প্রায় ২০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে বিটিআরসির উপপরিচালক মো. হাসিবুল কবির, আইজিডব্লিউ অপারেটর বেসটেক টেলিকমের চেয়ারম্যান এবং এমডির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (২৬ মে) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির পরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি দা
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বেসটেক টেলিকম লিমিটেড সেবা রপ্তানির জন্য বিটিআরসি থেকে আইজিডব্লিউ লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠান। আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল বা সেবা রপ্তানি বাবদ মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলে ফরেন কারেন্সি বা এফসি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু অনুসন্ধানকালে আইজিডব্লিউ অপারেটর বেসটেক টেলিকমের মাধ্যমে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৯ মাসে ১০১ কোটি ৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৫০ কল মিনিট এসেছে। ওই সেবার মূল্য বাবদ প্রতি কল মিনিট ০.০৩ মার্কিন ডলার হিসাবে ৩ কোটি ৩ লাখ ১৯ হাজার ৫৯৪ মার্কিন ডলার বা ২৩৪ কোটি ৭২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হওয়া কথা
এ সংক্রান্ত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গুলশান শাখার প্রাপ্ত রেকর্ড থেকে দেখা যায় মাত্র ৪৬ লাখ ৮ হাজার ৪৬১ মার্কিন ডলার বা ৩৫ কোটি ৫৭ লাখ ৭৮ হাজার ৪৩৯ টাকা জমা হিয়েছে। বাকি ২ কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ১৩৪ মার্কিন ডলার দেশে আসেনি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৯৯ কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬২৯ টাকা। ওই সময়ে ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও এমডি ছিলেন মো. তরিকুল ইসলাম এবং এনায়েত কবির। তারা রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের স্বার্থ থাকা সত্ত্বেও বিদ্যমান মানিলন্ডারিং আইন লঙ্ঘন করে পাচার কিংবা মানিলন্ডারিং অপরাধ করেছেন।
যে কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা বা সম্পত্তি পাচার করে মানিলন্ডারিংজনিত অপরাধ করায় কিংবা বাংলাদেশে আনয়ন যোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে না এনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারায় বেসটেক টেলিকমের ওই দুই কর্মকর্তা ও বিটিআরসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসিবুল কবিরকে আসামি মামলা দায়ের করেছে দুদক।