প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা স্বাধীনতার পর আমাদের একটি সংবিধান দিয়েছেন। সে সংবিধানে দেশের নারী-পুরুষের সমান অধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন। এই সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদের ১, ২, ৩ ও ৪ ধারায় নারীদের অধিকার তিনি নিশ্চিত করে গেছেন।’
আজ শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলনে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা সব সময় চাইতেন, বাংলাদেশের নারীরা শিক্ষা-দীক্ষায় তাদের আপন স্থান গড়ে তুলবে। স্বাধীনতার পর তিনি আমাদের একটি সংবিধান দিয়েছেন। যে সংবিধানে আমাদের দেশের অনগ্রসর মানুষ নারী-পুরুষের সমান অধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন। এই সংবিধানের ২৮ অনুচ্ছেদের ১, ২, ৩ ও ৪ ধারায় নারীদের অধিকার তিনি নিশ্চিত করে গেছেন।
নারীদের চাকরি ক্ষেত্রে ১০ পার্সেন্ট কোটা তিনি নিশ্চিত করে দিয়েছেন। চাকরি ক্ষেত্রে যাতে মহিলারা সমানভাবে সুযোগ পেতে পারে। সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন তৈরি করেছেন, যাতে করে নারী নেতৃত্ব গড়ে ওঠতে পারে।’শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্যাতিত নারীদের স্বাধীনতার পর উদ্ধার করা হয়।
নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনের জন্য জাতির পিতা শেখ মুজিব পুনর্বাসন বোর্ড করে দেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ডাক্তার, নার্স নিয়ে আসেন তাদের চিকিৎসা করাতে। কারণ, অনেকে তখন অন্তঃসত্ত্বা, অনেকের অবস্থা খারাপ ছিল। শারীরিক মানসিকভাবে তাদের চিকিৎসা এবং তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেন।’তিনি আরো বলেন, ‘আমার মা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে অনেক মেয়েকে বিয়ে দেন।
এক সাথে অনেকের বিয়ের ব্যবস্থা করে দেন। তাদের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দেন। যারা বিয়ে করেন তাদের চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই নির্যাতিতা নারীদের বীরাঙ্গনা নাম দিয়ে তাদের সম্মাননা দিয়েছেন। আমরা তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছি, তাদের অবদান ভোলার নয়।’