরা।

এদিকে রবি-এয়ারটেল একীভূত হওয়ার পর কাজ না করতে চাইলে এয়ারটেল কর্মীরা স্বেচ্ছা অবসর স্কিমের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে পারবেন। এয়ারটেলের চার শতাধিক কর্মী আন্তর্জাতিক মানের এই স্কিমের আওতায় সুবিধা ভোগ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। এতে উৎকণ্ঠা আরো বেড়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিটিআরসি এ বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে চাকরি যাওয়ার ভয়ে থাকা এয়ারটেল কর্মীদের দুশ্চিন্তা আরো বেড়েছে।

গ্রামীণফোন এ ধরনের স্কিম জুনে চালু করে। সে সময় অন্তত ৩৫০ কর্মী বাধ্য হয়ে ওই স্কিম গ্রহণ করেন।

গ্রামীণফোনের প্রোগ্রাম অনুসারে, চাকরি-কালের ওপর ভিত্তি করে তিন ক্যাটাগরিতে এ স্কিম ভোগ করতে পারবেন স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া কর্মীরা। সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২৪ থেকে ৭০ পর্যন্ত মৌলিক বেতন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে কর্মীদের।

এদিকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সিটিসেল সরকারের পাওনা ৪৭৭.৫১ কোটি টাকা পরিশোধ না করলে অপারেটরটিকে বন্ধ করে দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে সিটিসেলে কর্মরত ৬৫০ কর্মী চাকরি চলে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন। সিটিসেলকে ১৬ আগস্টের মধ্যে বিকল্প সার্ভিস প্রোভাইডার খুঁজে নেওয়ার উপদেশ দিয়েছে টেলিকম রেগুলেটর।

রেগুলেটরের আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট হুমায়ুন রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, হাইকোর্ট থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পরই বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন একীভূত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

তিনি বলেন, একীভূতকরণের ফি ১০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া রবিকে স্পেক্ট্ররাম সমন্বয়ের জন্য আরও ৫০৭ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। আদালতের রায়ের পরপরই রবিকে এ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

উল্লেখ্য, রবি-এয়ারটেল একীভূত হওয়াকে কেন্দ্র করে অর্থসংকটে এয়ারটেল থেকে ইতোমধ্যেই চাকরি ছেড়েছেন ১২৮ কর্মী। একীভূত হওয়ার আগে গত আগস্টে এয়ারটেলের স্থায়ী কর্মী সংখ্যা ছিল ৫২৮, যা এখন কমে ৪০০ হয়েছে। গত ১১ মাসে ১২৮ এয়ারটেল কর্মী চাকরি ছেড়েছেন। বাকিরাও রয়েছেন চাকরি হারানোর আতঙ্কে।