তবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে বিনিয়োগকারীরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলতে পারেন বলে মত অর্থনীতিবিদদের।
এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মোটাদাগে তিনটি কারণ থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেন ফাহমিদা খাতুন।
তবে এনবিআরে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এই সুবিধা আরো বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। তারা জানিয়েছিল, এই সুবিধা অব্যাহত থাকলে বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হবে।
এ ছাড়া আসন্ন অর্থবছরে মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং নির্মাণসামগ্রী আমদানিতে শূন্য শুল্ক সুবিধাও শেষ হয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে।
এই ধরনের বিনিয়োগকারীকে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি, ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং যানবাহন আমদানিতে অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক (এসডি) দিতে হবে। বর্তমানে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য এখানে সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য লভ্যাংশ আয়কে করের বাইরে রেখেছিল। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন ২০১০-এর অধীনে পরিচালিত অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইন ২০১০-এর অধীনে পরিচালিত হাই-টেক পার্কগুলোর জন্য এই সুবিধা দেওয়া হয়েছিল।
বর্তমানে সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলছে। এর মধ্যে সরকারি ৬৮টি অঞ্চলের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর এসব অঞ্চল থেকে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করে ৪০ বিলিয়ন ডলার আয়ের পরিকল্পনা বেজার। এ ছাড়া বেজা মনে করে, এখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
বেজার বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও নরওয়ের থেকে এফডিআইয়ের মাধ্যমে ১.৫০ বিলিয়ন ডলার এসেছে।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বর্তমানে ৯২টি হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মীয়মাণ। এর মধ্যে ১১টি হাই-টেক পার্কে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখানে এক হাজার ১২৩.৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, যার মধ্যে এফডিআই হিসেবে এসেছে ৯৬৪ কোটি টাকা।