জিম্মিদশা থেকে নাবিকদের মুক্তি আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগেই হতে পারে নাকি আরো সময় লাগবে তা নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে জলদস্যুদের পক্ষ থেকে মুক্তিপণ চাওয়ার খবর শোনা গেলেও বিষয়টি কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দস্যুদের সঙ্গে মালিকপক্ষের যোগাযোগ হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে তা ঠিক আছে। নাবিকরা কত দ্রুত মুক্তি পাচ্ছেন তা জলদস্যুদের ওপরই অনেকটা নির্ভর করছে।
এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে নাবিকদের জন্য ২৫ থেকে ৩০ দিনের খাবার ছিল। এর মধ্যে জলদস্যুরা সেই মজুদের খাবার খেয়েছে। তবে জাহাজে বতর্মানে খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই। জলদস্যুরা জাহাজে দুম্বা ও ছাগল নিয়ে গেছে।
আম্মু আমি দ্রুত আসব : মেয়েকে বাবা
সর্বশেষ গতকাল জাহাজ থেকে নাবিকদের কেউ কেউ তাঁদের পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এতে স্বজনরা কিছুটা স্বস্তি পেলেও নাবিকরা মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের উদ্বেগ যাচ্ছে না।
জিম্মি নাবিক মোহাম্মদ সামশুদ্দিন শিমুলের স্ত্রী ফারজানা সুলতানা রিমা গতকাল বিকেলে জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী এদিন দুপুরে ফোন করেন। প্রায় ১৫ মিনিট স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছেন উল্লেখ করে ফারজানা সুলতানা কালের কণ্ঠকে বলেন, “নাবিকরা সবাই ভালো আছেন। তাঁদের সঙ্গে এখনো দুর্ব্যবহার করা হয়নি। অনেকের কাছে শুনছি ঈদের পরে তাঁরা মুক্তি পেতে পারেন। আমার স্বামীও কিছুটা এ রকম ধারণা দিয়েছেন। আজকে আমার মেয়ের সঙ্গেও তাঁর বাবা কথা বলেছেন। এ সময় মেয়ের জিজ্ঞাসার জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আম্মু আমি দ্রুত আসব’।”
প্রসঙ্গত, আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী বেসরকারি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।