ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যাংকে বাড়ছে নগদ ডলার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৫:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
  • ৪৪ বার

প্রবাসীদের বিশেষ লভ্যাংশের সুবিধা দিয়ে ব্যাংকে ডলার গচ্ছিত রাখার সুযোগ দেওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে নগদ ডলার বাড়তে শুরু করেছে। যদি এভাবে ডলার রাখার পরিমাণ বাড়তে থাকে তাহলে স্বভাবত ব্যাংকে ক্যাশ ডলারের মজুদও বাড়বে। কিন্তু যদি গচ্ছিত রাখার তুলনায় উত্তোলনের হার বেশি হয় তাহলে আবার কমে যাবে। কারণ এ পদ্ধতি মূলত সঞ্চয়ী হিসাবের মতো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের আগে প্রবাসীদের এ ধরনের মজুত আরও বাড়তে পারে। তবে ঈদের পর ভাটা পড়ারও আশঙ্কা আছে।

এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, যেসব ব্যাংকের এই ধরনের ডলার পর্যাপ্ত থাকবে কেবলমাত্র তারাই এলসি খোলাসহ ডলারের বিভিন্ন লেনদেন করতে পারবে। কিন্তু যেসব ব্যাংকে মজুত কম তারা এরকম ঝুঁকি নিতে পারবে না। কারণ গ্রাহক যখন চাইবে তখনই তাকে ফেরতে দিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৪ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকে নগদ ডলারের পরিমাণ বেড়ে ৩৯.৩৯ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৩২ মিলিয়ন এবং জানুয়ারিতে ছিল ২৮ মিলিয়ন ডলার। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশিদের বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব খোলা ও পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি অনাবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশিদের জন্য সুবিধাজনক রিটার্নের বিনিময়ে ডলার জমা রাখার সুবিধার্থে অফশোর ব্যাংকিং আইন প্রণয়ন করা হয়। এছাড়া রেমিট্যান্সপ্রবাহ ধীরে ধীরে বাড়ছে। এসব কারণে ডলার হোল্ডিং ক্রমাগত বাড়ছে। ব্যাংকাররা জানান, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আরএফসিডি (রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট) হিসাবে জমা দেওয়া ডলারের ওপর ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি এই হিসাবের ডলার কোনো বাছবিচার ছাড়াই দেশে ও বিদেশে গিয়ে খরচ করা হচ্ছে। প্রতিবার বিদেশ ভ্রমণের সময় এই হিসাব থেকে নগদ ১০,০০০ মার্কিন ডলার জমা রাখার অফার ঘোষণা করেছে একাধিক ব্যাংক। এসব কারণে এখন ব্যাংকের নগদ ডলার বাড়ছে।

বর্তমানে নগদ ডলারের বড় অংশ মজুত আছে ইস্টার্ন, দি সিটি, ব্র্যাক, ডাচ্-বাংলা, প্রাইম, পূবালী, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, এইচএসবিসি, ইসলামীসহ আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংকে। মার্কিন ডলারের পাশাপাশি পাউন্ড, ইউরো, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডিয়ান ডলার, সিঙ্গাপুরী ডলারেও আরএফসিডি হিসাব খোলা যায়।

বেসরকারি একটি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধান বলেন, আরএফসিডি অ্যাকাউন্টে ছাড় দেওয়ার কারণে ব্যাংকের নগদ ডলার বাড়তে পারে। কারণ এখানে মানুষ এখন কোনো প্রশ্ন ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ শেষে ১০,০০০ হাজার ডলার পর্যন্ত রাখতে পারছে।

তিনি আরও বলেন, এখন কার্ব মার্কেট ও ব্যাংকের দেওয়া ডলার রেটের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। কার্ব মার্কেটে ১১৭-১১৮ টাকা পেলেও ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারের বিপরীতে ১১৪-১১৫ টাকা করে দিচ্ছে। তাই যাদের কাছে নগদ ডলার আছে, তারা ব্যাংকেই রাখছেন।

তবে নগদ ডলার বাড়লেই যে ব্যাংক সেটা বিক্রি করতে পারবে তেমন নয়। কারণ অনেকে আছেন যারা নিয়মিত বিদেশ ভ্রমণ করেন, কয়েক দিন পর আবার প্রয়োজন হতে পারে, স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টে রাখতে পারে এবং চিকিৎসার আগে বিদেশ যাওয়ার জন্যও রাখতে পারে। তবে এগুলো নির্ধারিত সময় পর তারা নিয়ে যাবেন। এগুলো ব্যাংকের পক্ষে বিক্রয়যোগ্য না। তাই এগুলো কতটা টেকসই ডলার আগে সেটা দেখতে হবে।

ডলারের মজুত বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের ৩ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে মানুষের ঘরে রাখা ডলার ব্যাংকে ফেরাতে আবাসিক বৈদেশিক মুদ্রা আমানত বা আরএফসিডি হিসাবের ওপর সুদসহ বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়। এর পরই দি সিটি ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি ব্যাংক প্রজ্ঞাপনের আলোকে বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে এ সংক্রান্ত হিসাব খুলতে শুরু করে।

বিদেশ থেকে এসেছেন, বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে এমন যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক ব্যাংকে গিয়ে আরএফসিডি হিসাব খুলতে পারেন।

এক্ষেত্রে কবে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন, এটি মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হলো, বিদেশ গেছেন তার প্রমাণপত্র অর্থাৎ পাসপোর্ট ও ভিসার নথিপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে। হিসাব খোলার জন্য আরও প্রয়োজন দুই কপি ছবি, নমিনি, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন)। এই হিসাবের বিপরীতে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কোনো চেক বই না দিয়ে ডেবিট কার্ড দেয়, যা থেকে খরচে কোনো অনুমোদন লাগে না।

একজন নাগরিক প্রতিবার বিদেশ ভ্রমণের জন্য ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত আরএফসিডি হিসাবে জমা রাখতে পারবেন। ফলে গত এক বছরে যদি কেউ ১০ বার বিদেশ ভ্রমণ করে থাকেন, তিনি চাইলে তার হিসাবে কোনো নথিপত্র ছাড়াই এক লাখ ডলার পর্যন্ত জমা দিতে পারবেন। তবে প্রতিবার ভ্রমণের ক্ষেত্রে এর বেশি পরিমাণ ডলার জমা দিতে চাইলে তাকে বেশি ডলার দেশে আনার জন্য কাস্টমসের ঘোষণাপত্র জমা দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো এখন এই হিসাবের বিপরীতে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, এই হিসাবে জমা অর্থের ওপর ব্যাংকগুলো বেঞ্চমার্ক রেটের সঙ্গে আরও অন্তত দেড় শতাংশ সুদ দেবে। সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট (সোফর) এখন ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। সে অনুযায়ী আরএফসিডি হিসাবে সুদহার দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্যাংকে বাড়ছে নগদ ডলার

আপডেট টাইম : ১১:২৫:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

প্রবাসীদের বিশেষ লভ্যাংশের সুবিধা দিয়ে ব্যাংকে ডলার গচ্ছিত রাখার সুযোগ দেওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে নগদ ডলার বাড়তে শুরু করেছে। যদি এভাবে ডলার রাখার পরিমাণ বাড়তে থাকে তাহলে স্বভাবত ব্যাংকে ক্যাশ ডলারের মজুদও বাড়বে। কিন্তু যদি গচ্ছিত রাখার তুলনায় উত্তোলনের হার বেশি হয় তাহলে আবার কমে যাবে। কারণ এ পদ্ধতি মূলত সঞ্চয়ী হিসাবের মতো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের আগে প্রবাসীদের এ ধরনের মজুত আরও বাড়তে পারে। তবে ঈদের পর ভাটা পড়ারও আশঙ্কা আছে।

এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, যেসব ব্যাংকের এই ধরনের ডলার পর্যাপ্ত থাকবে কেবলমাত্র তারাই এলসি খোলাসহ ডলারের বিভিন্ন লেনদেন করতে পারবে। কিন্তু যেসব ব্যাংকে মজুত কম তারা এরকম ঝুঁকি নিতে পারবে না। কারণ গ্রাহক যখন চাইবে তখনই তাকে ফেরতে দিতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৪ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকে নগদ ডলারের পরিমাণ বেড়ে ৩৯.৩৯ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৩২ মিলিয়ন এবং জানুয়ারিতে ছিল ২৮ মিলিয়ন ডলার। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশিদের বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব খোলা ও পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি অনাবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশিদের জন্য সুবিধাজনক রিটার্নের বিনিময়ে ডলার জমা রাখার সুবিধার্থে অফশোর ব্যাংকিং আইন প্রণয়ন করা হয়। এছাড়া রেমিট্যান্সপ্রবাহ ধীরে ধীরে বাড়ছে। এসব কারণে ডলার হোল্ডিং ক্রমাগত বাড়ছে। ব্যাংকাররা জানান, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আরএফসিডি (রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট) হিসাবে জমা দেওয়া ডলারের ওপর ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিতে শুরু করেছে। পাশাপাশি এই হিসাবের ডলার কোনো বাছবিচার ছাড়াই দেশে ও বিদেশে গিয়ে খরচ করা হচ্ছে। প্রতিবার বিদেশ ভ্রমণের সময় এই হিসাব থেকে নগদ ১০,০০০ মার্কিন ডলার জমা রাখার অফার ঘোষণা করেছে একাধিক ব্যাংক। এসব কারণে এখন ব্যাংকের নগদ ডলার বাড়ছে।

বর্তমানে নগদ ডলারের বড় অংশ মজুত আছে ইস্টার্ন, দি সিটি, ব্র্যাক, ডাচ্-বাংলা, প্রাইম, পূবালী, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, এইচএসবিসি, ইসলামীসহ আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংকে। মার্কিন ডলারের পাশাপাশি পাউন্ড, ইউরো, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডিয়ান ডলার, সিঙ্গাপুরী ডলারেও আরএফসিডি হিসাব খোলা যায়।

বেসরকারি একটি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধান বলেন, আরএফসিডি অ্যাকাউন্টে ছাড় দেওয়ার কারণে ব্যাংকের নগদ ডলার বাড়তে পারে। কারণ এখানে মানুষ এখন কোনো প্রশ্ন ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ শেষে ১০,০০০ হাজার ডলার পর্যন্ত রাখতে পারছে।

তিনি আরও বলেন, এখন কার্ব মার্কেট ও ব্যাংকের দেওয়া ডলার রেটের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। কার্ব মার্কেটে ১১৭-১১৮ টাকা পেলেও ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারের বিপরীতে ১১৪-১১৫ টাকা করে দিচ্ছে। তাই যাদের কাছে নগদ ডলার আছে, তারা ব্যাংকেই রাখছেন।

তবে নগদ ডলার বাড়লেই যে ব্যাংক সেটা বিক্রি করতে পারবে তেমন নয়। কারণ অনেকে আছেন যারা নিয়মিত বিদেশ ভ্রমণ করেন, কয়েক দিন পর আবার প্রয়োজন হতে পারে, স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টে রাখতে পারে এবং চিকিৎসার আগে বিদেশ যাওয়ার জন্যও রাখতে পারে। তবে এগুলো নির্ধারিত সময় পর তারা নিয়ে যাবেন। এগুলো ব্যাংকের পক্ষে বিক্রয়যোগ্য না। তাই এগুলো কতটা টেকসই ডলার আগে সেটা দেখতে হবে।

ডলারের মজুত বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের ৩ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে মানুষের ঘরে রাখা ডলার ব্যাংকে ফেরাতে আবাসিক বৈদেশিক মুদ্রা আমানত বা আরএফসিডি হিসাবের ওপর সুদসহ বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়। এর পরই দি সিটি ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি ব্যাংক প্রজ্ঞাপনের আলোকে বাড়তি উদ্যোগ নিয়ে এ সংক্রান্ত হিসাব খুলতে শুরু করে।

বিদেশ থেকে এসেছেন, বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে এমন যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক ব্যাংকে গিয়ে আরএফসিডি হিসাব খুলতে পারেন।

এক্ষেত্রে কবে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন, এটি মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হলো, বিদেশ গেছেন তার প্রমাণপত্র অর্থাৎ পাসপোর্ট ও ভিসার নথিপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে। হিসাব খোলার জন্য আরও প্রয়োজন দুই কপি ছবি, নমিনি, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন)। এই হিসাবের বিপরীতে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কোনো চেক বই না দিয়ে ডেবিট কার্ড দেয়, যা থেকে খরচে কোনো অনুমোদন লাগে না।

একজন নাগরিক প্রতিবার বিদেশ ভ্রমণের জন্য ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত আরএফসিডি হিসাবে জমা রাখতে পারবেন। ফলে গত এক বছরে যদি কেউ ১০ বার বিদেশ ভ্রমণ করে থাকেন, তিনি চাইলে তার হিসাবে কোনো নথিপত্র ছাড়াই এক লাখ ডলার পর্যন্ত জমা দিতে পারবেন। তবে প্রতিবার ভ্রমণের ক্ষেত্রে এর বেশি পরিমাণ ডলার জমা দিতে চাইলে তাকে বেশি ডলার দেশে আনার জন্য কাস্টমসের ঘোষণাপত্র জমা দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো এখন এই হিসাবের বিপরীতে ৭ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, এই হিসাবে জমা অর্থের ওপর ব্যাংকগুলো বেঞ্চমার্ক রেটের সঙ্গে আরও অন্তত দেড় শতাংশ সুদ দেবে। সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট (সোফর) এখন ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। সে অনুযায়ী আরএফসিডি হিসাবে সুদহার দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ।