ঢাকা ১২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইসকনের ব্যানারে আলিফকে হ/ত্যা করেছে আওয়ামী লীগের গুন্ডারা: সাকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এই প্রথম যুদ্ধবিরতির পক্ষে বললেন জেলেনস্কি টাটকা রস খেতে বাগানে ভিড়, কেনা যায় বিশুদ্ধ খেজুরের গুড়ও তিন বছরেই ২৪ কোটি টাকা দুর্নীতি, দেনার ঘানি টানছে বিআরটিসি পাঠ্যবইয়ে বড় পরিবর্তন: যা বাদ পড়ছে, যা যুক্ত হচ্ছে হুট করেই বিয়ে করা, ছিলনা কোন পূর্বপরিকল্পনা: কেয়া ৪ সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত, তিন বিভাগে বৃষ্টির আভাস ডিইএব-এর পিডব্লিউডি শাখার সভাপতি আনিসুজ্জামান, মহাসচিব বোরহান উদ্দিন ইতিহাসের এই দিনে ‘হাঁ-না ভোটে জিয়াউর রহমানের গণআস্থা লাভ করেন’ উত্তর গাজায় বড় বিমান হামলা ইসরায়েলের, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১০০

শহীদ সেলিম ও দেলোয়ারের আত্মত্যাগ মুক্তিকামী মানুষের জন্য প্রেরণা: রাষ্ট্রপতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৫০ বার

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে শহীদ সেলিম ও দেলোয়ারের আত্মত্যাগ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ও মুক্তিকামী মানুষের জন্য অনন্য প্রেরণা হয়ে থাকবে। তিনি শহীদ ছাত্রনেতা সেলিম ও দেলোয়ারের শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বানীতে এ কথা বলেন।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ২৮ ফেব্রুয়ারি এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৮৪ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছাত্রলীগ নেতা সেলিম ও দেলোয়ার স্বৈরাচারবিরোধী মিছিলে অংশ নিয়ে পুলিশের ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে নির্মমভাবে নিহত হন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁরই নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা অর্জন করি কাঙ্ক্ষিত বিজয়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ করা হয়। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসনের। কিন্তু এদেশের ছাত্র সমাজ সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্যপরিষদ আয়োজিত মিছিলে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী যোগ দিয়েছিলেন। মিছিলের এক পর্যায়ে পুলিশের ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন ছাত্রনেতা সেলিম ও দেলোয়ার, আহত হন আরও অনেকে।

রাষ্ট্রপতি বলেন,  স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর শহিদ সেলিম ও দেলোয়ারের মৃত্যুতে ঢাকাসহ দেশব্যাপী গণতন্ত্রকামী মানুষের মিছিলে প্রকম্পিত হয় রাজপথ, বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সারাদেশ। ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে স্বৈরাচারের পতন ত্বরান্বিত হয় এবং ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে।

অনেক আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া গণতন্ত্রের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলে সচেষ্ট থাকবেন বলেও প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রপতি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসকনের ব্যানারে আলিফকে হ/ত্যা করেছে আওয়ামী লীগের গুন্ডারা: সাকি

শহীদ সেলিম ও দেলোয়ারের আত্মত্যাগ মুক্তিকামী মানুষের জন্য প্রেরণা: রাষ্ট্রপতি

আপডেট টাইম : ১১:২৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে শহীদ সেলিম ও দেলোয়ারের আত্মত্যাগ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ও মুক্তিকামী মানুষের জন্য অনন্য প্রেরণা হয়ে থাকবে। তিনি শহীদ ছাত্রনেতা সেলিম ও দেলোয়ারের শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বানীতে এ কথা বলেন।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ২৮ ফেব্রুয়ারি এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৮৪ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছাত্রলীগ নেতা সেলিম ও দেলোয়ার স্বৈরাচারবিরোধী মিছিলে অংশ নিয়ে পুলিশের ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে নির্মমভাবে নিহত হন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁরই নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা অর্জন করি কাঙ্ক্ষিত বিজয়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ করা হয়। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসনের। কিন্তু এদেশের ছাত্র সমাজ সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্যপরিষদ আয়োজিত মিছিলে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী যোগ দিয়েছিলেন। মিছিলের এক পর্যায়ে পুলিশের ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন ছাত্রনেতা সেলিম ও দেলোয়ার, আহত হন আরও অনেকে।

রাষ্ট্রপতি বলেন,  স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর শহিদ সেলিম ও দেলোয়ারের মৃত্যুতে ঢাকাসহ দেশব্যাপী গণতন্ত্রকামী মানুষের মিছিলে প্রকম্পিত হয় রাজপথ, বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সারাদেশ। ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে স্বৈরাচারের পতন ত্বরান্বিত হয় এবং ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা লাভ করে।

অনেক আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া গণতন্ত্রের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলে সচেষ্ট থাকবেন বলেও প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রপতি।