কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র বলছে, ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক ও দশম (কর্মকর্তা) গ্রেডে প্রবেশন কর্মকর্তাদের পরবর্তী পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্তির ক্ষেত্রে ফিডার পদে চাকরিকাল আড়াই দুই বছর ছিলো।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আগে বিসিএস চাকরি ছেড়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কর্মীরা আসতো। এমনকি আমি নিজেও বিসিএস ছেড়ে এসেছি। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছাড়ছে। এটা হতাশার।
এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা কম হওয়ায় পরবর্তী করনীয় ঠিক করতে আজ সোমবার একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল।
ওই অনুষ্ঠানে এক প্রচার পত্রে উল্লেখ করা হয়, সামপ্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ইতোপূর্বে প্রাপ্ত ১.৫ বেসিকের সমান শ্রান্ত্মিবিনোদন ভাতা, ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ের রেজাল্টের উপর নির্ভর করে প্রদত্ত একটা অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট, ট্রেনিং একাডেমির কর্মকর্তাগণের ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে প্রাপ্য ভাতা, ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ের কর্মকর্তাগণ ট্রেনিং সমাপনান্ত্মে বিদেশে বিশেষ প্রশিক্ষণের সুবিধা, প্রথম নিয়োগের সময় চারটি/তিনটি প্রথম শ্রেণির জন্য অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট কর্তন বা বাতিল করা হয়েছে।
সরকার ঘোষিত রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে দেশের সময়োপযোগী মুদ্রানীতি প্রণয়ন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণসহ নানাবিধ জটিল ও বুদ্ধিবৃত্তিক নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চাকা সচল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন বিভাগ/প্রতিষ্ঠান/বাহিনীর কর্মকর্তাদের পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাদি বৃদ্ধি পেলেও দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাগণের সুবিধা কমছে বা কর্তন করা হচ্ছে যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাগণের মধ্যে অসন্তষ্টি ও হতাশা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রশাসন ক্যাডারের ৫ম গ্রেডভুক্ত উপসচিবগণ ৩ বছর মেয়াদ পূর্তিতে, সশস্ত্র বাহিনীর মেজর ও সমমান পদমর্যদার কর্মকর্তা, এমআরএ, তিতাস গ্যাস এবং পিকেএসএফসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সমমানের সরকারের অন্যান্য প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানের ৫ম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তাগণ গাড়ী রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা/সুবিধা প্রাপ্ত অথবা সার্বক্ষণিক গাড়ি ব্যবহার সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তারা এইসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন, যা তাঁদের সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা অনুযায়ী বৈষম্যের শিকার। তাই করনীয় ঠিক করতে মতবিনিময় করবে তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের সভাপতি এইচ এম দেলোয়ার হোসাইন বলেন, আজ আমাদের একটি মতবিনিময় সভা আছে। সেখানে আমরা আমাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। এরপর জানতে পারবেন।
তবে এ বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজাউল হক বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার কাছে অফিসিয়াল কোনো তথ্য নেই।